Breaking Bharat: নানাবিধ রোগের উপশম করে ও আমাদের সুস্থভাবে বাঁচতে সাহায্য করে ওষুধ। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বাজারে যে ধরনের ওষুধ (Medicines) পাওয়া যায়, তা প্রধানত দুই ধরনের, ‘ব্র্যান্ডেড’ ও ‘জেনেরিক ওষুধ’। মডার্ন মেডিসিনে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তা প্রধানত রাসায়নিক বা কেমিক্যাল পদার্থ। একাধিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পরীক্ষাগারের মধ্যে, বিশেষভাবে প্রস্তুত হয়।
প্রতিটি ওষুধ একেকটি ভিন্ন ভিন্ন রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি (Made with different chemical ingredients), এই উপাদানগুলোর নামও ভিন্ন। উপাদানগুলির উপর ভিত্তি করে প্রতিটি ওষুধের একটি স্বতন্ত্র নাম থাকে।কোনও একটি সংস্থা যখন নতুন কোনও ওষুধ আবিষ্কার করে, তখন তাকে ‘পেটেন্টেড ওষুধ’ বলে। সেই ওষুধের উপাদান অনুযায়ী, তার একটি রাসায়নিক নামও থাকে, যা একেবারেই স্বতন্ত্র (Medicine helps us to live a healthy life)।
আন্তর্জাতিক পেটেন্ট-এর নিয়ম অনুসারে, এই ধরনের পেটেন্টেড ওষুধ প্রথম ১৫ বছর শুধুমাত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাই বাজারজাত করতে পারে। এই কারণে এই ধরনের ওষুধের দাম (Medicine price) সাধারণ বা জেনেরিক ওষুধের থেকে বহু গুণ বেশি হয়, তারও অনেক কারণ রয়েছে।
কেন পেটেন্ডেড ওষুধের দাম বেশি হয়? (the price of patented medicine higher)
প্রথমত, নতুন ওষুধ আবিষ্কার করতে কোনও একটি কোম্পানিকে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করতে হয়। আর দ্বিতীয়ত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায়, কোম্পানি নিজের মতো দামে তা বিক্রি করতে পারে।
আরো পড়ুন- গরমের দিনে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি? পাতে কী খাবার রাখবেন, কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?
জেনেরিক ওষুধ কী? (generic drugs)
অনেকেই হয়তো, জেনেরিক ওষুধের নাম শুনেছেন। কারও কারও মধ্যে এই নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকলেও অনেকেই এই নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করেন। তাই জেনেরিক ওষুধ সসম্পর্কে আগে জেনে রাখা ভাল। সাধারণত যে কোনও পেটেন্টেড ওষুধ পনেরো বছর পর জেনেরিক ওষুধে রূপান্তরিত হয়। এই সময় অন্য কোনও সংস্থা এই ওষুধ তাদের মতো করে তৈরি করতে পারে এবং বাজারজাত করতে পারে, কিন্তু ওষুধের নাম পরিবর্তন করতে পারে না।
আরো পড়ুন- মে মাস পড়তেই ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাজুড়ে! এমনটাই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের মানুষ
সাধারণত এই ধরনের ওষুধের দাম ব্র্যান্ডেড ওষুধের থেকে ২০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কম হয়। তাই বিদেশে জেনেরিক ওষুধ ব্র্যান্ডেড ওষুধের থেকে অনেক বেশি ব্যবহৃত। এই মুহূর্তে সমগ্র বিশ্বে প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জেনেরিক ওষুধ বিক্রি হয়, আর আমেরিকায় এর পরিমাণ ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে আমাদের দেশে বিক্রি হয় প্রায় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্র্যান্ডেড ওষুধের তুলনায় জেনেরিক ওষুধের দাম অনেক কম। কেন জানেন?
জেনেরিক ওষুধের বহুল জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এর মূল্য। এই জাতীয় ওষুধের দাম কম হওয়ার প্রধান কারণ হল, ব্র্যান্ডেড ওষুধের তুলনায় জেনেরিক ওষুধের বিজ্ঞাপনের খরচ অনেক কম। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, ব্র্যান্ডেড ওষুধের ক্ষেত্রে এই খরচ ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি হয়, কারণ ব্র্যান্ডেড ওষুধের প্রচার করার জন্য যে কোনও কোম্পানির একটি আলাদা বিভাগ ও বড় দল থাকে।
আরো পড়ুন- দেব ও রুক্মিণীর সিনেমা ‘কিশমিশ’ দেখার পর দেবের বাবা কি জানিয়েছিল ?
বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত জেনেরিক ওষুধের সুবিধা আসলে কী? (the benefits of generic drugs)
১) এই ধরনের ওষুধ দামে পেটেন্টেড ওষুধের থেকে অনেক কম।
২) নিয়মের কড়াকড়ি অনেক কম, তাই বাজারজাত করাও অনেক সহজ।
৩) সমগ্র বিশ্বে যত রকম এর মলিকিউল আছে তার বেশিরভাগই জেনেরিক ওষুধ।
৪) সর্বোপরি এই ধরনের ওষুধ বিক্রি করে সংস্থার লাভ অনেক বেশি।
সুতরাং এই কাজে কোম্পানির অনেক খরচ হয়, আর তাছাড়া আরও অনেক পদ্ধতিগত ও পরিচালনগত খরচ তো আছেই, সব মিলিয়ে ব্র্যান্ডেড ওষুধ বাজারজাত করার জন্য বিজ্ঞাপনের খরচ অনেক, সেখানে জেনেরিক ওষুধের বিজ্ঞাপনের খরচ খুবই নগণ্য, তাই স্বাভাবিকভাবেই জেনেরিক ওষুধের দাম অনেক কম হয়।