Breaking Bharat: নাচ, গান, আঁকা, কবিতা এই সব নিয়েই আমাদের সাংস্কৃতিক! পড়াশুনা নিয়ে বড্ড ক্লান্ত? সাংস্কৃতিক এক্টিভিটির প্রতি ভালোলাগা আছে? এবার নেশাই হবে পেশা! কিভাবে? (Is singing and dancing a career?)
প্রতিবেদনের শুরুতে, শেষের দুটো শব্দ শুনে ভাববেন না যেন কোন নেশা মুক্তি আন্দোলনের কথা নতুন ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আমরা বলছি একদম অন্য একটা বিষয়ের কথা। পড়াশুনা করে গাড়ি-ঘোড়া চড়ার স্বপ্ন তো সবার থাকে। কিন্তু স্বপ্ন সত্যি করা খুব একটা সহজ নয়।
তার জন্য অবশ্য কঠোর পরিশ্রম, চেষ্টা- এইসবের দরকার হয়। কিন্তু সব সময় কি পড়াশুনা করে যে পথে জীবন এগোতে যাবে বলে আশা এবং ইচ্ছে থাকে সেটা বাস্তবে সম্ভব হয়? উত্তরটা ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই না হবে। সেক্ষেত্রে অনেকেই আজকাল বিকল্প একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে থাকেন।
এটার জন্য দরকার আপনার কোন জিনিসের প্রতি নেশা আছে সেটাকে সামনে আনার। বিস্তারিত জানাবো এই প্রতিবেদনে (How do you become a professional dancer and singer?) ।
নাচ, গান, আঁকা, কবিতা এই সব আমাদের সাংস্কৃতিক:
আপনি হয়তো জানেন যে নাচ, গান, আঁকা, কবিতা এই সব কিছু নিয়েই আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল। এই জিনিসগুলোকে ছোটবেলা থেকে বেশ সিরিয়াসলি নেওয়া দরকার। কে বলতে পারে ভবিষ্যতে হয়তো এর থেকেই আপনি জীবন চালিয়ে নিয়ে যাবার উপার্জন আর রসদ দুটোই পেয়ে যাবেন।
ক্রিকেটার, ফুটবলার অর্থাৎ খেলোয়াড় কিংবা ধরুন ‘বিনোদন জগতের মানুষ’ ইনারা কিন্তু তাদের প্যাশন কে মানে নেশাকে ফলো করে এতদুর এগিয়ে এসেছেন। তারা যথেষ্ট সম্মানীয় তারা আমাদের নয়নের মনি। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনিও পারবেন। এটা এমন কিছু আহামরি ব্যাপার নয় ( Why is singing and dancing good for you?)।
আরো পড়ুন – অফিস পলিটিক্স! নিজেদের মধ্যে রেষারেষি থেকেই শুরু হয় এই অফিস পলিটিক্স?
এবার নেশাকেই করে ফেলুন পেশা! কিভাবে?
যদি আঁকার প্রতি ঝোঁক থাকে তাহলে অবশ্যই ভালো একজন পেইন্টার হয়ে নিজের জীবনটাকে গড়তে পারেন। আজকালকার দিনে ক্যারিয়ারের অনেকগুলো অপশন খুলে গেছে সবার সামনে। যারা ‘গান-বাজনা করেন বা ভালোবাসেন‘ তারা কিন্তু সেটাকেই নিজেদের পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।
একটা সময় ছিল যখন ‘রেডিওতে কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়‘ করা যাবে এই কথা মানুষ ভাবতেও পারতেন না। অথচ ‘রেডিও জকি‘ কনসেপ্টা মানুষের ভাবনা চিন্তাকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। বিকল্প নানা পেশার কথা বললে তালিকাটা শেষ হবেনা। তবে গোটা ব্যাপারটা নির্ভর করে প্যাশনের উপর।
আরো পড়ুন – আপনার ‘বাড়ির বাচ্চা’ কি দুষ্টু? কিছুতেই কথা শুনছে না? ‘বাচ্চা সর্বক্ষণ জেদ’ করছে?
দেখুন না আপনার নেশা অবশ্যই সদর্থক দিক থেকে, আপনার ক্যারিয়ারকে কতটা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভুলভাল কোন আসক্তি নয় বরং ভেতর থেকে কিছু করার তাগিদে নিজের ফ্যাশনকে ফর এভার করে তোলার চেষ্টা।
ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। নিজের অনুপ্রেরণাগুলো খুঁজে বের করা দরকার। এরপর সঠিকভাবে একটা পরিকল্পনা করুন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। শান্তভাবে সবদিক বিচার করে দেখুন আপনি কতটা করতে পারছেন। নিজের লক্ষ্যকে ঠিকভাবে বেছে নিন।
আরো পড়ুন – চাকরির পরীক্ষা? ‘ইন্টারভিউয়ে যাওয়ার আগে’ জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ টিপস!
আপনি যদি চিরাচরিত গতানুগতিকতার পথে না হাঁটতে চান, তাহলে আপনার এই অফ বিট কাজের জন্য একটা নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করা দরকার। প্রয়োজনে বেসিক থেকে শুরু করুন। ফোটোগ্রাফি, পেইন্টিং, ‘মিউজিক কিংবা লেখালেখির‘ মত বিষয়গুলোকে এখন অনেকেই সফল ক্যারিয়ারের চয়েস হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
আরো পড়ুন – কাজের জায়গায় যদি ‘নারীকে সফল’ হতে হয়, তাহলে কয়েকটা বেদ মন্ত্র মেনে চলতেই হবে
পড়াশুনা ক্যারিয়ার নিয়ে বদ্ধমূল ধারণা গুলো কিন্তু এখন আগের থেকে অনেকটা বদলে গেছে। তাই আপনার বাড়িতে যদি কেউ অন্য রকমের ক্যারিয়ার বেছে নিতে চান এবং তার ফ্যাশন কি তার প্রফেশন করতে চান তাহলে অবশ্যই তাকে উৎসাহ দিন।।