Breaking Bharat: ‘না’ মানে ‘না’ , কিন্তু সেটা আঘাত না করে অন্যজনকে বোঝাবেন কী করে?
মুখের ওপর না-বলা অনেক সময় সম্ভব হয় না কিন্তু দরকারি বটে। চারপাশে যা ঘটছে তার সঙ্গে আপনি সহমত পোষণ করতে নাই পারেন, তাই বলে মুখের ওপর বলবেন কী করে? আর সবথেকে বেশি কঠিন আপন মানুষকে বা প্রিয় মানুষকে “না” বলা। না বলা কথা অনেক সময় গভীরে থেকে যায়, কিন্তু “না” শব্দটা বলতে পারাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় (It is difficult to say the word “no”)।
জীবনটা সহজ নয়, জীবনের প্রতি মুহূর্তে নানা ঘাত-প্রতিঘাত আপনার সঙ্গী। কিন্তু তাই বলে সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করে যাওয়া ঠিক নয়। যদি কোন অন্যায় হয় আর আপনি তা মুখ বুজে সহ্য করেন তাহলে তো আপনিও সমান দোষী। তাই সহমত পোষণ করতে না পারলে “না” এই শব্দটা উচ্চারণ করতে শিখুন (Learn to pronounce the word “no”.)।
না হলে আপনাকেও সেই অন্যায়ের অংশীদার মনে করা হবে যেহেতু আপনি “না” বলেন নি অর্থাৎ প্রতিবাদ করেননি। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত পিঙ্ক ছবিটি দেখেছেন? সেখানে আদালতের একটি দৃশ্যে স্বয়ং বিবির চরিত্র বলেছিল “না” মানে “না” – এই সত্যিটা সমাজকে বুঝতে হবে।
বিশেষ করে বন্ধু-বান্ধবদের ক্ষেত্রে এমন অপারগতা দেখা যায়। ধরুন কেউ আপনাকে কিছু একটা খাওয়াতে চেষ্টা করল। আপনি তাতে ইচ্ছুক নন কিন্তু ওই যে মুখের উপর না কথাটা বলতে পারলেন না। এর জেরে আখেরে ফল ভুগতে হল আপনাকেই।
অনেক সময়ে “না” কথাটা বলতে না পারলে তার অন্য মানে দাঁড়ায় আপনার উলটো দিকের মানুষের কাছে। আর কারোর যদি অভিসন্ধি খারাপ থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি “না” কথাটা বলতে না পারার জন্য বড় বিপদে পড়তে পারেন। সেই দিক থেকে সাবধান থাকা দরকার।
প্রাত্যহিক জীবনের একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই এবার ? ধরুন কেউ আপনার কাছে টাকা চাইলো , কিন্তু আপনি তা দিতে পারছেন না। এখানে মুখের উপর না বলে দেওয়া টা একটু কঠিন। যে ব্যক্তির সাহায্য দরকার তাকে সাহায্য করতে না পারলে নিজেকে অপারগ লাগে। তখন মুখের উপর না সত্যিই বলা যায়না আবার কিছু করাও যায় না। সেক্ষেত্রে আপনার মিষ্টি ব্যবহার দিয়ে “না” বিষয়টা না বলেও বোঝাতে হবে আপনাকে।
শুরুতেই যে বলেছিলাম কাউকে আঘাত করা যাবে না। বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে, মুখের উপর “না” কথাটা লাগিয়ে রাখলে সে ক্ষেত্রে সমাজে আপনার কদর কমে যাবে। সব কিছুর প্রয়োজন আছে কিন্তু আপনি কখন কিভাবে কোন পরিস্থিতিতে কোন কথা বলছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলায় বইয়ে পড়া বাক্য মনে আছে?
আরো পড়ুন- Tea shop: বাঙালি মানেই আড্ডা,হুল্লোড়, তবে চায়ের দোকানে আড্ডা স্পেশাল, কেন জানেন?
আপনার ব্যবহারই আপনার পরিচয়। তাই ভালো ব্যবহার দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করা সম্ভব। যদি না উল্টো দিকের মানুষের মনে দুরভিসন্ধি থাকে । তখন সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে বৈকি।
আরো পড়ুন- Use of Mirrors: নিজের মুখ আর রূপ দেখার জন্যই কি আয়না? যদি আয়না না থাকতো, তাহলে?
আরেকটা কথা বোধহয় বাদ চলে গেল। প্রেমে না বলতে পারা। মুখের উপর না জবাব দিতে খারাপ লাগে ঠিকই , কিন্তু যে সম্পর্কটাই আপনি বিশ্বাস করেন না, সম্পর্কটাকে শ্রদ্ধা করেন না তাকে মিথ্যে অভিনয় করে বাঁচিয়ে রাখলে, অন্যকে বেশি কষ্ট দেয়া হয় না কি?
আরো পড়ুন- Radar: ‘রাডার’ হল রেডিও ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং, এর কাজ কী? জানা আছে?
এখানেও বলি একই কথা, ওই যে ভালো ব্যবহার দরকার। দেখবেন অতি বড় শত্রুও আপনার এই গুণের প্রশংসা না করে পারবেন না।