Breaking Bharat: মান্না দে আর দেবী শেঠি (Manna Dey and Devi Shetty): দুই গুণী মানুষের এক সহজ সরল সত্যি, যা জানলে চমকে যাবেন আপনিও! এই পৃথিবীতে নানা সময়ই নানা রকমের ঘটনা ঘটে। সবকিছুর সত্যতা যাচাই সম্ভব হয় না। কিন্তু কখনো কখনো এমন ঘটনা চোখের সামনে আসে মনে হয় এগুলো নিয়ে কিছু লেখা যেতে পারে।
শুধুমাত্র পাতার পর পাতা ভরিয়ে তোলা নয়, একটা ফিল গুড অনুভূতিকে সামনে তুলে ধরা। যেটা দেখতে দেখতে বা পড়তে পড়তে কিংবা ধরুন কারোর কাছে শুনলে আপনার মনটা বলবে বাহ দারুন তো! অচিরেই আপনি হেসে উঠবেন। আজকের প্রতিবেদনে চেষ্টা করব সেইরকম একটা অনুভূতির মাধ্যমে আপনাকে ছুঁয়ে যেতে।
আজ কথা বলব কিংবদন্তি গায়ক মান্না দে-র (Manna Dey) জীবনের একটি ঘটনা নিয়ে। স্বনামধন্য গায়ক তখন মেয়ের কাছে ব্যাঙ্গালোরে। একবার হঠাৎ করেই ভীষণ বুকে ব্যথা হয় গায়কের। তিনি বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠিকে (Devi Shetty) জানান তার অসুস্থতার কথা। বিশিষ্ট চিকিৎসক বুঝেছিলেন বিষয়টা গুরুতর।
কাল বিলম্ব না করে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালে যে সারপ্রাইজ থাকবে ভাবতে পারিনি অসুস্থ মান্না দে। অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা তো দিলেন সেখানে পৌঁছে দেখেন চমকের পর চমক।
প্রবাদ প্রতীম শিল্পী তাদের হাসপাতালে, উচ্ছ্বসিত হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে কর্মী সকলেই। মানে এ যেন এক বিরল দৃশ্য হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা রোগীকে ফুল দিয়ে বরণ করছে হাসপাতাল। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মান্না দে , চোখে আসে জল।
এই ঘটনার পর তার চিকিৎসা শুরু হয় ডাক্তারের কথামতো। স্বয়ং দেবী শেঠি মান্না দের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন (Devi Shetty took charge of treatment)। শিল্পী মন সেকি আর হাসপাতালে আটকে থাকতে চায়? এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই মান্না দে বললেন আর পারছি না এবার ছেড়ে দেওয়া দরকার। ডাক্তার দেবী শেঠি তখন তাঁকে দেখতে এসেছেন।
আরো পড়ুন- Rich and poor : বড়লোক ফুলে ফেঁপে উঠছে আর গরিবরা মাটিতে মিশে যাচ্ছে, মাপ দণ্ড কিন্তু সেই টাকা!
তিনি পরীক্ষা করে বললেন হ্যাঁ মান্না দে সুস্থ হয়েছেন এবার ছুটি দেওয়া যেতে পারে। মান্না দে হাসপাতালের কাছে বিল চাইলেন। সারা ভারত মজেছে যার উদাত্ত রোমান্টিক দরদী গানের ছন্দে তাকে কিনা বিল দেবে হাসপাতাল? তবে না বিল এসেছিল বটে আর সেই বিলে খরচ দেখে চক্ষু চরক গাছ শিল্পীর।
আরো পড়ুন- Sinthir Sindur : সিঁদুর বিবাহিত মহিলার প্রতীক! সিঁথির এই সিঁদুরে, সবকিছু যেন বদলে গেল!
তিনি দেখেন প্রতিটি পরীক্ষা, ওষুধপত্র, ডাক্তারের ভিজিট সবের পাশে শুন্য লেখা রয়েছে। অর্থাৎ সর্বমোট বিল শূন্য পয়সা শূন্য টাকা। মান্না দে তাঁর দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন। তিনি যখন হাসপাতাল ত্যাগ করছেন তখন দেখতে পেলেন প্রথম দিনের মত হাসপাতালের সকল স্বাস্থ্য কর্মীরা লাইন ধরে দু’ধারে দাঁড়িয়ে আছে, হাতে ফুল!
আরো পড়ুন- Dog crying : বাড়ির পাশে কুকুর কাঁদে? অচিরেই অমঙ্গল ঘটার ইঙ্গিত পেলেন?
একজন প্রকৃত গুনীজনই আরেকজন প্রকৃত গুনীজনের কদর বুঝতে পারে। যদিও এই কাহিনীর সত্যতা আমরা যাচাই করার সুযোগ পাইনি কারণ এটা জানা গেছে ইন্টারনেটে দৌলতে।
স্মৃতি যেন ভোলার নয়। মান্না দে তার শেষ জীবন পর্যন্ত এই কথা মনে রেখেছিলেন। আসলে মুকুট পড়েই রইল রাজাই শুধু চলে গেল। ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে তাই এখন সঙ্গী শুধুই স্মৃতি।