Breaking Bharat : মায়ের শখ মেটাতে ভিক্ষে করে পাওয়া কয়েন দিয়েই স্কুটার কিনতে গেলেন ছেলে (Dream Scooter), বালতি ভর্তি ভিক্ষের খুচরো টাকা নিয়ে সটান গাড়ির শো-রুমে!
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন? এই কথাটি আকছার শুনতে পাওয়া যায় বটে! মূলত তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্যেই বলা হয় এই ধরনের কথা। কিন্তু স্বপ্ন ছাড়া কি মানুষ আদৌ বাঁচতে পারে? অন্তত কৃষ্ণনগরে সম্প্রতি যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে আবারও স্পষ্ট যে, চেষ্টা, সততা ও নিষ্ঠা থাকলে স্বপ্ন শুধু দেখাই নয়, পূরণ করাও যেন বাঁয়ে হাতের খেল। ভিক্ষুক মায়ের স্বপ্ন পূরণ (Fulfilling mother’s dream) করতে ভিক্ষে করা খুচরো মুদ্রা নিয়েই গাড়ির শো-রুমে হাজির ছেলে। অবশেষে পূরণ করলেন মায়ের সাধ।
কৃষ্ণনগর পালপাড়া মোড়ের গাড়ি শোরুমের (Car showroom) বাইরে গাড়ি দাঁড়িয়ে। ডিকিতে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের বালতি। সেখানে চকচক করছে খুচরো টাকা। এক টাকার সঙ্গে মিশে আছে কিছু ৫০ ও ২০ পয়সাও। এরপর কয়েকজন বন্ধুবান্ধব সহ একটি ছেলে প্রবেশ করেন সেই শো-রুমে। শো-রুমের মেঝেয় বালতি উপুড় করে ঢালা হয়েছে সব কয়েন।
আর সেই খুচরো টাকা গুনতে ব্যস্ত শোরুমের কয়েক জন কর্মচারী। কী, অবাক লাগছে? শুনতে সিনেমার গল্প মনে হলেও ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar)। সব কয়েন মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা দামের স্কুটার কিনতে শোরুমে গিয়েছিল ছেলেটি (Coins To Pay For His Dream Scooter)।
তাঁর নাম রাকেশ পাঁড়ে। এত খুচরো রাকেশ পেলেন কোথায়? আসলে তাঁর মা ধুলু পাঁড়ে ভিক্ষা করে দুই ছেলেকে মানুষ করেছেন। নিজেরই ভিক্ষার ঝুলি ঝেড়ে কয়েন জমিয়েছিলেন মা। সেই খুচরো টাকা ছেলের হাতে দিয়ে বলেছেন, “যা বাপ, স্কুটার কিনে শখ মিটিয়ে নে।” রাকেশ আরও বলেন, “আসলে কী জানেন তো, আমার চেয়েও মায়ের বেশি শখ যে ঘরে একটা স্কুটার থাক।” তাই মায়ের শখ মেটাতে ভিক্ষের জমানো টাকা দিয়েই স্কুটার কিনতে হাজির হয়েছিলেন রাকেশ (buys scooter with savings in coins)।
আরো পড়ুন- Smallest Phone In The World : বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ফোন! কী, কী সুবিধা রয়েছে এই ফোনে?
একটাকার ছোট কয়েনই বেশি ছিল ওই জমানো পুঁজিতে। কারণ হিসেবে রাকেশ বলেন, তাঁদের এলাকায় ছোট একটাকার মুদ্রা নিতে চান না অনেক দোকানদার। তাই এই কয়েনগুলোই বেশি জমাতেন তিনি। অবশ্য একটাকার কয়েনের সঙ্গে কিছু ৫০ ও ২০ পয়সাও ছিল।
আরো পড়ুন- Aamir Khan : এবার কি আমির খান বলিউডকে বিদায় দিতে চলেছেন ? বিস্ফোরক মন্তব্য অভিনেতার
এই বিষয়ে শো-রুমের ম্যানেজার গৌরব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না, এত খুচরো নিয়ে কী করব। আমাদের ব্যাঙ্কও দোনামোনা করছিল। কিন্তু এগুলো তো অচল টাকা নয়। নেবো না বলি কী করে?” এই বিষয়ে নদিয়া ব্যাঙ্ক লিড ম্যানেজার তপু দত্ত বলেন, “ছোট এক টাকার কয়েন অচল নয়। সবাই তা নিতে বাধ্য। সে কোনও ব্যাঙ্কই হোক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।”