journey time of railway drivers: রেলগাড়ি যারা চড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য নানা সুবিধা, যারা চালান তাদের কোন সুবিধা থাকে কি? মানে আমরা বলছি – রেলের চালকরা সফরকালে কি কি সুবিধা পান? রেলগাড়ি কামড়ায় হঠাৎ দেখা হয় চেনা অচেনা অনেক মানুষের। কিন্তু সফল কি নিরাপদে যারা এগিয়ে নিয়ে যান, নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছে দেন তাদের সঙ্গে আলাপ হয় কি?
আমরা কথা বলছি রেলের চালকদের নিয়ে। সাধারণ যাত্রীদের জন্য যত সুবিধা থাকে তার এক শতাংশও রেলের চালকরা সফরকালে পান না, সেটা আপনি জানেন কি (day in the Life of a train driver)?
রেলের চালকদের সফরকাল জেনে নিন:
এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটতে সকলেই পছন্দ করেন আর সেটা যদি হয় দুপাশের সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে রেলগাড়ি করে যাওয়া তাহলে তার মত আনন্দ আর কিছুতে নেই। শুনলে একটু অবাক হবেন কিন্তু অনেকেই প্লেনের শহরের থেকে ট্রেনের সফর বেশি পছন্দ করেন।
তারা বলেন যেভাবে চারপাশের দৃশ্য দেখা যায় সেটা প্লেনে বা ধরুন জাহাজে কোনটাতেই সম্ভব নয়। ভারতীয় রেল প্রত্যেকটা মুহূর্তে যাত্রী পরিষেবা আরো উন্নত করার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ করছে। কিন্তু সবটাই তো হচ্ছে যাত্রীদের জন্য।
কিন্তু যাত্রীদের যারা নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কাজটা নিরলস ভাবে করে চলেছেন , তাদের সুবিধার কথা কজন ভাবেন? জানেন পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজ হচ্ছে লোকো পাইলটের কাজ। কারন সেই মানুষটার হাতেই হাজার হাজার মানুষের জীবন।
একটা ভুল পদক্ষেপ একটু অন্যমনস্কতা ব্যাস সব শেষ। সেই দায়ভার নিয়ে তার বাকি জীবনটা কাটানো প্রায় অসম্ভব। প্রতিদিন কত মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় রেলগাড়িতে সফর করেন । কত কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়ে তারা বাইরে বেরোন। অথচ চালকের মানসিক অবস্থা তার ইচ্ছে অনিচ্ছে এই সবকিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে তাকে একদম রোবটের মত করে যেতে হয় কাজ।
রেলের চালকরা এমার্জেন্সি মুহূর্তে কি করেন?
এইবার আসে মোক্ষম কথায় এমার্জেন্সি যেকোনো সময় যেকোন মানুষের আসতে পারে। ধরুন চালকের পেটের অবস্থা ভালো নেই। কিংবা প্রকৃতির বেগ এসেছে তিনি কী করবেন? তিনি কি সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গাড়ি ১০ মিনিটের জন্য কোথাও দাঁড় করিয়ে রাখবেন? শুরু পাইনি আর আশ্চর্যের ব্যাপার গাড়িতে কোন শৌচালয় থাকে না, ইঞ্জিন এর মধ্যে (life of a train driver)।
আরো পড়ুন – জিনের নাচ দেখেছেন? একটা খড়ের গাদা ঘূর্ণিঝড়ের মতো তান্ডব চালাচ্ছে, কালা জাদু নয়তো?
এর কারণ দ্রুত বেগে যখন ট্রেন চলছে তখন তো আর পাইলট শৌচালয়ে বসে থাকতে পারেন না। অগত্যা স্টেশনের শৌচাগার কিম্বা ফ্রন্ট এস এল আর কামরার শৌচাগার ব্যাবহার করতে হয়। বুঝুন কী কঠিন অবস্থা ! অনেকে বলতে পারেন দুজন করে তো পাইলট থাকে ইঞ্জিনে।
কিন্তু একজন মেইন পাইলট বা মাস্টার অন্যজন অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে দ্বিতীয় জনের গাড়ি চালানোর কোনও পারমিশন নেই। কারণ তার অন্য কাজ রয়েছে তিনি গাড়ি চালাতে গেলে সেই কাজ কে করবে সেটা বোঝা যায় না (loco pilot duty hours)।
আরো পড়ুন – শিকারী পাখি? ঈগল পাখি আর বাজ পাখি ঠিক কোথায় আলাদা? আর চিলের সম্বন্ধে কতটা জানেন?
তাই একজনকেই দায়িত্বভার সামলাতে হয়। অনেকেই ভাবেন কেন শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয় না? আসলে লোকোমোটিভের ভেতরে শৌচাগার বসানোর মত জায়গা থাকে না। যদি বসানো যায় কোন মতে তাহলে জলের ব্যবস্থা করতে হবে সেটা কখনোই সম্ভব নয়।
এর ভেতরে ২৫ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। একটু এদিক থেকে অধিক হলে ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। তবে আসার খবর এটাই যে প্রায় দেড়শ বছরেরও বেশি সময় পর রিসার্চ করে এবার মোটামুটি বের ভেতরে শৌচাগার স্থাপন সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সেটা ডিজেল লোকোমোটিভ।
আর গাড়ির গতিবেগ যখন একেবারে কম থাকবে তখনই এটি ব্যবহার করা যাবে অর্থাৎ গাড়ি যখন চলবে না সোজা বাংলায় এটাই বলে। গাড়ি একটু চলতে শুরু করলে এই লোকোমোটিবের শৌচালয় অটো লক হয়ে যাবে চেষ্টা করেও তা ব্যবহার করা যাবে না।