Breaking Bharat: আপনার স্বামী এক্ষুনি বাবা হতে চান না? এই কথা নিজের মুখে কাউকে বলতেও পারছেন না বুঝি। প্রতিটা মানুষ পৃথিবীতে একাধিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে যান। তার মধ্যে কোন একটা সম্পর্ক মন ছুয়ে যায়। সেই সম্পর্ক পরিণতি পায় তারপর তা গড়ায় দাম্পত্য পর্যন্ত।
এরপর খুব স্বাভাবিকভাবেই স্বামী এবং স্ত্রী অর্থাৎ পুরুষ নারীর মধ্যে ভালোবাসা মজবুত হয় তৃতীয় কোন মানুষের আগমনে। তবে এর জন্য দু’জনকেই সমান ভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়।
কোন একজন যদি রাজি না হয় তাহলে অন্যজনের কাছে গোটা বিষয়টাই বিরক্তিকর হতে পারে আবার সেটা বোঝা ভেবে তা থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তাভাবনাও মনের মধ্যে চলতে পারে। হয়তো খানিকটা বুঝতে পেরেছেন, আমরা জীবনে সন্তান আগমনের বিষয়ে দুজনের মতামতের কথাটাই আজ উল্লেখ করছি।
জীবনে সন্তানের জন্য একটা বিশেষ জায়গা তৈরি হয়:
দুটো মানুষ একসঙ্গে জীবন যাপন করবে বলে বিয়ে করে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিছুটা সময় পর তাদের জীবনে সন্তানের জন্য একটা বিশেষ জায়গা তৈরি হয়। সমাজ অপেক্ষা করে থাকে নতুন দাম্পত্যের নতুন মানুষের আগমনের।
সন্তান জন্ম নিতে যদি দেরি হয় বা সেই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যে কোন সমস্যা আছে বলে ধরে নেওয়ার একটা রীতি রয়েছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমন হয় না। অর্থাৎ মেয়েটি মা হতে চাইলেও হয়তো তার স্বামী সেই মুহূর্তে প্রস্তুত নন।
কিন্তু এই ব্যাপারটা গোটা পৃথিবীর সামনে বোঝানো মুশকিল তার ওপর থাকে নিজের ভেঙে পড়ার মতো মানসিক অবস্থা। অনেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন কারণ কী করবেন ভেবে উঠতে পারেন না। এরকম পরিস্থিতি যদি আপনার হয় তাহলে বোধহয় একটু আলোচনা করার বা পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন আছে কারণ সবটা আপনি একা হাতে সামলাতে হয়তো পারবেন না।
আরো পড়ুন – স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার! অর্থাৎ স্বামীর উপর নির্ভর করে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক?
সন্তানকে কোন সময় পৃথিবীর আলো দেখাবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে স্বামী এবং স্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এক্ষেত্রে বাইরের লোক কি বলছে বা ভাবছে সেটা কোনমতেই প্রাধান্য পেতে পারেনা। তাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করুন যাতে আপনাদের দুজনেরই কাজের বা জীবনের কোন অসুবিধা না হয় এবং সম্পর্কের কোনও ক্ষতি না হয়।
এর সঙ্গে বিশেষ করে বলা দরকার একটা সুন্দর ফ্যামিলি প্ল্যানিং। একজন মানুষকে পৃথিবীতে আনলেই হলো না তাকে সুস্থ, স্বাভাবিক, নিরাপদ, ভালো ভবিষ্যৎ দিতে গেলে যা যা করার দরকার, সেটার জন্য আগে থেকে নিজেদেরকে প্রস্তুত হতে হয়। ভালো করে ভেবে দেখুন আপনি এইসবের জন্য তৈরি কিনা।
আরো পড়ুন – প্রথমবার যৌন সম্পর্কে নার্ভাস! শারীরিকভাবে একে অন্যের ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে জেনে নিন
স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন সমস্যাটা কোথায় সেটা জানার জন্য। হতেই পারে তার এই মুহূর্তে দায়িত্ব না নিতে চাওয়ার পেছনে এমন কোন গুরুতর কারণ আছে যেটা আপনি আপাত দৃষ্টিতে বুঝতে পারছেন না বা তিনি আপনাকে বুঝিয়ে উঠতে পারছেন না।
নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি সন্তানের দায়িত্ব নিতে নিজে প্রস্তুত তো? মা হওয়া মুখের কথা নয়। অনেক কিছু সহ্য করার ক্ষমতা রাখতে হবে আপনাকে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন, সেরকম হলে কাউন্সিলিং করাবার কথাও ভেবে দেখতে পারেন।
আরো পড়ুন – নৈহাটির বড়মাকে দর্শন করতে গেছেন কখনো? ইতিহাস জানলে শিহরিত হবেন আপনি!
তবে সবশেষে যেটা বলার দরকার সেটা হলো আগে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি বা আপনার পার্টনার একজন নতুন মানুষকে পৃথিবীতে আনার জন্য, মা-বাবার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত। শুধুমাত্র বিয়ে হয়েছে তাই মা হতে হবে, সমাজের কাছে নিজের মাতৃত্বকে প্রকাশ করতে হবে- এই ভাবনাগুলো থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেবেন না।