Breaking Bharat: ছেঁড়া জামা প্যান্ট কি আজকের দিনের ফ্যাশন? নাকি এটাই বর্তমান স্টাইল স্টেটমেন্ট? ছেঁড়া-ফাটা জিন্স কীভাবে ফ্যাশনে পরিনত হলো?
স্টাইল যদি মুখ হয় তাহলে ফ্যাশন হল মুখোশ – এমন কথাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শেষের কবিতা উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠকদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু ফ্যাশন স্টেটমেন্ট প্রত্যেকটা মুহূর্তে এত বদলে যাচ্ছে যে কোনটাকে কনস্ট্যান্ট ধরে এগোবে প্রজন্ম সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না যেটা কালকের সেলিব্রিটি ফ্যাশন ছিল আজকে সেটা সাধারণ মানুষ নিজের ওপর প্রয়োগ করতে না করতেই সেটা হয়ে যাচ্ছে ওল্ড মডেল।
ভাবুন দেখি কি কান্ড! আর এইসবের মাঝে পড়ে উটপটাং কান্ড কারখানা জুড়ে যাচ্ছে জামা কাপড়ের সঙ্গে। দোকান থেকে গোটা জামা কিনে এনে কাঁচি দিয়ে কেটে স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করছেন মানুষ ভাবতে পারেন?
ছেঁড়া-ফাটা জিন্স কীভাবে ফ্যাশনে পরিনত হলো?
পোশাক এমন একটা জিনিস যেটা আপনার লজ্জা নিবারনে সাহায্য করে। কিন্তু এমন পোশাকে যদি পরেন যার পরার পর আপনার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখা যাবে তাহলে সেটা কি আদৌ লজ্জা নিবারণ হল? আমরা জানি এই কথাগুলো বলতে গেলে একাধিক যুক্তি উঠে আসবে।
কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মানে কখনোই অশ্লীলতা নিশ্চয়ই নয়। যে পোশাক পরে আপনি সচ্ছন্দ বোধ করেন সেটা যদি নিজের মতো করে সঙ্গে রাখতে পারেন তবেই সেটা আপনার স্টাইল আর যুগের ফ্যাশন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে প্রত্যেকেই এখন চান সেলিব্রেটি তকমা আর ভাইরাল হওয়ার ট্রেন্ড এই নেশায় সকলকে আসক্ত করে রেখেছে।
আপনি অনেকের কাছে অচেনা রাস্তায় বের হলে আপনার পোশাক শুধুমাত্র আপনার পরিচয় বহন করে না রুচিশীল পোশাক কিন্তু পরিবারের সম্মানকেও তুলে ধরে বাইরের লোকের কাছে। তাই সেটা বজায় রাখা আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
আরো পড়ুন – ‘ফাঁসি’ শব্দটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন তাই না? সিনেমায় যেভাবে দেখানো হয় আদৌ কি তাই বলে জেল ম্যানুয়াল ?
ইদানিংকালে ছেঁড়া হট প্যান্ট পরার প্রবণতা বেড়েছে। বিদেশের মাটিতে এগুলো হামেশাই দেখা গেলেও এখানকার মানসিকতায় কিছুটা হলেও অদ্ভুত লাগে সে কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। যারা এই পোশাক পরেন তারা নিজেরাও সচ্ছন্দ কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে।
আসল ব্যাপারটা হল যাদেরকে দেখে এগুলো নকল করা সেই সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীরা কিন্তু ক্যামেরা অফ হয়ে গেলে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আর পোশাকের মধ্যেই থাকেন। কিন্তু অন ক্যামেরা আর অফ ক্যামেরার ফারাক টা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন না।
আরো পড়ুন – ঘুষ খাওয়া অপরাধ নয়, প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া অপরাধ হতে পারে? ঠিক বললাম তো?
রিপড ফুল জিন্সের ক্ষেত্রেও এই কথা বেশ প্রযোজ্য। আগেকার দিনের মানুষেরা তো এই কথা শুনে মজা করে বলেন পয়সা দিয়ে ছেঁড়া জিনিস ঘরে এনেছে। এখানেই শেষ নয় শরীরের সাথে আষ্টেপিষ্টে চেপে জড়িয়ে থাকা যে কোনো জামা কাপড় পরা নাকি আজকের দিনে ফ্যাশন বলে মানা হয়।
অথচ যারা এগুলো করেন তারা নিজেরা যে একদমই স্বচ্ছন্দ নন, স্বস্তিতে নেই সেটা পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায়। তুমি পরা চাই। অফ শোলডার টপ অনেকের পছন্দ। কিন্তু যদি মনে হয় জামাটা গা থেকে খুলে পড়ে গেল তাহলে তো সেই পোশাক না পরাই ভালো। আপনি কী বলেন?
আরো পড়ুন – আপনার কী সবসময় শীত শীত অনুভূতি হয়? লেপ কম্বল চাপা দিয়ে হাত পা ঠান্ডা থাকে?
আজকাল তো চুরিদার বা ব্লাউজের ক্ষেত্রেও পিঠের দিকের অংশে নানা রকমের কারুকার্য থাকে। কখনো কখনো সেটা কিন্তু শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় যা হয়তো বুঝতেও পারেন না যিনি সেই পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।স্কিন ফিট ট্রাউজার এরকমই একটি পোশাক বটে যা যথেষ্ট অশালীন।
তবে এইসবের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় কথা হলো মানুষ নিজে সেটা বুঝতে পারছে কিনা ।এখন আপনি বলতে পারেন একেকজনের একেক রকমের পছন্দ। অবশ্যই কিন্তু যা কিছু দৃষ্টিকটু ,তা তো অন্যের দৃষ্টি দিয়েই দেখতে হবে আপনাকে তাই না?