Breaking Bharat: নিজের দেশে খাওয়া জুটলেও ঘুমোবার সুযোগ নেই কেন? শুধুমাত্র ঘুমোনোর জন্য অন্য দেশে যেতে হয়! তার মানে এমনটা নয় যে ফ্লাইটে করে অন্যত্র যেতে হবে আপনাকে। কিন্তু খাওয়া ঘুমনো আলাদা দেশে এই ঘটনা নিশ্চিত ভাবে বিরল বটে। তাহলে চলুন গোটা বিষয় তা এবার জেনে নেওয়া যাক।
মানুষ একটু ভালো খেতে পরতে চান এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এই দেশের এত প্রান্তে এত ধরণের নিয়ম আর সংস্কার আছে যা ধারণাও করতে পারবেন না আপনিও। কিন্তু আজ এমন এক জায়গার কথা বলব সেখানে রান্না খাওয়া এক জায়গায় আর ঘুমোতে যাওয়া অন্য জায়গায়।
নাগাল্যান্ডের লংওয়া গ্রাম:
তাহলে চলুন নাগাল্যান্ডে লংওয়া গ্রামের সঙ্গে আপনার পরিচয় করান যাক (Longwa – The Village with Two Countries)। ভূগোল বলছে রাজ্যের উত্তরতম অংশে অবস্থিত এই মোন জেলা। এই গ্রামের সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হল যে, এর মাঝখান দিয়ে দিয়ে ভারত আর মায়ানমার সীমান্ত চলে গিয়েছে।
আরো পড়ুন – আপনি কি মধ্যবয়স্ক মহিলার প্রেমে পড়েছেন? এই অসম ভালবাসা কতটা সিদ্ধ?
ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এখানকার মানুষ নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যায় ভোগেন। স্বাভাবিক যদি বাড়ির বা ঘরের বা গ্রামের মাঝখান দিয়ে চলে যায় সীমান্ত তাহলে কী কেলেঙ্কারি বলুন তো! তবে এটাও সত্যি যে বাসিন্দারা খুব স্বাভাবিক ভাবেই ডুয়েল সিটিজেনশিপ উপভোগ করেন এবং অবাধে চলাফেরা করতে পারেন।
ভারতে শোবার ঘর এবং রান্না ঘর মায়ানমারে:
আসলে ব্যাপারটা হল এই গ্রামের কিছু বাড়ি আছে যার মাঝখান দিয়ে চলে গেছে লাইন। যার ফলে ভারতে পড়েছে শোবার ঘর এবং রান্না ঘর মায়ানমারে রয়েছে। অতএব খাওয়া এক দেশে শোওয়া অন্য ঘরে। এমন কি গ্রামের প্রধানের ঘরের মাঝখান দিয়েও চলে গেছে লাইন।
আরো পড়ুন – নিজের পোষা কুকুর-বেড়াল নিয়ে বেড়াতে গেলে, এবার আপনাকে হাজতবাস করতে হবে!
এই এলাকার মানুষদের সীমান্ত পেরতে ভিসা লাগে না। এভাবেই চলছে নিত্য বেঁচে থাকা। প্রকৃতির দারুণ আকর্ষণ তো আছেই। তা ছাড়াও লংওয়াতে নাগাল্যান্ড বিজ্ঞান কেন্দ্র, ডোয়াং নদী, শিলোই হ্রদ, হংকং মার্কেট এবং অন্যান্য অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে যা আপনি ঘুরে দেখতেই পারেন।
আরো পড়ুন – পাড়ার জেঠি – কাকিমার প্রশ্নে জেরবার ? বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেল বিয়ে হলো না কেন?
গ্রাম প্রধানের বাড়ি দুটি ভাগে বিভক্ত, একটা অংশ রয়েছে ভারতে এবং অন্য অংশটি রয়েছে মায়ানমারে। এভাবেই বেঁচে থাকা। তাহলে বুঝলেন তো এই পৃথিবীতে কত কিছুই আছে যার সম্পরকে আমরা কিছু জানি না। তবে এভাবে জানানর চেষ্টা করে চলি আমরা। প্রতি প্রতিবেদনে নতুন নতুন তথ্য দিতে চাইছি। যদিও আমরা সব তথ্যের যাচাই করতে পারি না।