Mass resignation of women at TCS: টাটার মত নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে মহিলারা ইস্তফা দিচ্ছেন? হঠাৎ করে টিসিএস এ কেন মহিলাদের গণ ইস্তফা? সংস্থার কর্মীরা কার্যত গণ ইস্তফা দিচ্ছেন, আর অবাক করার মত বিষয় হলো সেই তালিকায় বেশিরভাগই মহিলা। কেন?
প্রতিটা মানুষ একটা ভালো কোম্পানিতে চাকরি করার স্বপ্ন দেখেন যাতে তার ভবিষ্যৎ কিছুটা হলেও নিশ্চিত হয়। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে সরকারি চাকরি না পেলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বলতে এক বাক্যে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখে টাটা কোম্পানির ওপরে। অথচ সেই টাটা থেকে গণ ইস্তফার খবর? ঠিক কি ব্যাপার বলুন তো?
কোম্পানির বিরুদ্ধে কেন চরম পদক্ষেপ?
সম্প্রতি এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে অনেকেই নতুন করে ভাবনা চিন্তা করতে শুরু করেছেন। এমন কোন ঘটনা ঘটলো যে কারনে টাটার মত নির্ভরযোগ্য এক প্রতিষ্ঠান থেকে মহিলারা ইস্তফা দিচ্ছেন? তাহলে কি এমন কোন কাণ্ড ঘটেছে যেখানে মহিলাদের সম্মান জনিত কোন সমস্যা তৈরি হয়েছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমীক্ষা থেকে উঠে আসা তথ্য অবাক করেছে গোটা বিশ্বকে।
সাধারণত যেকোনো সংস্থার মালিক তার কর্মীদের থেকে একশ শতাংশ পরিষেবা উসুল করে নিতে চান। কিন্তু রতন টাটা যে কোম্পানির মাথায় বসে আছেন সেখানে একটু অন্যরকমের চিন্তাভাবনা হয়। আসলে তিনি যে ভারতের বিখ্যাত বিজনেসম্যান এটাই নয় পাশাপাশি তিনি একজন ভালো মানুষ সে পরিচয় বারবার পাওয়া গেছে।
এবার সেই ‘টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস‘ ভারতের অন্যতম বড় আইটি সংস্থায় সমস্যা হলে সেটা তো খবরের শিরোনামে নামে উঠে আসবে এটাই স্বাভাবিক। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো সংস্থার কর্মীরা কার্যত গণ ইস্তফা দিচ্ছেন, আর অবাক করার মত বিষয় হলো সেই তালিকায় বেশিরভাগই মহিলা। কেন?
টিসিএস থেকে মহিলাদের গণ ইস্তফার কারন:
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে রিমোট কাজ করার সুবিধা চলে যাওয়ার জেরেই সেই সংস্থায় কার্যত গণ ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। এই প্রসঙ্গে মুখে কিছু না বললেও টিসিএস কর্তৃপক্ষ কার্যত মেনেও নিয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই একাধিক মহিলা কর্মী ইস্তফা দিচ্ছেন। এখানে একটু বলে রাখা দরকার যে এই কোম্পানিতে ৬ লক্ষ কর্মী কাজ করেন যার মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ কর্মী মহিলা।
আরো পড়ুন – Rachna Banerjee: দিদি নাম্বার ওয়ান রচনা ব্যানার্জী নতুন ব্যবসা খুলছেন? কি সেই ব্যবসা?
বাড়ি থেকে কাজ মানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর। সেই সময় স্বাস্থ্য কে নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল গোটা দেশের বিভিন্ন সংস্থা । কিন্তু এখন এই রোগ নিয়ে আর খুব একটা বেশি আলোচনা নেই।
আরো পড়ুন – চাকরির জন্য সুযোগ্য গড়ে তোলার দায়িত্ব এবার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের? জানেন?
মনে করা হচ্ছে ভ্যাকসিন এর জেরে এই রোগ কে পরাস্ত করতে বিশ্বের পাশাপাশি ভারতও সমর্থ হয়েছে। তাই নিউ নরমাল থেকে আবার ব্যাক টু ওল্ড নরমালে ফিরেছে জীবনযাত্রা। চেনা অফিসে এসে কাজ করার পরিবেশ আবার তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু এতেও নাকি মানিয়ে নেওয়ার সমস্যা হচ্ছে অনেকের।
আরো পড়ুন – বিরাট কোহলির জঘন্য হার! অনুষ্কা শর্মার জন্যই বিশ্ব টেস্টের ফাইনালে হেরেছে ভারত?
ঠিক এই সময়ে কাজের গতি আর ছন্দ বাড়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করা এখন বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর এটা করতে না করতেই একাধিক সংস্থাতেই দেখা গিয়েছে একলাফে ইস্তফার বহর।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সমীক্ষা করা হয়, সেখানে দেখা গেছে যে বাড়ি থেকে কাজ করা কর্মীদের প্রায় ২৫ শতাংশই জানিয়েছিলেন, আর কখনও অফিসে ফিরতে না হলেই ভাল হত। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেও এর প্রভাব পড়ল।