Breaking Bharat: নিষিদ্ধ ছবি দেখতে পছন্দ করেন? কেন এটা নীল ছবি সেটা নিয়ে কোন ধারণা আছে কি? সেই থেকেও পর্নোগ্রাফির নীল ছবি নাম হতে পারে বলে অনেকেই ভাবেন। ঐ যে বলেছিলাম না , নানা মুনির নানা মত।
মানুষের সাধারণ একটা প্রবৃত্তি হলেও যা কিছু নিষিদ্ধ তার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করা। সেটা গল্পের বই হোক কিংবা ছবি অথবা নিষিদ্ধ সিনেমা। ইংরেজিতে ‘পর্নোগ্রাফি‘ বলে একটা বস্তু আছে যার প্রতি সব বয়সিরাই কম বেশি টান অনুভব করে। সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষায় একে নীল ছবি বলেন। কিন্তু কেন বলেন সেটা সম্পর্কে কোন ধারণা আছে কি?
পর্ন ছবিকে ভারতে ‘ব্লু ফিল্ম’ বলা হয় কেন?
বা নিষিদ্ধ ছবির সঙ্গে নীল রঙের কি যোগাযোগ চলুন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করা যাক। আসলে ভারতবর্ষে এভাবেই ডাকা হয়। এই নিয়ে একেক জন মানুষ একেক রকমের ব্যাখ্যা দেন। সাধারণ আর চার পাঁচটা ছবির মত এইসব ছবির প্রমোশন হয় না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ছবি সম্পর্কে জানার উপায় ছিল দেওয়ালে পড়া পোস্টার ।
যেগুলো অন্যান্য ছবির থেকে একটু আলাদা ধরনের হত। শুধু নীল-সাদা রঙে ছাপা হত এই তখনকার পোস্টার। অনেকেই মনে করেন হয়তো সেই থেকেই এই নীল ছবির ধারণা তৈরি হয়েছে। মানে আর চার পাঁচটা সাধারন ছবির মত যে এই সিনেমা নয় সেটা যেন আলাদাভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা ছিল এই ধরনের পোস্টার।
ভিডিও যুগের আদি পর্বে ভিডিও হোম সিস্টেম মার্কেটে আসার পর বিশ্ব জুড়েই পর্ন ছবির রমরমা শুরু হয় । ফলে সহজলভ্য দামে পাওয়া এই ক্যামেরা আর সস্তার ক্যাসেট ছবি বানানোর সুযোগ আমজনতার নাগালে এনে দেয়। কিন্তু এর মান ভালো ক্যামেরায় তোলা ছবির মত কখনো ছিল না।
কখনো ছবি পরিষ্কার আসছে না তো কখনো নীল ভাব চোখে পড়ছে বলে মনে হতো দর্শকদের। সেই থেকেই এই নীল নাম বলে অনেকের ধারণা ।পরবর্তী কালে ইউম্যাটিক বা বিটাক্যাম ভিডিও ফর্ম্যাটে কাজ শুরু হওয়ায় ছবির গুণগত মান বেড়েছে, এবং সেই নীলচে ভাব কমেছে। কিন্তু ‘ব্লু ফিল্ম‘ নামটা ততদিনে সবার মুখে মুখে পরিচিতি পেয়ে গেছে।
আরো পড়ুন – বিজ্ঞানী না সেলিব্রেটি কে বেশি প্রিয়? জনপ্রিয়তা পাওয়ার মূল শর্ত কোনটি?
যারা এই ছবির ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু যুক্তি মেলে। এই যেমন ধরুন ১৯৬০-এর দশকে যখন বিদেশে ‘গোল্ডেন এজ অফ পর্ন’ সূচিত হচ্ছে, তখন বেশির ভাগ ছবির বাজেট ছিল খুব কম।তখনকার দিনে প্রধানত সাদা-কালোয় ছবি শুট করে তাতে রংয়ের বিভ্রম সৃষ্টি করার জন্য একটা নীল টিন্ট দেওয়া হত বলে জানা যায়।
আরো পড়ুন – বেঁচে থেকে লাভ কী? কেন শত কষ্ট সহ্য করেও মানুষ বেঁচে থাকতে চায়?
সেই থেকেই নীল ছবি বলেও অনেকের মত। এখানেই শেষ নয় ক্যাসেটের দোকানে পর্নোগ্রাফির ক্যাসেট আলাদা করে রাখা হত সেইসময়। যাতে গন্ডগোল না হয় তাই তা নীল প্যাকেটে রাখার নিয়ম ছিল। সেই থেকেও পর্নোগ্রাফির নীল ছবি নাম হতে পারে বলে অনেকেই ভাবেন। ঐ যে বলেছিলাম না , নানা মুনির নানা মত।
আরো পড়ুন – পড়াশোনায় ভালো নম্বর পেলেই কি শিক্ষিত বলা যায়? অশিক্ষিত মানুষ চেনা কতটা কঠিন?
আসলে নীল ভালোবাসার রঙ। আর ভালোবাসার সঙ্গে শরীর তো জুড়ে থাকবেই। অন্তত এমনটাই তো ধারণা। সবটাই যে সত্যি তা নয় কিন্তু এই ভাবনার বশবর্তী বেশিরভাগ মানুষ। আর অবাধ যৌনতার উদযাপন করতেই নীল ছবি। হয়তো সেই কারণেও নীল নামটা আর নিজের থেকে আলাদা করতে পারলনা এই ছবি। আজও ব্লু ফিল্ম মানেই ভ্রু কুঞ্চন আমজনতার আর আড়ালে সেটাই দেখার অপেক্ষা আর আগ্রহ।