Breaking Bharat: সমুদ্রের তলায় অন্য গ্রহের দানব আছে জানেন? হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা? তবে সমুদ্রের তলদেশে যে আবিষ্কার নিয়ে আজকের আলোচনা তা নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর। কারণ প্রাণী বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, সামুদ্রিক এই প্রাণীটিকে দেখলে মনে হবে না যে, এটি পৃথিবীর।
চাঁদে চন্দ্রজান পাঠিয়ে দিয়েছে ভারত। সেখানকার মাটিতে কোন কোন খনিজ রয়েছে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একদিকে যেমন মহাকাশের রহস্য উন্মোচনে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা তার পাশাপাশি সমুদ্রের তলদেশীয় তটে সমান তালে খোঁজ খবর চলছে। একদিকে যেমন চাঁদ থেকে তথ্য হাতে চলে আসছে তবে এবার সমুদ্রের তলা থেকেও অন্য গ্রহের প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেল (Monsters from another planet under the sea)।
সমুদ্রের তলায় অন্য গ্রহের দানব?
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি যে আন্টার্কটিকার সমুদ্রের তলায় ‘ভিন্গ্রহী দানবের’ খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। এ যে কী ধরনের প্রাণী সেটা বলা মুশকিল,১০ শুঁড়, ২০ হাত! প্রথম ঝলকে বিশ্বাস করা মুশকিল বটে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য হল আন্টার্কটিকার কাছে ‘প্রমাচোক্রিনাস’ নামে এক সামুদ্রিক জীব দেখতে পাওয়া যায়। এরা পরিচিত ‘আন্টার্কটিকার পালক’ হিসাবেও।
দেখতে খানিকটা স্ট্রবেরির মতো হলেও আসল রং বেগুনি। সন্ধান মিলেছে এনাদের। জানা যাচ্ছে আন্টার্কটিকার কাছে দক্ষিণ মহাসাগরের তলায় এই অদ্ভুত সামুদ্রিক জীবের খোজ পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার বিজ্ঞানীদের একটি দল আন্টার্কটিকার কাছে গবেষণা চালানোর সময় এই সাফল্য আসে।
এরা কি অন্য গ্রহের কোন প্রাণী?
আমরা বারবার বলি যে পৃথিবীতে কত রকমের প্রাণী এবং জীব রয়েছে সেটা কোনোভাবেই লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। কারণ বেশিরভাগটাই অজানিত। তাই কোন ভয়ংকর জিনিস বা অত্যন্ত সুন্দর কোন দৃশ্য আমাদের অপেক্ষায় সেটা আমরা এখনো পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি।
তবে সমুদ্রের তলদেশে যে আবিষ্কার নিয়ে আজকের আলোচনা তা নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর। কারণ প্রাণী বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, সামুদ্রিক এই প্রাণীটিকে দেখলে মনে হবে না যে, এটি পৃথিবীর। আপনি জানেন যে লোকের কথায় কান দেওয়া নয় বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানসম্মতভাবে যে তথ্য হাজির করছেন আমরা সেই দিকেই আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করি।
প্রমাচোক্রিনাস নিয়ে গবেষণা চলছে:
এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা উচিত যে বিজ্ঞানী এমিলি ম্যাকলাফলিন, নেরিডা উইলসন এবং গ্রেগ রাউস বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকায় সামুদ্রিক এই প্রজাতি নিয়ে তাঁদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছেন।আসলে ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রমাচোক্রিনাস নিয়ে গবেষণা চলছে। নানা প্রজাতি খুঁজে বার করে পরীক্ষা নিরীক্ষাও অবিরাম গতিতে এগোচ্ছে।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
সমুদ্র এমনিতেই রহস্যময় তাই তার নীচে প্রমাচোক্রিনাসের গতিবিধি নিয়ে কৌতূহল জন্মেছিল বিজ্ঞানীদের মনে। এরা কি অন্য গ্রহের কোন প্রাণী? বেশ কয়েক বছর ধরে ডিয়েগো রামিরেজ , সিপল কোস্ট, এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ-সহ একাধিক দ্বীপের কাছে ঘুরে ঘুরে প্রমাচোক্রিনাসের নমুনা সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীদের দল। আপাতত মোট সাতটি নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আরো পড়ুন – Elon Musk: টেসলাকর্তা এলন মাস্ক থাকেন কুঁড়ে ঘরে? কী আছে সেখানে?
অবশ্য এর আগে প্রমাচোক্রিনাসের একটি প্রজাতির সম্পর্কিত তথ্য ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে।নতুন আবিষ্কৃত সাতটি প্রজাতির মধ্যে একটি প্রজাতি হল প্রমাচোক্রিনাস ফ্র্যাগারিয়াস। একটু জানিয়ে দেব যে ফ্র্যাগারিয়াস’ শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘ফ্রাগা’ থেকে, যার অর্থ হল স্ট্রবেরি। তাই এই প্রজাতিকে অ্যান্টার্কটিকার ‘স্ট্রবেরি পালক’ বলে অভিহিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন গবেষকরা।