Breaking Bharat: মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক! সফল সন্তান (Successful children) তৈরি করতে মায়ের ভূমিকা কতটা? মা শব্দটার মধ্যেই পৃথিবীর মধ্যে স্বর্গীয় এক অনুভূতির কথা ব্যক্ত করা যায়। দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করার পর নতুন প্রাণকে পৃথিবীর আলো দেখাতে কম যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় না মাকে।
তাইতো মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের বন্ধনটাই আলাদা যেটা কোনভাবেই কোন মূল্য দিয়ে বিচার করা যায় না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক হয় সব থেকে নিবিড়। তাই সন্তানের খারাপ ভালো মায়ের থেকে বেশি আর কেউ বুঝতে পারেন না। ভালো সন্তান তৈরি হতে গেলে তার পরিবারের একটা ভূমিকা অবশ্যই থাকে। আর সব থেকে বেশি ভূমিকা থাকে জন্মযাত্রী মায়ের।
সফল সন্তান তৈরি করতে মায়ের ভূমিকা কতটা?
জন্ম থেকে কেউ খারাপ বা ভালো হয়ে যায় না। সবটাই নির্ভর করে পরিস্থিতি আর পরিবেশের উপর। শিশু একেবারে চারা গাছের মতো তাকে বেড়া দিয়ে আগলে রাখতে হয়। যদি সেটা না করা যায় তাহলে তার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বাংলা সাহিত্যের একটি প্রবাদ হলো, “শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে”। তাই শাসন এবং ভালোবাসা দুটোই যথাযথ পরিমাণে হওয়া দরকার।
দাঁড়িপাল্লার হিসেব মেনে না করতে পারলে একটা একটু বেশি বা কম হলে তার বড় ঝাপটা গিয়ে পড়ে সন্তানের ওপর। সেই সন্তান হয় খুব ভালো হয় কিংবা খুব খারাপের দিকে এগিয়ে যায়। তাই ভালো সন্তান তৈরি করতে গেলে মাকে নিজেকে আগে ভালো হতে হয়।
সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্ক:
অনেক কষ্ট করতে হয় অনেক কিছু সহ্য করতে হয় অনেক ত্যাগ করতে হয় সন্তানের জন্য। আর এই সব কিছু সন্তানকে উপলব্ধি করার মতো জায়গা দেওয়াটাও দরকার যাতে সে বোঝে তার মা তার জন্য কী করেছে। শিশুকে বুঝতে হলে কখনো কখনো একেবারে শিশুর মত হয়ে যাওয়া দরকার।
তার মত করে ভাবনা চিন্তা করতে হয়। অতিরিক্ত শাসনেই যেন দূরত্ব না বেড়ে যায় সেই দিকটাও খেয়াল রাখা দরকার। আবার খুব বেশি করে আস্কারা দিলে শিশু মাথায় চড়ে বসতে পারে সেটা করতে দেওয়া যাবে না।
মা ও সন্তানের সুন্দর সম্পর্কের কিছু টিপস:
ভালো মানুষ হতে গেলে তার মধ্যে শুধুমাত্র পড়াশুনা আর খেলাধুলা বা সংস্কৃতি এটাই জরুরি নয় দরকার একটা ভালো পূর্ণাঙ্গ শিক্ষার। এই শিক্ষাটা পরীক্ষার খাতার নম্বর দিয়ে বিচার করা যায় না। অথচ আশ্চর্যের নম্বরটাও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে সমান দরকারি।
একটা সময় পর্যন্ত শিশু বুঝতে পারেনা তার কোনটা প্রয়োজনীয় কোনটা অপ্রয়োজনীয় তাই অযথা বায়না লেগেই থাকে। এর থেকে জেদ তৈরি হয়। কিন্তু তাই বলে শিশুর মন ভোলানোর জন্য তার জেদকে দিনের পর দিন প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। শিশু যদি ছোটবেলা থেকে মা বাবার মধ্যেই তার প্রিয় বন্ধুকে খুঁজে পায় তাহলে কিন্তু স্বভাবতই বাইরের বন্ধুত্বের দিকে সে আগ্রহী হবে না।
সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা:
এর ফলে বাইরের পৃথিবীর যা কিছু খারাপ বা অসৎ সঙ্গ সেটা থেকে তাকে কিছুটা হলেও আগলে রাখা যাবে। একটা ভালো সম্পর্কের মধ্যে থাকতে থাকতে ভালো সংস্কৃতির মধ্যে বড় হতে হতে খারাপ হওয়ার ভাবনাটাই মন থেকে উড়ে যায়। আর একটা বয়সের পর যখন বোঝার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় তখন চাইলেও আর কেউ ভালো তাকে ফেলে দিয়ে খারাপ হতে পারবেনা।
আরো পড়ুন – Amitabh Bachchan : কুলি সাজতে গিয়ে বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের বড় দুর্ঘটনা! তারপর কী হল?
তাই ছোট থেকেই শিশুর বন্ধু হয়ে তার সব কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। শিশু সবথেকে বেশি কাছের মনে করে তার মাকে তাই সেই স্কুলে যাচ্ছে আর সেখানে কি করছে এই সব থেকে শুরু করে সে কি টিভিতে দেখছে বা মোবাইলে কি নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছে সবটাই মাকে জানতে হবে।
আরো পড়ুন – Govinda’s daughter : পার্টনার গোবিন্দার কন্যার সঙ্গে কী করলেন বলিউডের ভাইজান ? সম্পর্কে ফাটল?
একটু বড় হলে তার বন্ধুদের সঙ্গে খোঁজখবর নিতে হবে হয়তো তাদের সঙ্গেও একদম সেই বয়সের বন্ধু হিসেবেই মিশতে হবে। কখনো শিশু বা সন্তানকে এটা মনে করতে দিলে হবে না যে তার পাশে কেউ নেই। মায়ের সঠিক শিক্ষায় সন্তান কোন ভুল পদক্ষেপ করতে পারেনা। তবু যদি সে কখনো অন্যায় করে বা দোষ করে কিন্তু ভুল করে ফেলে তাহলে সেটা তাকে বোঝানো দরকার।
জোর করে মেরে বকে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। আসল কারণটা জানা দরকার তবেই গিয়ে গোটা ঘটনার ছবিটা পরিষ্কার হবে আপনার কাছে। আর বিশেষ করে আপনি যদি কন্যা সন্তানের মা হন তাহলে একবার বলিউডের সিনেমা দিলওয়ালি দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে এর কাজল আর তার মায়ের সম্পর্কের কথা ভেবে দেখুন। এভাবেই আরও মজবুত হবে মা মেয়ের সম্পর্ক (Mother daughter relationship will be stronger)।
আরো পড়ুন – Bhavesh Bhatia : শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনও বাধা নয়, প্রমান করলেন ভবেশ ভাটিয়া, কীভাবে?
ভালো সন্তান তৈরি করতে গেলে ভালো মা হতে হয় সবার আগে (You have to be a good mother first) আর এই ভালো শব্দটার কোন ব্যাকরণগত সংজ্ঞা নেই। সবটাই জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চয় করে নেওয়া দরকার। তাই মা আর সন্তান দুজনেই ভালো থাকুক।