Breaking Bharat : ২০২৪-এ ত্রিপুরায় মহারণ। মোদী বনাম মমতার মেগা লড়াই। কিন্তু কী হতে চলেছে সেই লড়াইয়ের ফলাফল? বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও কি শেষ হাসি হাসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এসব প্রশ্ন যখন রাজনীতির মঞ্চে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে,ঠিক তখনই মাস্টারস্ট্রোক দিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর এই চালেই যে তৃণমূলের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী,এমনটাই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আশায় বুক বাঁধলেও বাংলায় গেরুয়া শিবিরের ফলাফল শেষপর্যন্ত নিরাশ করেছে কর্মী-সমর্থকদের। এই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ত্রিপুরাতেও হোক, এটা কখনও চাইবে না গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই কি মোদীর মাস্টারস্ট্রোক? অন্তত গেরুয়া শিবির তো সেটাই মনে করছে। বিজেপি-র কাছে ধরাশায়ী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরার নির্বাচনকে ঘিরে বারবার উঠে আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের কথা। ঘাস শিবিরে তা নিয়ে উন্মাদনাও যথেষ্ট। এই রাজ্য থেকে ওই রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। নতুন করে ত্রিপুরা-জয়ের স্বপ্ন দেখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবার সেই স্বপ্নকে বাঞ্চাল করতেই ২০২৪-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে বড়সড় ঘোষণা করল শাসক দল। ত্রিপুরাবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৭০৯ কোটি টাকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ পাবেন মাথার ওপর পাকা ছাদ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরো পড়ুন- Divya Bharti : বলিউডের নায়িকা দিব্যা ভারতীর নিজের জগত কেমন ছিল?
রবিবার একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরাবাসীর জন্য এই সুখবর দেওয়া হয়। এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকেও দেখা গেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
আরো পড়ুন- রাত্রে ঘুমানোর সময় লাইট জ্বালিয়ে না লাইট নিভিয়ে ঘুম স্বাস্থ্যর পক্ষে উপকারী ?
এদিন বিপ্লব দেবের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিপ্লব দেব এবং তাঁর সরকারকে এত কম সময়ের মধ্যে কাজ করার পুরনো পদ্ধতি এবং আদ্যিকালের মনোভাব পরিবর্তন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যে তারুণ্যের শক্তির ওপরে ভর করে বিপ্লব দেব কাজ করে চলেছেন, সারা ত্রিপুরা জুড়ে সেই শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে।’
আরো পড়ুন- ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখেন? জানেন কি এটা সুস্থতার লক্ষণ নাকি অসুস্থতার?
প্রথম কিস্তির ৭০৯ কোটি টাকা রাজ্যকে পাঠানো হয়েছে। ১ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষ এই প্রকল্পে ঘর পাবেন বলেই সূত্রের খবর। এই খবরে ত্রিপুরাবাসীর মনেও ধরা পড়েছে উচ্ছ্বাস। তবে কেন তড়িঘড়ি টাকা পাঠানো হল? কেন এই সময়েই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী? ত্রিপুরার নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কি নয়া স্ট্র্যাটেজি মোদীর? রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে চাপানউতর দেখা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন- Buy Medicines : জিনিসপত্র কিনতে দরদাম, কিন্তু ওষুধ কিনতে দরদাম নয় কেন ?
গেরুয়া শিবিরের একাংশও মনে করছেন, এই মাস্টারস্ট্রোকেই ধরাশায়ী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বলা হয়েছে অন্য কথা। তাদের মতে, ত্রিপুরার ভৌগলিক এবং জলবায়ুগত পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এই প্রকল্পের আড়ালে ঘাস শিবিরের শিয়রে কালো মেঘ দেখছেন। যদিও শেষ কথা বলবে নির্বাচনের ফলাফল।