Breaking Bharat: WWE এর উত্থান কোথা থেকে হলো? মল্লযুদ্ধ কী বাস্তবে হয়? না কি সবটাই কল্পকথা?WORLD WRESTLING ENTERTAINMENT – ছোটো করে বলতে গেলে WWE, নামটার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। টেলিভিশনের পর্দায় এটা দেখার মানুষ কিন্তু কিছু কম নয়।
তবে সত্যিই এই লড়াই হয় কিনা সেটা নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন। আমরা এই বিষয় নিয়ে আমরা কিছু তথ্য আপনাকে জানাব। তবে শুরুতেই বলি আমরা এর সত্যতা যাচাই করিনি।
মল্লযুদ্ধ নামটা শুনলেই কিছু সিনেমার কথা মনে হয়। আবার টেলিভিশনে ইংরেজি স্পোর্টস চ্যানেলে হাতে পেয়ে উল্কি আঁকা বিশালাকার দেহের মানুষজনের অঙ্গভঙ্গির কথা মাথায় আসে। সোজা কথায় মারপিট আর ধস্তাধস্তি। অসুরের মত গায়ে শক্তি নিয়ে একটা বক্সিং স্কোয়ারের মধ্যে দুজনের লড়াই।
যার শক্তি যত বেশি সে তত তাড়াতাড়ি চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কে জয়ী হবে তাই বুঝে উঠতে পারেন না দর্শকরা। অনেকে বলেন এই সব আগে থেকে ঠিক করা থাকে। মানে যেভাবে অমানুষিক অত্যাচার করা হয় একে অন্যের উপর, তাতে কি আদৌ বেঁচে থাকা যায়?
অনেকেই বলেন এসব নাকি সত্যিই নয়। তাহলে World Wrestling Entertainment বা WWE এর উত্থান কোথা থেকে হলো? জানা যায় ১৯৫২ সালে আমেরিকায় মানুষজনকে বিনোদনের জন্য এসব প্রথম চালু করা হয়। পুরো উদ্দেশ্যটাই ছিল ব্যবসা করা। তার মানে কি লড়াই হয় না?
অনেকেই বলেন না সবটাই সেটিং এর কারসাজি। অত্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে সব টাই আগে থেকে সাজানো থাকে। এক কথায় নাম হল “সেটিং ফাইট”। সেটিং ফাইট গুলো যখন স্টেজে দেখানো হয় , তখন সামনে ক্যামেরা থাকে। ফলে দর্শকদের সামনে সেই লড়াইগুলোকে আরো প্রানবন্ত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে । এই যুদ্ধের বিষয়ে অনেকের মত হল এগুলো সবটাই অভিনয়।
আরো পড়ুন- child’s : সন্তানের জীবনের মূল উদ্দেশ্য কী ? ‘বাবা মা’ কে ভালো রাখার দায়িত্ব কি সন্তানের নয়?
দেখুন , বিশ্ব জুড়ে সর্বত্র কত রকমের ঘটনা ঘটে। সেভাবে সবের পুঙ্খানুুঙ্খভাবে সত্যতা জানা কি সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বা না দুটোই হতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করছে তথ্যের উপর। ইন্টারনেট ঘেঁটে যে পরিসংখ্যান মেলে তার ভিত্তিতে বলতে গেলে বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই এই খেলার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
আরো পড়ুন- Breast cancer : মহিলাদের বয়স ৩০ পেরোলেই সব থেকে বেশি চিন্তার কারণ কি ব্রেস্ট ক্যান্সার?
তবে WWE দেখতে ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তারা বলেন যেভাবে আক্রোশ নিয়ে মারপিট করা হয় সেটা তাদের মনোরঞ্জন করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, বিনোদনের উদ্দেশ্য তো সফল! তাহলে আহত হওয়া বা রক্তাক্ত হওয়া এই সব পুরোটাই সাজানো? কেউ বলেন হ্যাঁ, আগে থেকেই রিহার্সাল করা থাকে। আবার কেউ সেই যুক্তি মানতে নারাজ।
আরো পড়ুন- অহংকার পতনের মূল! কখনোই নিজেকে নিয়ে অহংকার করবেন না, তাহলেই সব শেষ!
দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্যবশত নিজের চোখে এই খেলা লাইভ দেখার সুযোগ হয় নি আমাদেরও। তবে আপনি যদি আরও কিছু জেনে থাকেন তাহলে দয়া করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না । মনে রাখবেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর!