Breaking Bharat: এক হাতে মশাল অন্য হাতে একটি বই নিয়ে নিউইয়র্ক শহরে দাঁড়িয়ে আছে একটা স্থাপত্য। যুগ যুগ ধরে এই স্থাপত্যটি দেখে আমরা যেন শহরটাকে সহজেই চিনে নিতে পারি। আজ এই স্ট্যাচু অফ লিবার্টি (Mystery of the Statue of Liberty) নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানাব আপনাদের।
জীবনে কখনো কখনো এরকম সময় আসে যখন সব জানা গুলো মিথ্যে হয়ে যায়। এই পৃথিবীতে এত কিছু আছে তাদের সম্পর্কে সবটা জানা কখনোই সম্ভব নয়, তাই না ? আবার কখনো কখনো জ্ঞান অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন যখন আপনার কাছে কেউ জানতে চাইবে এই ব্যাপারে বিশেষ করে বাড়ির খুদেরা। ভাই আগেভাগে নিজের জ্ঞান টা বাড়িয়ে নেবেন ভালো। পরিচলন
স্ট্যাচু অফ লিবার্টি তে মনোনিবেশ করা যাক:
এতক্ষন ধরে যে স্থাপত্য নিয়ে কথা বলছি তার আসল নাম কিন্তু ” এনলাইটেনিং দ্য ওয়ার্ল্ড ” (Enlightening the World) । ৯৩ মিটার লম্বা এই মুক্তির ওজন প্রায় ২০৪ মেট্রিক টন। মূর্তিটি একটি সিঁড়ি দ্বারা নিচে থেকে ওপরের সঙ্গে সংযুক্ত। জানেন কি, সিঁড়ি বেয়ে উঠে একেবারে মশাল পর্যন্ত চলে যেতে পারবেন আপনিও! তবে স্থাপনকাল থেকে এই মশাল ছিল না। ১৯৮৪ সালে এটি বদলানো হয়। আগে সাধারণ লোহার পরিবর্তে পরবর্তীতে ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়।
সব থেকে মজার ব্যাপার কি জানেন যখন এটা তৈরি করা হয়ে ছিল তখন কিন্তু পৃথিবীর সবথেকে বড় লোহার মূর্তি এটাই ছিল। প্রতিবছর স্ট্যাচু অফ লিবার্টি (Statue of Liberty) প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ বজ্রপাত সহ্য করে আজও টিকে আছে। স্থাপত্য এতোটুকু গরিমা হারায়নি। তাইতো 1000 মানুষ এখনও এই স্ট্যাচু অফ লিবার্টির টানে বারবার একে দেখতে আসেন (The Creation of the Statue of Liberty)।
আরো পড়ুন- রাজা মানেই কি রাজ্যপাট ? ভারতের এই রাজার কোনো রাজ্য ছিল না!
আরো একটা মজার বিষয় হল যখন ঝড় হয় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে এবং তা আছড়ে পড়ে স্ট্যাচুর গায়ে , তখন কিন্তু এই মূর্তিটি প্রায় ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি নড়তে থাকে।পরিসংখ্যান বলছে প্রতিবছর প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষ স্ট্যাচু দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে আসেন।
আরো পড়ুন- Second hand mobile: সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন
আরো পড়ুন- Corporate Sector : কর্পোরেট দুনিয়ার মিস্টার পারফেক্ট হওয়া যায় কী করে? আজ বলব আপনাকে
মাথায় সাতটি সূচালো লোহা বেরিয়ে আছে এগুলো কিন্তু সপ্ত মহাসমুদ্রের প্রতি ইঙ্গিত করে তৈরি করা হয়। তবে এই স্ট্যাচু থেকে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন দুজন। তারপর থেকে নিরাপত্তার’ কথা মাথায় রেখেই স্ট্যাচুর ভেতরে ওঠার সিঁড়ি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাতে কি ? আকর্ষণ এতটুকুও কমেনি। নিউ ইয়র্ক মানেই এক ঝলকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, আজও।