Breaking Bharat: আপনার বাড়িতে কি শিশু কন্যা আছে? নিশ্চয়ই তার নাক কান ফোটানো নিয়ে চিন্তিত? জানেন কেন এক নাকেই নাকছাবি পরা হয়? বা মেয়েদের নাকের বাঁ দিকে নাকছাবি কেন পরানো হয়?
মেয়েরা সাজগোজ করতে ভালোবাসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমাজের কিছু নিয়ম আছে। এই যেমন মেয়েরা কানে দুল পরবে, সঙ্গে নাকছাবি । কিন্তু এর সঙ্গে কিছু হিসেব মেলে না। এই যেমন ধরুন নারী অলঙ্কারে সজ্জিতা হবেন এমনটাই যেন হয়ে আসছে। কিন্তু সাজের ক্ষেত্রে নানা বাহার আছে।
যেমন একেক অলঙ্কার একেক স্থানে। কপালে টিপ, মাথায় টিকলি, কানে দুল, নাকে নাকছাবি। কিন্তু একটা জিনিষ দেখেছেন কানে দুই দুল নাকে কেন একটাই নাকছাবি?
মেয়েদের নাকের বাঁ দিকে নাকছাবি কেন পরানো হয়?
এক নাকে মানে একদিকেই নাকছাবি কেন পরা কেন? এর জন্য আপনাকে কিছু বিশেষ বিষয় জানতে হবে। যদি প্রাচীন জনগোষ্ঠীর ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন তাহলে বোঝা যায় নাকের একাধিক জায়গায় অলংকার করার ঘটনা দেখা গেছে প্রাচীন ভারতে। কিন্তু বিষয়টার সঙ্গে কিছু চিরাচরিত ধারণা লুকিয়ে আছে। বলতে পারেন বেয়াদপি বা অকালপক্কতা।
তবে এটাও সত্যি কথা নাকি অলংকার বহন করা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। এবার প্রশ্ন আসতে পারে যে কেন বাম দিক কে বাছা হয়। এখানেও একটা প্রচলিত ধারণা বিশ্বাস বা সংস্কার কুসংস্কারে দোলা চল দেখা যায়। যেকোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে মেয়েদের ক্ষেত্রে বাম পার্শ্বকে শুভ বলে ধরা হয়।
আরো পড়ুন – বিয়ে করার সঠিক কোনও বয়স হয় কি? বেশি বয়সে পুরুষদের বিবাহে সমস্যা?
শুধু তাই নয় বাঁদিকের নাকের সঙ্গে স্নায়ুর যে যোগাযোগ থাকে তা নারীর প্রজননতন্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। যেমন বাঁ হাতের আঙ্গুলের শিরা সোজা হৃদপিণ্ড পর্যন্ত টানা থাকে। তাই মনে করা হয় বামদিকের নাকছাবি পরলে প্রজননের সময় যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব হয়। তবে সবটাই কিন্তু প্রচলিত ধারণা আর আমরা কোনভাবেই কোন কুসংস্কারকে সমর্থন করি না।
আরো পড়ুন – দাঁতের সমস্যা? বেজায় কষ্ট পাচ্ছেন তাই না? চিন্তা করবেন না আমরা বিজ্ঞাপনের চমক দিচ্ছি না
ইদানিং কালে নানা স্টাইলে নাকছাবি পরার চল উঠেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন জেলার মানুষের বিভিন্ন রকমের স্টাইল আছে। কানের ক্ষেত্রেও এটা হয় বটে আর আজকাল যেহেতু ছেলেরাও কানে দুল পরে তাই সেই চল এক কানে পরারই আছে। তবে যুগযুগ ধরে বয়ে নিয়ে চলা কিছু ধারণার বশবর্তি হয়ে আজও সেই নিয়ম চলে আসছে।
আরো পড়ুন – আপনার জীবনে কি অভাব আছে? অভাব কি শুধু টাকার হয়? তাহলে?
আপনি হয়তো জানেন নাকের চামড়া মোটা হওয়ার আগেই নাক ফুটো করতে বলা হয় যাতে ব্যথা কম লাগে। অনেকে আবার বিয়ের আগেই নাকে ফুটো করে নাকছাবি পরার ব্যবস্থা করেন। অনেক মহিলারা এই ঝক্কি নিতে চান না। তাই ফলস নোস রিং পরেন তারা।
এটা যেকোনো সময় খোলা পরা করা যায়। নিজের পছন্দ মতো সোনা রুপা বা হিরের গয়নাও করতে পারেন এটা। শুধু আপনি কী ভালোবাসেন সেটা এখানে গুরুত্বপূর্ন।