Breaking Bharat : কোভিড (Covid) নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হলেও এটাও সত্যি যে, অনেকের মধ্যে নানা উপসর্গ দেখা গেলেও কাবু করতে পারেনি করোনা ভাইরাস। এর কারণ জানলে অবাক হবেন অনেকেই। করোনা নিয়ে ভীতি এখনও সম্পূর্ণভাবে মানুষের মন থেকে উধাও হয়েছে, এমনটা বলা যায় না। তবে এটাও ঠিক, সংখ্যায় কম হলেও তুলনামূলকভাবে আতঙ্কের চেয়ে সতর্ক থাকার উপায়কেই অবলম্বন করেছেন অনেকে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রায় প্রতিটি মানুষই হারিয়েছেন নিজের কোনও না কোনও প্রিয়জনকে। করোনার নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Corona is always a new variant) নানা দেশের উপর বিগত দুই বছরে নানা সময়ে ঢেউয়ের মতন আছড়ে পড়েছে৷ যদিও করোনার তিনটি ঢেউ পেরিয়েও এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হননি বহু মানুষ। কোনও ভাবেই এই রোগ প্রভাব ফেলতে পারেনি তাদের শরীরে।
এমনকি আশেপাশের সমস্ত মানুষ রোগাক্রান্ত হলেও অনেকেই নেগেটিভ থাকতে সক্ষম হয়েছেন (Many have been able to stay negative)। কিন্তু কীভাবে? একাধিক ওয়েভ সত্ত্বেও কেন কিছু মানুষের করোনা হয়নি, জানেন?
করোনার দাপট থেকে বাদ যায়নি আমাদের দেশ ভারতও। কোভিডের প্রথম ঢেউ চলাকালীন অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। সেই সময় সৃষ্টি হয়েছিল রীতিমত ভয়ের পরিবেশ। কারণ সম্পূর্ণভাবে অচেনা ছিল এই রোগ। এরপর আসে দ্বিতীয় ঢেউ। যা সবথেকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল দেশে৷ এই ভ্যারিয়েন্টের নাম ডেল্টা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে সবথেকে বেশি মানুষ প্রাণ হারান ভারতে।
আরো পড়ুন- Narendra Modi : ডিপোজিট বিমা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
এই সময় দেশে ভয়াবহ বেড ও অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তারপর দেশে আসে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রনের সংক্রমণ হার ছিল বিগত দুটি ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় তিন গুণ বেশি। যদিও এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের রোগের লক্ষণ ছিল আশ্চর্যজনকভাবে কম। কিন্তু আলফা, ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মাঝেও অনেকে নেগেটিভই থেকেছেন। কিন্তু কীভাবে, তার উত্তর দিয়েছেন গবেষকদের কেউ কেউ।
এই সংক্রান্ত একটি গবেষণার প্রধান লেখক ড. রিয়া কুণ্ডু জানাচ্ছেন, অনেক মানুষের শরীরে কমন কোল্ড ভাইরাসের কারণে টি সেল দেখা যায়। এই টি সেলের কারণেই করোনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন অনেকে। তাঁর দাবি, কোভিডের দাপট শুরুর অনেক আগে থেকেই আমাদের পরিবেশে করোনার অস্তিত্ব ছিল।
আরো পড়ুন- Mohammed Siraj : ক্রিকেট ছেড়ে অটো চালানোর পরামর্শ ! সেই সময়ে পাশে পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে
অনেকেই সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের শরীরে রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। এই অ্যান্টিবডিই কোভিডের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিচ্ছে তাঁদের। যদিও এই মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। অত্যন্ত কম হওয়ায় এই সংখ্যা দিয়ে কোনও উদাহরণ তৈরি করা যাবে না বলেও তিনি মনে করেন৷ তাই করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় করোনা বিধির যথাযথ পালন, এমনটাই মনে করছেন তিনি। আর সেই কথাই উঠে এসেছে তাঁর বয়ানে।