Breaking Bharat: আপনার কি স্মার্ট ফোন আছে? আজকালকার স্মার্টফোনে কোন বিশেষ বিষয় খুঁজে পান ? আধুনিক যুগে স্মার্ট ফোন ছাড়া চলা দায়। একাধিক পদ্ধতির সাথে পরিচিত হতে হয় নতুন যুগের স্মার্টফোনের মাধ্যমে। কী প্যাড ফোনের থেকে স্মার্টফোন অনেকটাই আলাদা। অনেক বেশি ফিচার থাকে স্মার্টফোনে। তবে কমবেশি প্রত্যেককেই যে সমস্যায় ভুগতে হয় তাহলো স্মার্ট ফোন হ্যাং হয়ে যাওয়া।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটলে চট করে মোবাইল খুলে ব্যাটারি (Open the mobile battery) বের করে নেওয়া যেত। তারপর খানিকক্ষণ ব্যাটারি বাইরে রেখে ফের মোবাইলে ব্যাটারি ভরে ফোন অন করা হত। কিন্তু এখন সেটাও যে হয়না কারণ মোবাইলের ব্যাটারি খোলা যায় না। কেন বলুনতো এই পরিবর্তন ? (Mobile battery cannot be opened)
প্রথমেই জানাই সবকিছুরই একটা ভালো এবং আরেকটা মন্দ দিক থাকে বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে ভালো দিকটা হল, ব্যাটারি বিস্ফোরণ (Battery explosion) বিগত কয়েক বছরে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। কিন্তু এখন আর তেমনটা শুনতে পাওয়া যায় না। কারণ হিসেবে বলতেই হয় মোবাইল কোম্পানিগুলি অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছেন। যার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মূলত ,যাতে কোনোভাবেই ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্থ না হয় বা বিস্ফোরণ না ঘটে এবং নকল ব্যাটারি ব্যবহার না করা যায় এই বিষয়টি মাথায় রেখেই এই ধরনের স্মার্টফোন তৈরি হয়, যেখানে ব্যাটারি আলাদা করে খোলা যায় না। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, আপাতদৃষ্টিতে যদিও মনে হয় এটি খোলা সম্ভব নয় তবুও সকল ব্যাটারি খোলা সম্ভব।
এই বিষয়ে এবার একটু বিস্তারিত জানান যাক। একটা সময় ছিল যখন স্মার্টফোনগুলোতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হতো। যা সহজেই খোলা সম্ভব ছিল। কিন্তু এই ধরনের ব্যাটারির বিস্ফোরণ ক্ষমতা ছিল মারাত্মক, ফলত প্রবণতা ছিল অনেক বেশি। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহারের একটি বড় সমস্যা ছিল এর আকারের পরিবর্তন হওয়া। এই ব্যাটারি খুব বেশি ব্যবহারের ফলে ফুলে যেত যা ছিল খুব বিপদজনক। কিন্তু বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোতে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন- Refresh: আপনি কি জানেন বেশি রিফ্রেশ করলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়? তাহলে রিফ্রেশ কেন করে?
লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থেকে অনেক বেশি টেকসই এবং বিস্ফোরণের হার অনেক কম। কিন্তু লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি বাতাসের সংস্পর্শে এলে এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেলে সহজেই তাতে আগুন ধরে যায়। সে ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। তাই মোবাইল কোম্পানিগুলো এমনভাবে মোবাইল তৈরি করে যাতে মোবাইলের ব্যাটারি সহজে খোলা যাবে না (Mobile battery cannot be opened easily) বা পাল্টানো সম্ভব হবে না। এটি বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো যাবে।
আরো পড়ুন- Deslai box: একটা দেশলাই কাঠি জ্বালালে আগুন পাবেন, কিন্তু কী করে তা সম্ভব হয় জানেন ?
আরো পড়ুন- Over in Walkie-talkie : ফোনে হ্যালো, কিন্তু ওয়াকিটকিতে কথা বলতে গেলে ওভার কেন বলতে হয় ?
পাশাপাশি নকল ব্যাটারি ব্যবহারের (Using fake batteries) প্রবণতা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে এই কারণের জন্যই। মোবাইলের সমস্যা হলে সরাসরি আপনাকে সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে লোকাল মার্কেটে গিয়ে কোন লাভ হবে না। তাই বুঝতে পারছেন আপনার মোবাইল অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে। আপনি কি জানেন এই ধরনের ব্যাটারি ব্যবহারের ফলে চার্জিং এর ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন এসেছে? এই ব্যাটারি ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোনগুলো কে অনেক স্লিম করা সম্ভব হয়েছে। এবং স্মার্টফোনগুলোতে ফাস্ট চার্জিং (Fast charging in smartphones) টেকনোলজি ব্যবহার সম্ভব হয়েছে।
আরো পড়ুন- NASA : মহাকাশের বিস্ময় জানতে NASA এর এত আগ্রহ কেন? এই রহস্য উদ্ঘাটন করে কি লাভ?
এবার বুঝতে পারলেন তো হঠাৎ করে স্মার্টফোনের গঠন বদলে কেন এই ধরনের ব্যাটারি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।