Breaking Bharat: কৃষ্ণ নাম হরিনাম বড়ই মধুর, মায়াপুরের ইসকন (Mayapur Iskcon ) সম্পর্কে জানেন? যে জন কৃষ্ণ ভজে সে বড় চতুর! কৃষ্ণ প্রেমে পাগল পারা মন তার ভক্তরস খুঁজে পায় ইসকনে? কেন?
ঈশ্বর লাভ মনুষ্য জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। আর সেই ঈশ্বরকে নানা রূপে পাওয়ার চেষ্টা করে যাওয়াটাই ভক্তি মত। যাঁরা বৈষ্ণব প্রেমে বিশ্বাসী তাঁদের কাছে ঈশ্বর চেতনা কৃষ্ণ প্রেমে তাৎপর্যপুর্ন হয়ে ওঠে। আর সেই মন তখন ইসকনের ঠিকানা খুঁজে বেড়ায়।
আসলে “আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ” এর সংক্ষিপ্ত রূপই হল “ইসকন”। রথের সময় ইসকনের মন্দির বা মেলা দেখার ভিড় চোখে পড়ার মতো। আজ সেই ইসকন নিয়েই কিছু কথা (Mayapur Iskcon temple is famous)।
ইসকন বলতেই সবার আগেই মায়াপুর নগরীর কথা মনে আসে। যদিও ইসকন এর ব্যাপ্তি দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন শ্রীল অভয়চরনারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ, সংক্ষেপে শ্রীল প্রভুপাদ। ইসকন হল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বা গোষ্ঠী বা সংঘ।
ইসকন মায়াপুর (mayapur mandir) পবিত্র গঙ্গার পাশে অবস্থিত একটি পবিত্র ধাম। বৃন্দাবন, জগন্নাথ পুরী, মথুরা, অযোধ্যা এবং অন্যান্য ধর্মস্থানের মতো এটি আধ্যাত্মিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস, বার্লিন, টোকিও, সিডনি ইত্যাদি ইত্যাদির তুলনায় এখানে মানে বঙ্গে মায়াপুর ইসকনের জীবনযাত্রা একেবারেই আলাদা ।
ইসকনের মাহাত্ম আজ বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। মায়াপুর মূলকেন্দ্র। এটি ইস্কনের ওয়ার্ল্ড সদর দফতর তাই এখানে প্রচুর ভক্ত রয়েছে। নিজস্ব বিদ্যালয়, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুবিধা, আবাসন ক্ষেত্র এবং মন্দির প্রাঙ্গণে ৫০ টিরও অধিক বিভাগের রয়েছে।এখানে বেতনে চাকরি না পেয়েই পরিচালনা কাজ করা যায়।
এখানে প্রাণবন্ত বহু-জাতিগত সম্প্রদায় রয়েছে, অ্যালকোহল, মাদক মুক্ত। আধুনিক জীবনের অন্যান্য কম আকর্ষণীয় দিকগুলির সংস্পর্শে না এসে বড় হতে পারে। দেবদেবতা এবং তাদের উপাসনা, উৎসব, অনুষ্ঠানে সারাবছর কীর্তনগুলি বিশালতা, সকাল, সন্ধ্যা আরতি এবং সারা বছর ধরে মায়াপুর আসতে থাকে ভক্তদের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ।
সারা বিশ্বে বিভিন্ন স্থানে ইসকন মন্দির রয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে একজন অধ্যক্ষ থাকেন (টেম্পল প্রেসিডেন্ট)। টেম্পল প্রেসিডেন্ট হলেন মন্দিরের প্রধান কর্মকর্তা। বেশিরভাগ লোক প্রথমে নিজ দেশে ইসকনে যোগদান করে এবং তারপরে তারা মায়াপুরে আসে (ISKCON temple in the world)।
আরো পড়ুন- Arm veins : অনেকের হাতের শিরা উপশিরা দেখা যায় বলে মনে হয়, জানেন কি কেন এমন হয়?
চীন, রাশিয়া এবং অন্যান্য কমিউনিস্ট দেশ থেকে ইসকনের প্রচুর ভক্ত রয়েছ (ISKCON has a lot of fans)।ইস্কনের অতিথিশালায় সামান্য ভাড়ায় থাকা ও খাওয়ার আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ যেকোনো ধর্মের মানুষকে এখানে স্বাগত জানানো হয়।শ্রী মায়াপুর আন্তর্জাতিক বিদ্যালয় ভক্তবৃন্দ, একাডেমি ছেলে এবং প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের জন্য বৈদিক গুরুকুল পদ্ধতির নীতিগুলির উপর শিক্ষার ব্যবস্থা আছে (Mayapur open for visitors)।
আরো পড়ুন- Hazarduari : মুর্শিদাবাদের হাজার দুয়ারীর নাম শুনেছেন? তবে হাজার দুয়ারীর ইতিহাস জানেন?
ইসকন এর মূল উদ্দেশ্য নিয়ে এবার আলোচনা করা যাক।জনসেবা, শিক্ষা, ধর্মচর্চা, অধ্যাত্মচর্চা – এই হল ইসকনের মূল লক্ষ্য। ভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদ্ভাগবতের অনুসরণে কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার করা এই সংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য (Iskcon Mayapur biggest temple)।
আরো পড়ুন- Cancer medicine : সুখবর! মারণ রোগ ক্যানসার নিয়ে আর চিন্তা নেই, এসে গেল ক্যানসারের ওষুধ
একটি সরল এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক জীবনধারা সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা থেকে শুরু করে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তিত সমবেত ভগবানের দিব্য নাম কীর্তন করার যে সংকীর্তন আন্দোলন, সে সম্বন্ধে সকলকে শিক্ষা দেওয়া এবং অনুপ্রাণিত করা।