Breaking Bharat: মোমোর স্বর্গীয় স্বাদ, আহা! (Momo Recipe) কেন মোমোকে নেপালি খাবার বলা হয়? জানেন? মন ভালো করা মোমো পেট পুরে খেতে কে না ভালোবাসে? তাছাড়া মোমোর এমন অদ্ভুত নাম কেন ?
ভোজন রসিক মানুষের কাছে জাঙ্ক ফুড বড়ই প্রিয়। সকালে ব্রেকফাস্ট হোক কিংবা সন্ধেবেলার খাবার, একই ভাত ডাল বা রুটি তরকারির বাইরে গিয়ে কিছু খেতে মন আনচান করে অনেকের। আর এই কারণেই ভাজাভুজির চল এত বাড়লো। কিন্তু এরও তো খারাপ ফল আছে।
যখন দেখা যায় গ্যাস আর অম্বলের জ্বালায় বুক আনচান করতে থাকে। শরীর অসুস্থ হতে শুরু করে যারে যেয়ে সমস্যা বাড়তে থাকে প্রাত্যহিক জীবনে। ঠিক এই সময় মানে চপ, শিঙারা, রোল, চাউমিন যখন আপনার মন এবং পেট দুটোকে ভালো রাখতে পারছে না তখনই মোমোর স্বর্গীয় স্বাদ, আহা! জিভে জল এসে যায় নাম শুনলেই।
মোমোর ইতিহাসটা জানেন? (momos recipe):
কথায় বলে নামে কী এসে যায়? সবটাই নির্ভর করে কাজের ওপর অর্থাৎ কর্মেই হয় পরিচয়। কিন্তু অফিসিয়াল পরিচয় পর্ব তো সেরে নিতেই হবে। তাই চলুন মোমোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়টা করে নেওয়া যাক অর্থাৎ এই নামের ইতিহাসটা একটু জানিয়ে দেওয়া যাক। এই খাবার প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিল না।
তিব্বতই হল মোমোর আসল জন্মস্থান। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার তিব্বতি ভাষায় ‘মো’ শব্দের অর্থ হল বাষ্প বা স্টীম। আর অনেকেই মনে করে থাকেন যে বাষ্পে তৈরি হওয়ার কারনে তিব্বতি ভাষায় এই খাবারের নাম হয় ‘মোমো’।
কেন মোমোকে নেপালি খাবার বলা হয়?
মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকেই এর জয়যাত্রা শুরু। তিব্বত থেকেই প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভূটান ঘুরে ভারতে প্রবেশ করে। মোমোর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এতে অবশ্য নেপালের অবদান অনেকটাই । অনেকে আবার এই কারনেই মোমোকে নেপালি খাবার বলে মনে করেন (Momo is considered a Nepalese food)।
যতদিন যাচ্ছে এই খাবারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আসলে তেল বর্জিত সুস্বাদু একটি খাবার যা আপনার মুখে দেবে তৃপ্তি। ছোট থেকে বড় সবার কাছেই এটি অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছে। আর সব থেকে বড় কথা এতে শরীরে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। অনেকেই হয়তো জানেন না যে তিব্বতে মোমোকে বলা হয় মগমগ যার বাংলা অর্থ হল চলন।
বিভিন্ন শহরে নিজের স্টাইলে মোমো বানানো হয়:
২০০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে মোমোর পরিধি অনেকটা বেড়ে যায়। এখন তো দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন শহরে নিজের স্টাইলে মোমো বানানো হয়। সাধারণত মোমো দুই প্রকারের, একটি ভাপা বা সিদ্ধ এবং অপরটি ভাজা বা ফ্রায়েড মোমো।
আরো পড়ুন – Zomato : এক ক্লিকে বাড়িতে এসে গেল খাবার? জোম্যাটোর জয়জয়কার হল কী ভাবে?
গরম সুপ এবং স্পেশাল চাটনি ডুবিয়ে মোমো চলে যায় সোজা পেটের ভেতরে। মনে করা হয়, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় নাগাদ জন আন্দোলনের ফলে নেপালে বেশিরভাগ মানুষের কাছে প্রধান খাদ্য হয়ে ওঠে মোমো। এটা সেখানকার মানুষ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন সঙ্গে তাদের খাবারের সংস্কৃতিকেও বয়ে নিয়ে যান। এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে মোমো।
আরো পড়ুন – Gold : সোনার আংটি আবার বাঁকা? তাহলে কি সোনায় বিনিয়োগ করা ভুল?
সবাই এক ডাকে চিনলেও বিভিন্ন জায়গা বিশেষে এই খাবারের বিভিন্ন নামের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই এই খাবার পাওয়া যায়। যেমন চীনে ‘বাওজি’ নামে খুঁজতে হবে মোমোকে। আবার মঙ্গোলিয়ায় ‘বাজ’, কোরিয়ায় ‘মান্ডু’ নামে এই খাবারের পরিচিতি। জাপানে ‘গিয়োজার’ এবং নেপালের কিছু অঞ্চলে বলে ‘মমচা’ বলেও ডাকা হয়।
আরো পড়ুন – Benefits of corn : পপকর্ণ ভালোবাসেন? আর রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া ভুট্টা? কত গুন আছে জানেন?
যদি বছর কুড়ি ঘুরে দেখেন তাহলে বুঝবেন মোমো যেন ভারতীয় খাবারের জগতে এক বিপ্লব তৈরি করেছে। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকের খাদ্য তালিকায় একদম উপরের দিকে জায়গা করে নিয়েছে এই বিদেশী খাবার। এই প্রতিবেদন পড়তে পড়তে পাড়ার দোকান বা অনলাইনে অর্ডার করে যদি মোমো আনিয়ে নেওয়ার কথা ভাবেন তাহলে অসুবিধা নেই , আমাদের একবার জানাতে ভুলবেন না।