Breaking Bharat: ননদ আর বৌদির সম্পর্ক! দাদা বৌদির মান অভিমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ননদ। ‘ননদ আর বৌদির সম্পর্ক’ সবথেকে আদরের, যেন ননদের মধ্যে নিজের বোনকে খুঁজে পায় বৌদি। পৃথিবীর মিষ্টি সম্পর্কের তালিকায় আর কোন কোন সম্পর্ক পড়ে জানেন?
পৃথিবীতে আমরা একা একা আসি। যখন জন্মাই তখন ধারণা থাকে না আমাদের চারপাশে আর কারা কারা সংযুক্ত হতে চলেছেন। যত সময় যায় সম্পর্ক একটু একটু করে তার পরিধি বা সীমারেখা বাড়াতে শুরু করে। মা বাবা ভাই বোন বন্ধু বান্ধবী এভাবেই এক এক করে আমরা সম্পর্কের সঙ্গে পরিচিত হই এবং তা গভীর হতে থাকে।
ননদের মধ্যে নিজের বোনকে খুঁজতে যায়:
এরপর যখন বিয়ে হয় তখন একটা নতুন পরিবারের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ককে মজবুত করার চেষ্টা। একটা মেয়ে যখন কোন পরিবারে বিয়ে করে যায় সেখানে সকলকে সে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করে। যেন বাপের বাড়ির প্রতিচ্ছবি খুঁজতে চায় সেই বাড়ির মানুষের মধ্যে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় দেওরের মধ্যে ভাই, শাশুড়ির মধ্যে মা, শ্বশুরের মধ্যে বাবা, ‘স্বামীর মধ্যে ভালো বন্ধু এবং ননদের মধ্যে নিজের বোনকে খুঁজতে যায়। সবশেষে যে সম্পর্কের কথা বললাম সেটা সবথেকে মিষ্টি আর আদরের সম্পর্ক।
ননদের সঙ্গে বৌদির একটা দারুন মিষ্টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক:
একটা মেয়ে যখন অন্য একটা বাড়িতে আসে, খুব স্বাভাবিকভাবেই তার কমফোর্ট জীবন খুঁজে নিতে একটু সমস্যা হয়। মেয়ে হিসেবে এমন কিছু কথা থাকে যেটা পুরুষকে বলা সম্ভব হয় না। আর সচরাচর শাশুড়িকে সব কথা বলা যায় না। এই জায়গাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ননদ।
‘ননদের সঙ্গে বৌদির’ একটা দারুন মিষ্টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে (Sweet friendship)। তবে সব সময় যে সম্পর্ক সুমধুর হয় এমনটা নয়। এটার জন্য কিন্তু দুজনেরই সমান দায়িত্ব আছে। একজন মায়ের পক্ষে সহজেই ছেলের বউকে আপন করে নেয়া সম্ভব হয় না। নিজের মেয়ে আর পরের মেয়েকে এক আসনে তিনি বসাতে পারেন না। তার উপর রয়েছে ছেলে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
দাদা বৌদির মান অভিমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ননদ:
সবকিছু মিলিয়ে ‘শাশুড়ির বৌমার সঙ্গে ধাতস্থ’ হতে একটু সময় লাগে। সেক্ষেত্রে ননদ এই কাজটা সহজেই করতে পারে। দাদা বৌদির মাঝে মান অভিমান হলে সে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আবার নিজের প্রেমের বৈতরণী পার করতেও সবার আগে বৌদির সাহায্য চাই।
আরো পড়ুন – একটা মেয়েকে বারবার ব্ল্যাকমেইল! তাহলে সেই মেয়ে কি করবে? এবার পাশে দাঁড়াল পুলিশ।
এটাই তো দুই বান্ধবীর মধ্যে স্পেশাল একটা বন্ডিং। তবে দুজনের দুজনকে শ্রদ্ধা করাটা ভীষণ দরকার। একিউণ্ডের বন্ধু যতই হোক না কেন মনে রাখতে হবে খুব বেশি করে ব্যক্তিগত ব্যাপারে মাথা গলানোর কোন প্রয়োজন নেই। প্রত্যেককে তার প্রয়োজনীয় স্পেস টুকু দিতে হবে তা না হলে দমবন্ধ করা অবস্থা তৈরি হবে।
ননদ সমস্যায় পড়লে বৌদি তখন দিদির ভূমিকা নেয়:
সম্পর্ক ভাল রাখতে দুজনের মাঝেমধ্যেই ঘুরতে যাওয়া, একে অন্যের মনের কথা শেয়ার করা কিংবা সিনেমা দেখা এইসব চলতে পারে। তার ওপর যদি কোনো কারণেই শশুর বাড়ির লোকজন বউমার উপর একটু বিরক্ত হয় , তাহলে সবার আগে পরিস্থিতির সামাল দিতে ননদকেই এগিয়ে আসতে হবে।
আরো পড়ুন – Makeup : অনুষ্ঠান ছিল? মেকআপ তুলতে ইচ্ছে করছে না ? জানেন কত বড় ক্ষতি করছেন?
আবার ছোট বোনের মত ননদ যদি কোন সমস্যায় পড়ে বৌদিকে তখন দিদির ভূমিকা পালন করতে হবে। এভাবেই সম্পর্কে রসায়ন এগিয়ে যাবে।দুটো মানুষ একে অন্যকে যদি একটু গুরুত্ব দেয় নিজের মনের কথা ভাগ করে নেয় তাহলে কিন্তু অচেনা মানুষও আপন হয়ে যায়।
আরো পড়ুন – Gift : প্রিয় মানুষকে ‘শুভ দিনে উপহার’ দিতে চায় মন ! কিন্তু কী ধরনের উপহার দেবেন ?
একে অন্যের জন্মদিন বা স্পেশাল দিনে বিশেষ কিছু করা। খুব কঠিন কাজ মোটেই নয় কিন্তু মুহূর্তে যেন সম্পর্কের পরিবেশটা বদলে যায়। একটা নতুন আবহ তৈরি হয়, বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়। মনে রাখা দরকার শ্রদ্ধার সম্মানী যে কোন সম্পর্কের ভিত্তি। আর তাকে শক্তপোক্তভাবে বেঁধে রাখে বন্ধুত্বের পরশ।
এই কাজটা ননদ এবং বৌদি, ছোট বোন আর দিদির মত করে সহজেই গড়ে তুলতে পারে। ইতি বৌমার শ্বশুরবাড়িতে আর অস্বস্তি হবে না ,চেনা পরিবেশ সহজেই তৈরি হয়ে যাবে। তিনিও মিশে যাবেন পরিবারের সাথে। আর ননদের দাদার পর বৌদি একটা সাপোর্টিং হ্যান্ড তো হয়েই যায় তাই না?