Breaking Bharat: সুবিশাল এই পৃথিবী, কতটুকুই বা জানি তার? এই পৃথিবীর উপরে আরো বড় মহাকাশ যার কোন শেষ নেই। আচ্ছা একটা গ্রহের মধ্যে যেরকম আপনি আমি কথা বলছি, গল্প করছি, কাজ করছি, আমাদের মতো অন্য কোনো গ্রহে আর কেউ কি নেই? এই প্রশ্নগুলো কমবেশি সকলের মনেই ভিড় করে।
কিন্তু উত্তর খুঁজতে গেলে আমরা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি। সকলেই জানেন মহাকাশ সংক্রান্ত তথ্য ও রহস্য আর আবিষ্কার মানে এককথায় “নাসা”। কিন্তু মহাকাশে কি আছে বা কে আছে অথবা আদৌ কিছু আছে কিনা সেটা সম্পূর্ণ অজানা ,অচেনা। সাহু এত এত ডলার খরচ করে নাসা কী পায়?
বিজ্ঞান চিরকাল সমাজের, দেশের, দশের উন্নতি আর ভালোর কথা ভেবে এসেছে। শুধুমাত্র নিজের আখের গোছানো যদি উদ্দেশ্য হত, নিজের ব্যাঙ্ক-ব্যালান্স বাড়ানোই যদি লক্ষ্য হত, তাহলে যুগের পর যুগ ধরে বিজ্ঞানীরা এত কিছু আবিষ্কার করে উঠতে পারতেন না। পৃথিবী এগিয়ে চলেছে একের পর এক অজানা রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে। কাল যে বিষয়ে জানতাম না আজ সেটাই সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত (nasa information for students)।
ঠিক সেভাবেই পৃথিবীর বাইরে আলাদা পৃথিবী আছে কিনা, কিংবা মানুষের মত অন্য কোথাও কোনও প্রাণী বা প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, এই খোঁজ অনবরত অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (American space agency NASA)। অনেকেই ভাবেন এইসব করে কী লাভ? আসলে নাসা মহাকাশে একের পর এক আবিষ্কারের খোঁজ চালিয়ে যে কাজটি করছে, তার মূল্য টাকার লাভ-লোকসান দিয়ে হিসেব করতে পারবেন না।
এইসবের ফলে মহাবিশ্বের মহাজাগতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমরা অবগত হতে পারছি এবং পদার্থবিজ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। একটা জিনিস বা ঘটনা উদ্ভাবন বা আবিস্কারের আজ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ তার উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন না। মহাকাশ গবেষণা (space research) বলতে অনেকের ধারণা শুধু “অন্য গ্রহে গিয়ে বসবাস বা ধরুন পৃথিবীর বাইরে জীবনের সন্ধান করা ইত্যাদি।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর মূল লক্ষ্য সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করে নিজেদের সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা। আর এতগুলো বছর ধরে সেই কাজ করে চলেছে নাসা। গতকাল যে বিষয় সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারনাই ছিল না, আজ মহাকাশ সংক্রান্ত সেই সব বিষয় নিয়ে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া অথবা পাড়ায় বসে আলোচনা করি , সৌজন্যে নাসা।
ধুমকেতু , মহাজাগতিক বিস্ফোরণ, মঙ্গলে জলের অস্তিত্ব নিয়ে অনুসন্ধান, সৌরমণ্ডলের অন্য গ্রহের উপস্থিতি – এইসব কিছু জানতে আমাদের খুব ভালো লাগে তাই না? আর সেটাই আমাদের জানাতে চায় নাসা। এখানেই শেষ নয়,ভবিষ্যতে পৃথিবীর বাইরে বসতি গড়ার জন্যে নাসা আরও বেশি গবেষণা করতে চায় (NASA wants to do more research) , কিন্তু বাজেট স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব নয় আপাতত।
আরো পড়ুন- Airplane round windows : এরোপ্লেনের গোল জানলা আপনাকে নিরাপত্তা দেয়, জানেন কি?
সবচেয়ে বড় কথা নাসা নিজের লাভের জন্য টাকা খরচ করছে না, খরচ করছে মানব সভ্যতার জন্য। এর সুফল কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পাবেনা, পাবে এবং পাচ্ছে পুরো বিশ্ব। আসলে প্রতিদিনের চেনা ছন্দে নিজেদের জীবনের ব্যস্ততায় পৃথিবীতে কত কি ঘটছে তার খোঁজ কতটুকুই বা রাখি আমরা? পৃথিবীতে যত ধরণের বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয় (Scientific research), তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলছে এর হিসেব আমরা কি আদৌ রাখতে চাই?
আরো পড়ুন- leech : শত্রুরা যদি জোঁক হয়, তাহলে কেন জোঁকের মুখে নুন দিতে বলা হয়?
তাই হয়তো অনেক সময় মনে হয়, অযথা টাকা নষ্ট। কিন্তু ভাবুন তো বিদ্যুৎ উদ্ভাবনের আগে মানুষ কখনও ভেবেছে এর দ্বারা কী সম্ভব? যারা এসব নিয়ে গবেষণা করতো তাঁদের মানুষ উপহাস করতো, কিন্তু এখন ওই গবেষণার সুফল ভোগ কারা করছে? Nasa- (The National Aeronautics and Space Administration)
আরো পড়ুন- Frogs : কথায় বলে ঘুম ছাড়া জীবন বাঁচে না, কিন্তু এই প্রাণী কে, যে কখনও ঘুমোয় না?
আরো পড়ুন- Hello : কথায় কথায় হ্যালো বলেন, কিন্তু শব্দটা এল কোথা থেকে? ইতিহাস জানেন ?
আসুনি প্রতিটি দেশই চাই নিজেদের জ্ঞানের সীমা বাড়াতে। যাতে আগামী দিনে দেশের নাম সর্বাগ্রে থাকে। আমেরিকার নাসার মতো ভারতেও মহাকাশ গবেষণা (Space Research in India) নিয়ে ভারত সরকারের একটি সংস্থা আছে, “ইসরো”(ISRO)। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর নানা প্রান্তে এভাবেই কাজ করে চলেছেন অজানা-অচেনা কে জানার উদ্দেশ্যে।