Breaking Bharat: আপনি কি জানেন চন্দ্রযান-৩ মিশনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে? ইসরো প্রধান এস সোমনাথের কত স্যালারি পান?
সবার নজর এখনো আকাশের দিকে। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান – 3 পা রেখেছে। ইতিহাস তৈরী হয়েছে। কাজটা সহজ ছিল না। এর আগে চন্দ্রযানের অপারেশন ফেল করেছে। এবার আর সেই ভুল যাতে না হয় তার জন্য বিজ্ঞানীরা সমস্ত রকমের পরিকল্পনা করেছেন। এখনো পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তু এসবের নেতাকে যিনি রয়েছেন তার কথা কি আমরা জানি?
আজকে মিডিয়ার যুগে কিন্তু কোন কিছুই অজানা নেই। চন্দ্রযান-৩ মিশন শুরুর দিন থেকে খবরের শিরোনামে রয়েছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। চন্দ্রযান দিয়ে যখন এত আলোচনা আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিন ইসরো প্রধানের জীবনী সঙ্গে পরিচয়।
ইসরো চেয়ারম্যানের পুরো নাম শ্রীধরা পানিকার সোমনাথ:
এটা নিয়ে নতুন করে বলার নেই যে ভারতের চন্দ্রযান অভিযান সকলের মধ্যে একটা আলোড়ন তৈরি করেছে। আর মানতেই হবে যে চন্দ্রযান-৩ মিশন শুরুর পর থেকেই খবরের শিরোনামে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। এই মিশন সফল ভারতের পাশাপাশি মিশ্র এবং সবার আগে তাঁর মাথায় জুড়েছে কৃতিত্বের নতুন পালক। ইসরো চেয়ারম্যানের পুরো নাম শ্রীধরা পানিকার সোমনাথ।
তিনি বর্তমানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান তথা একজন মহাকাশ প্রকৌশলী এবং রকেট বিজ্ঞানী। উনার সম্পর্কে জানতে গেলে বলতেই হয়, যে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে পরিচালক হিসাবে কাজ করার সময় প্রচারে আসেন এবং খ্যাতি পান।
আরো পড়ুন – সানি দেওয়ালের ডায়লগেই ঘায়েল পাকিস্তান? কী কাণ্ড ঘটেছে কাঁটাতারের ওপারে?
কিন্তু এটা একদিন হঠাৎ করে সকালবেলা উঠেই হয়েছে এমনটা মোটেই নয়। দিনের পর দিন পরিশ্রমের পরেই সাফল্য এসেছে । প্রাথমিকভাবে একটা মহাকাশ অভিযানের আগে সেই যানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে স্ট্রাকচারাল ডিজাইনিং, মহাকাশযানের গতি, বিস্ফোরক প্রক্রিয়া অন্যান্য ক্ষেত্রে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সব কিছুরই নেপথ্যে রয়েছে তাঁরই অবদান।
আরো পড়ুন – সানি দেওয়ালের ডায়লগেই ঘায়েল পাকিস্তান? কী কাণ্ড ঘটেছে কাঁটাতারের ওপারে?
এর আগেরবার চন্দ্রযান অভিযান যখন হয়েছিল তখন দায়িত্বে ছিলেন কে. সিভান। তার পর সোমনাথ ইসরো প্রধানের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন এবং ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি ইসরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে অফিসিয়ালি বসেন তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় পরিবারের তার জন্ম।
সোমনাথের বাবা স্কুলের শিক্ষকতা করতেন। বলা যেতে পারে কেরিয়ার শুরুর দিকে বাবাই ছিলেন সোমনাথের আদর্শ-পথপ্রদর্শক। তিনিই ছিলেন সোমনাথের চোখে প্রথম রোল মডেল। ছেলের পড়াশোনার দিকে অবশ্য বাবার পাশাপাশি মা থাংকাম্মারও ছিল কড়া নজর। অঙ্ক এবং ফিজিক্স নিয়ে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন সোমনাথ।
আরো পড়ুন – রিলায়েন্স থেকে এক টাকাও স্যালারি নেন না মুকেশ আম্বানি? কিন্তু কেন জানেন?
এরপর ১৯৮৫ সালে কোল্লামের টিকেএম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক ডিগ্রি পান।১৯৯৫ সালে ব্যাঙ্গালোরের থেকে মহাকাশ প্রকৌশল এবং গতিবিদ্যা নিয়ন্ত্রক বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার পর ফের তিনি পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রী হাসিল করেন।
আরো পড়ুন – চাঁদে সত্যিই মানুষ গেলে সেখানে টয়লেট মানে বাথরুম থাকবে কি?
১৯৯৫ সালে ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে প্রথম চাকরি পান সোমনাথ। একই বছরে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের প্রজেক্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন । এরপর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে মাসিক আড়াই লক্ষ টাকা বেতন পান আর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ছয় কোটি টাকার কাছাকাছি।