Breaking Bharat: বিস্কুট খেতে কে না ভালোবাসে, কিন্তু খাওয়ার সময় ‘বিস্কুটের বিশেষ বৈশিষ্ট’ লক্ষ্য করেন কি? বাঙালি মানেই চা বিস্কুটের প্রতি একটু বিশেষ দুর্বলতা। সকালে এক কাপ চা আর দু পিস বিস্কুট এটা ছাড়া চলে না। বিস্কুট কিন্তু নানা স্বাদের হয়, মিষ্টি, নোনতা, স্পেশাল স্বাদ সব রকমের। কিন্তু একটু বিশেষ ব্যাপার খেয়াল করেছেন কি?
‘নোনতা বিস্কুটের মধ্যে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে’। মানে বিস্কুটের আকার যাই হোক, ছিদ্র থাকবেই। জানেন কি এর কী কারণ? (Special features of biscuits)
তবে এটা কী শুধুই সুন্দর দেখার জন্য?
আসলে বিস্কুট ব্যাপারটা বেশ কুড়মুড়ে। তবে চা বা দুধে মেশালেই তা একেবারে গলে যায় । তবে ছোট ছিদ্র এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবে এটা কী শুধুই সুন্দর দেখার জন্য? না এটা ঠিক কারণ নয়। আসলে ‘বিস্কুটের মাঝে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে‘ একটা বিশেষ বৈজ্ঞানিক কারণে।
যাতে বেকিং প্রসেস এর সময়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত তাপে বিস্কুট ফুলে না যায়, নষ্ট না হয়ে যায়। আসলে এগুলোর নাম আলাদা নাম আছে। এই ছিদ্রগুলিকে ডকিং হোল বলা হয়।
সাধারণত ছিদ্রগুলো প্রায় একই রকমের হয়ে থাকে। আর এক ছিদ্র থেকে আরেক ছিদ্রের মাঝে সমান দূরত্ব রাখা হয়। আপনি কি জানেন যে বিস্কুট (biscuits) তৈরির আগেই মেশিনের সাহায্যে বিস্কুটের গায়ে এই ছিদ্রগুলো করা হয়। দেখতে বেশ ডিজাইনের মতো লাগলেও যুক্তি সম্মত কারণ আছে।
আসলে বিস্কুট তৈরির সময় অতিরিক্ত তাপ প্রয়োজন হয়। সেই তাপে বিস্কুট ফুলে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে বিস্কুটের আকার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপশি ‘বিস্কুটের’ গায়ে কুচকানো ভাব আসতে পারে এমনকি মুচমুচে ভাব নষ্টও হয়ে যেতে পারে (love to eat biscuits)।
আরো পড়ুন- জীবনে ক্যারিয়ারে সাফল্য পেতে চাইলে এই কাজগুলো অবশ্যই আপনাকে করতে হবে!
আরো পড়ুন- Calculator: ক্যালকুলেটর ব্যবহার করেন ? জানেন কি কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্র?
আরো পড়ুন- OTP: দিনে রাতে কাজের মাঝে কতবার ওটিপি লাগে, তাই না? আচ্ছা কী এই ওটিপি?
এই ঘটনা এড়াতে পুরো বিস্কুট থেকে অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সমানভাবে বিস্কুটের গায়ে ছিদ্র করা হয়। যার ফলে, বিস্কুটের ছোট, ছোট, ছিদ্রগুলো সমান দূরত্বে থাকে যাতে পুরো বিস্কুট থেকে সমানভাবেই অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যেতে পারে। তাই এবার থেকে বিস্কুট খাওয়ার আগে একবার দেখে নেবেন কিন্তু।