Alto Tour H1: চারচাকা কেনার স্বপ্ন দেখছেন? মারুতি সুজুকি আপনার জন্য নিয়ে এল এক দুর্দান্ত গাড়ি। গাড়ির দাম একেবারে নাগালের মধ্যে, তবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই গাড়ি ব্যবহার করা যাবে। জানেন কত দাম?
আজকালকার দিনে মানুষ একটু আরামের মধ্যে থাকতে চায়। সেই কারণে দুই চাকার পর এবার চার চাকার খোজ শুরু করেছে মানুষ। আরে বাবা একটু আরাম করে এসি চালিয়ে গাড়িতে করে এখানে ওখানে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্ন তো সকলেরই থাকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে স্বপ্ন দেখলেই তো হলো না সেই স্বপ্ন সত্যি করার মত পকেটের টাকা থাকা চাই।
এখানেই যত সমস্যা কারণ চারচাকা গাড়ি মানে এত টাকার খরচ যে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ গাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়। এই সমস্ত মানুষের কথা ভেবেই মারুতি দুর্দান্ত সস্তায় একটা দারুন গাড়ি লঞ্চ করেছে। যাক ফাটাফাটি মাইলেজ আপনাকে চমকে দেবে।
মারুতি সুজুকি এনেছে হ্যাচব্যাক Alto Tour H1 গাড়ি:
আমরা বলছি হ্যাচব্যাক Alto Tour H1 গাড়ির কথায় যা এনেছে মারুতি সুজুকি। গাড়ির দাম একেবারে নাগালের মধ্যে। তবে একটু বলে রাখা দরকার যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই গাড়ি ব্যবহার করা যাবে। এর এক্স শোরুম প্রাইস রাখা হয়েছে মাত্র ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
চলুন গাড়ি সম্পর্কে কয়েকটা তথ্য আপনাদেরকে জানানো যাক। মারুতির বেশিরভাগ গাড়ির মতো এই গাড়ির ক্ষেত্রেও পেট্রোল ও সিএনজি জ্বালানির অপশন পাবেন আপনি। সিএনজি মডেলটি এক কেজি গ্যাসে ৩৪.৪৬ কিলোমিটার মাইলেজ দেবে বলে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।
এবার একটু বিস্তারিত দাম সম্পর্কে জানা যাক:
এই মুহূর্তে কোম্পানির তরফে Alto Tour H1 কে দুটি ভ্যারিয়েন্টে হাজির করা হয়েছে – TOUR H1 1L 5MT ও TOUR H1 CNG 1L 5MT। প্রথমটি পেট্রোল চালিত এবং দ্বিতীয়টি সিএনজি মডেল। এদের শোরুম মূল্য যথাক্রমে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা ও ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা (Maruti Suzuki Alto Tour H1 Price)।
আরো পড়ুন – দিল্লির হেড কনস্টেবল কী ভাবে সাফল্য পেলেন? কী তার নাম, কীভাবে বদলালো জীবন?
এই মুহূর্তে বাজারে গাড়িটি তিনটি কালার অপশনে উপলব্ধ হচ্ছে, সেগুলি হল মেটালিক আর্কটিক হোয়াইট, গ্রানাইট গ্রে, এবং মেটালিক সিল্কি সিলভার। এই গাড়িকে যথেষ্ট পরিমাণ গতিশীল করতে এতে একটি ১.০ লিটার ডুয়েল জেট, ডুয়েল ভিভিটি কে-সিরিজ ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন – সোনার আংটি সহজেই ভাগ্য বদলে দিতে পারে কি? সোনা, সকলের সহ্য হয় না, জানেন তো?
যার পেট্রোল ভ্যারিয়েন্ট থেকে ৫,৫০০ RPM গতিতে ৬৫.৬ এইচপি ক্ষমতা এবং ৩,৫০০ RPM গতিতে ৮৯ এনএম টর্ক পাওয়া সম্ভব । এবার তাহলে সিএনজি মোডের কথা বলা যাক। এই অপশনে ৫,৩০০ RPM গতিতে ৫৫.৮ এইচপি এবং ৩,৪০০ RPM গতিতে ৮২.১ এনএম আউটপুট মিলবে। মাইলেজ পেট্রলের ক্ষেত্রে ২৪.৬০ কিমি/লিটার এবং সিএনজি এর ক্ষেত্রে ৩৪.৪৬ কিমি/কেজি।
আরো পড়ুন – কেন ভেঙেছিল জব উই মেট জুটি? করিনা কে নিয়ে কী বলছেন শাহিদ?
দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে সুরক্ষা জনিত ফিচারস বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে। গাড়ি চালাতে গিয়ে কোন কারনে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যাত্রী এবং চালকের যাতে বড় কোনো আঘাত না লাগে সেই ব্যাপারটি মাথায় রেখে সুরক্ষাজনিত ফিচারের তালিকায় উপস্থিত ডুয়েল এয়ারব্যাগ,
ইলেকট্রনিক ব্রেকফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন, প্রি-টেনশনার এবং ফোর্স লিমিটার সহ ফ্রন্ট সিট বেল্ট , ইঞ্জিন ইমমোবিলাইজার সহ অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম,রিভার্স পার্কিং সেন্সর, স্পিড লিমিটিং সিস্টেম, ইত্যাদি।