Breaking Bharat: রতন টাটা (Ratan Tata) মানেই আদর্শ, টাটা কোম্পানির কর্ণধার। তিনিই বহু মানুষের অনুপ্রেরণা! কোটিপতি মানুষের সাধারণ জীবনের কথা জানেন?
কোটিপতি কথাটা শুনতে কেমন লাগে? পুরো স্বপ্নের মতো লাগছে তো? আসলে তাঁর জীবনটা স্বপ্নের মতোই। তিনি রতন টাটা। টাটা কোম্পানির কর্ণধার। অনেকটা সিনেমার মতো তাঁর জীবন। তিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণা। তবে এই জায়গায় পৌঁছতে অনেকটা পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। এক নজরে তাঁকে চেনা সহজ নয় ।
রতন টাটার জীবনী (lifestyle of Ratan TATA):
ভারতীয় শিল্পপতি, সমাজসেবী এবং টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা। এছাড়াও তিনি টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন, ১৯৯০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত, এবং আবার অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান হিসাবে, অক্টোবর ২০১৬ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০১৭ পর্যন্ত, এবং এর দাতব্য ট্রাস্টের প্রধান হিসাবে অবিরত ছিলেন।
রতন টাটা ভারতের দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার, পদ্মবিভূষণ এবং পদ্মভূষণ এর প্রাপক। আপনি জানেন, বিশ্বের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী রতন টাটার শুরুটা হয়েছিল ছোট্ট চাকরি দিয়ে। পড়াশুনা শেষ করে রতন টাটা আমেরিকার জোনস এ্যান্ড ইমনস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে কিছুদিন কাজ করেন।
তারপর ১৯৬১ সালে তিনি টাটা গ্রুপে টাটা স্টিলের কর্মচারী হিসেবে রতন টাটার কেরিয়ার শুরু।সেখানে তাঁর প্রথম দায়িত্ব ছিল বিস্ফোরণ চুল্লি এবং চাউলের পাথর পরিচালনা করা। ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান (Chairman of the Tata Group) হয়ে তিনি টাটা গ্রুপের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনেছিলেন।
রতন টাটার পরিবার (ratan tata):
রতন টাটা ছোট বেলা থেকেই বেশ মেধাবী ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর রতন টাটা মুম্বাই এর ক্যাথিড্রাল এ্যান্ড জন ক্যানন স্কুল এবং সিমলার বিশপ কটন স্কুলে পড়াশুনা করেন। ১৯৫৫ সালে নিউ ইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন, এবং ১৯৫৯ সালে নিউ ইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে আর্কিটেকচার ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
এছাড়া, ১৯৭৫ সালে রতন টাটা হার্ভাড ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুল থেকে এ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে একটি কোর্স করেন। রতন টাটা তাঁর ২১ বছরের মিশনে পৃথিবীর ৬টি মহাদেশের ১০০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা।
আরো পড়ুন- Broken Marriage : নীল ছবির কারণে বিয়ে ভাঙছে ? সুখী দাম্পত্যে থাবা বসাচ্ছে পর্ন! তাহলে উপায় ?
একজন মানুষ রতন টাটা শুধু শিল্পপতিই নন , তিনি একজন সমাজসেবী , মানব দরদি ও দূরদর্শী মানুষ । মানুষের পাশে থেকে মানব সমাজের কল্যাণের জন্য ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা করে এ যেন এক নতুন উদ্যম সৃষ্টি করেছেন , যা আগামীদিনে নতুন প্রজন্মকে পথ দেখতে পারবে।
আরো পড়ুন- Maldives tour : সেলেবদের মত ছুটিতে মরিশাস বা মলদ্বীপ যেতে চান? মাত্র ১ লাখে এবার মলদ্বীপ ভ্রমণ!
রতন টাটা (ratan tata) সারাজীবন ধরে প্রমান করে গেছেন দৃঢ় সংকল্প , জেদ আর মানুষের মঙ্গল করার মানসিকতা থাকলে বিশ্ব জয় করা সম্ভব। টাটা নামটার সঙ্গে আজ বিশ্বাস, ভরসা, অঙ্গীকার কতকিছু জড়িয়ে আছে। আসলে একজন মানুষ চাইলে কত দূর পর্যন্ত নিজেকে বিস্তৃত করতে পারেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই মানুষটি।
আরো পড়ুন- Tarkeshwar Mahadev : ভোলে বাবা পার করেগা! তারকেশ্বরে বাবা তারকনাথের ইতিহাস জানেন?
বাম জমানার শেষের দিকে বাংলার রাজনীতিতে ন্যানো গাড়ির কারখানা (Nano car factory) তৈরি নিয়ে আলোচনার শিরোনামে এসেছিল টাটা কোম্পানির নাম। যদিও সেই কারখানা হয় নি। যদিও তাতে ন্যানো গাড়ির উৎপাদন আটকে থাকে নি। আর রতন টাটা প্রমাণ করে দিয়েছেন, লক্ষ্য স্থির থাকলে জয় সুনিশ্চিত।