Breaking Bharat: ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখেন? জানেন কি এটা সুস্থতার লক্ষণ নাকি অসুস্থতার? আমি এক ফেরিওয়ালা ভাই, স্বপ্ন ফেরি করে বেড়াই”- এই স্বপ্ন দিনবদলের এই স্বপ্ন আশা পূরণের। স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচে কি? অন্যান্য প্রাণীদের সাথে মানুষের এটাই তো তফাৎ। মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে । আর প্রয়োজন পড়লে সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে।
কিন্তু দিবা স্বপ্ন দেখা নাকি রোগের লক্ষণ, জানতেন?
সিনেমা জীবন থেকে অনুপ্রাণিত কিন্তু জীবন মানেই সিনেমা নয়। এই রঙিন পর্দায় যেগুলো বাস্তব হয়ে ওঠে, বাস্তবের কঠিন পরিস্থিতিতে সেইসব ততটাই সাদাকালো হয়ে ধরা দেয় জীবনে। কেন মনে হয় এবার হয়তো চমৎকার কিছু একটা ঘটবে? হয়ত একেই বলে স্বপ্ন দেখা। কিন্তু সেই স্বপ্ন কি বাস্তব এর উপর ভিত্তি করে দেখছেন ? (Dreaming is based on what is real)
যদি না হয় তাহলে তা তো অলীক কল্পনা। সেটা সত্যি করতে গেলে রূপকথার গল্প লাগবে, রিয়েলিটি নয়। মনে রাখা দরকার নিজেকে পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করতে হবে (to work hard to achieve success)। চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু যদি শুধু কল্পনাই করে যান, তাহলে তো আপনার মানসিক সমস্যা তৈরি হবে। কী করে কাটিয়ে উঠবেন এই রোগ?
এবার একটু ডাক্তারি পরিভাষায় কথা বলা যাক। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে আকাশ কুসুম কল্পনা হল মানুষের মনের এক ধরনের রোগ। এর থেকে পরিত্রাণের পথ আপনাকে নিজেকে খুঁজে ফেলতে হবে। দেখুন না চেষ্টা করে। ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি বিশ্বাস রেখে জীবন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। আপনার পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন, পালিয়ে যাবেন না।
দেখবেন সবাই আপনাকে গুরুত্ব দেবে। তারপরেও যদি দেখেন এই রোগ আপনার হচ্ছে অথচ বুঝতে পারছেন না তাহলে ডাক্তাররা বলবেন “ম্যালাডেপটিভ দিবাস্বপ্ন” (Maladaptive daydreaming) – দেখার অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে আপনার। আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন এর থেকে বাঁচার উপায় কী?
আরো পড়ুন- রাত্রে ঘুমানোর সময় লাইট জ্বালিয়ে না লাইট নিভিয়ে ঘুম স্বাস্থ্যর পক্ষে উপকারী ?
মানুষের মন বড় জটিল তাকে বুঝতে পারা আরও কঠিন। তাই যদি আপনি আকাশ কুসুম কল্পনা করতে ভালোবাসেন, তাহলে সেখান থেকে আপনাকে বের করে আনার মত চিকিৎসা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায় নি। ফলে, এই অবস্থাকে মানসিক রোগ (Mental illness) হিসাবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
আরো পড়ুন- Divya Bharti : বলিউডের নায়িকা দিব্যা ভারতীর নিজের জগত কেমন ছিল?
নিজের কাজে ব্যস্ত থাকলে, কায়িক পরিশ্রম থাকলে দায়িত্বে থাকলে এই সবকিছুর মাঝে দিবা স্বপ্ন দেখার সময় পাবেন না আপনি। তবুও যদি দেখেন দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়াই প্রয়োজন। মনস্তত্ত্ববিদরা বলেন এই রোগের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনুসারে চিকিৎসা, থেরাপি CBT এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সেলিং করা হয়। এসবের কার্যকারিতা আপেক্ষিক।
আরো পড়ুন- Buy Medicines : জিনিসপত্র কিনতে দরদাম, কিন্তু ওষুধ কিনতে দরদাম নয় কেন ?
আপনার সাবকনশাস মাইন্ড কে বিশ্রাম দিতে হবে, প্রচুর ঘুম দরকার। নিয়মিত যোগাভ্যাস করা ভালো। কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হবে , অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা জানেন তো?