Breaking Bharat: এই দেশের বিবাহিত দম্পতিরা আলাদা ঘরে, আলাদা বিছানায় ঘুমায় (Sleep)! কেন জানেন? বিয়ে মানে এক ছাতার তলায় থাকার লাইসেন্স, কিন্তু যদি নিয়ম করে আলাদা ঘরে ঘুমোতে হয় স্বামী স্ত্রী কে, কি হবে?
যদি বিবাহিত দম্পতি দের আলাদা থাকতে বলা হয় তবে?
প্রতিবেদনের প্রথম লাইনেই মহা সংকটের কথা বলা কি ঠিক? মানে মিলনের আগেই বিরহের ক্লাইম্যাক্স। না না শেষ নয় এই তো সবে গল্প শুরু। যুগে যুগে দেখেছেন বিয়ের পর নারী পুরুষ একসঙ্গে থাকে। মানে সহ বাস। এক ছাদের নিচে থাকা শুধু নয়, এক বিছানায় ঘুমানো। মানে সবটাই হয় একসঙ্গে যুগলে। কিন্তু যদি নিয়ম করে বিবাহিত দম্পতি দের আলাদা (Married couples are separated) থাকতে বলা হয় তবে?
দুটো মানুষের সম্পর্ক দুজনের সদিচ্ছায় বেড়ে ওঠে গড়ে ওঠে। এটা তো সত্যি কথা যে বিয়ের পর দুজনে দুজনকে নিয়ে এক ঘরে থাকতে চান, যদিও একঘরে হয়ে নয় অবশ্যই। এতে একে অন্যের গন্ধ স্পর্শ আর অভ্যাস মিশে যায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
কোন দেশ? কেন এমন অদ্ভূত নিয়ম?
কিন্তু পৃথিবীতে এমন দেশ আছে যেখানে বিবাহিত দম্পতিরা আলাদাভাবে ঘুমায় (Married couples sleep separately)। জানেন কোন সেই দেশ, আর কেন এমন অদ্ভূত নিয়ম? ছোট ছোট ঘর বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট এর জন্য অনেক জাপানি দম্পতি আলাদা আলাদা বিছানায় ঘুমায় তা নয়।
আবার এটি তাদের কোন প্রকার দাম্পত্য সম্পর্কের সমস্যার কারণেও নয়, তারা বিশ্বাস করে যে এটি তাদের পক্ষে ভাল। কি কিছুটা অবাক হওয়ার মতো কথা বললাম তো? আসলে এমন কথা বলছে সার্ভে, আমরা নই। আসলে যতই সাধারণ চিন্তা ভাবনায় দুটো মানুষের একে অন্যের সঙ্গে থাকা প্রয়োজন।
কিন্তু ওই দেশে ভাবনা চিন্তা আর যুক্তি অন্যরকম। আসলে জাপানের মানুষ (Japanese people) মনে করেন যে এতে একে অন্যকে বিরক্ত করা হয় না। প্রত্যেকের নিজস্ব স্পেস থাকে। আর এর ফলে দাম্পত্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকে উভয়পক্ষেরই। জাপানি দম্পতিরা আলাদাভাবে ঘুমোতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তার অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল তাদের কাজের ধরন (Japanese couples decide to sleep separately)।
জাপানি মায়েরা তাদের বাচ্চাদের সাথে ঘুমায়?
মানে সেই দেশে বেশির ভাগ নারী পুরুষ উভয়ই কাজ করেন। সেক্ষেত্রে কাজের সময় আলাদা হওয়ায় অনেককেই কাক ধরে বা গভীর রাতে ফিরতে হয়। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর যাতে অসুবিধা না হয় সেই কারণে অনেকেই আলাদা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ শরীরের জন্য ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুন- Brothel soil : বেশ্যা বাড়ির মাটি ছাড়া দূর্গা পূজা হয় না! কিন্তু কেন হয় না সেটা জানেন?
যাতে সেই ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটে তাই এরকম ভাবনার জন্ম হয়েছে তাদের মনে। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সন্তান। জাপানি মায়েরা তাদের বাচ্চাদের সাথে ঘুমায় এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়, তাই পিতাকে একই বিছানা ভাগ করতে চান বা অন্য কোনও ঘরে যেতে চান কিনা তা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে মায়ের সাথে শিশুর ঘুম খুব ভাল হয় (Baby sleeps better with mom)।
আরো পড়ুন- Surgery : আপনি কি অপারেশনে ভয় পান? ডাক্তার কি অপারেশনের কথা বলেছেন?
এটি বাচ্চাকে একটি স্থিতিশীল তাপমাত্রা এবং হার্ট রেট বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং একই সাথে এটি হঠাৎ শিশুমৃত্যুর সিনড্রোমের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
অনেকেই ভাবেন দূরত্ব সম্পর্ককে আলাদা করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূরত্ব সম্পর্ককে গভীর করে। আসলে জাপানের মানুষ মনে করেন সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে একে অন্যকে বোঝা দরকার।
আরো পড়ুন- Ghost : বাস্তবে কখনো ভূত দেখেছেন? আদৌ ভূতের অস্তিত্ব সম্পর্কে কতটা সন্দিহান আপনি?
আপনার পার্টনারের শোয়ার ভঙ্গি আর ব্যস্ততা কিংবা অভ্যাস আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। তাই সে ক্ষেত্রে স্পেস দেওয়া দরকার। আর যে কোন সম্পর্কে মনের টান শেষ কথা বলে। এবার আপনিও ভাবতে পারেন।