Breaking Bharat: জানেন! ‘নিজের কাজ নিয়ে অখুশি’ হওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে? কিন্তু কেন এমন ঘটনা? সেই কারণেই বোধহয় বিশ্বজুড়ে চলা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ‘নিজের কাজে অখুশি মানুষের’ সংখ্যাটা প্রায় ৮০ শতাংশ! ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি (Is it okay to be unhappy at work?)।
বিখ্যাত সংগীত শিল্পী মান্না দে একটি গান গেয়েছিলেন, ‘সবাই তো সুখী হতে চায়‘। কেউ সুখী হয় কেউ হয় না। কথাটা যেন ২০০ শতাংশ ঠিক। সুখী হওয়াটা প্রত্যেকের লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকে। সুখে থেকো ভালো থেকো এই আশীর্বাদ প্রতি মুহূর্তে আমরা একে অন্যকে করে থাকি। কিন্তু সুখে থাকো অতই কি সহজ?
‘নিজের পছন্দের ক্যারিয়ার’ নির্ধারণ করবেন কী করে?
‘নিজের পছন্দের ক্যারিয়ার‘ বেছে নেওয়াটা খুব দরকার (The career of your choice)। কিন্তু সেটা নির্ধারণ করবেন কী করে? একটা কাজ করুন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাগজ কলম নিয়ে বসে পড়ুন একটা লিস্ট তৈরি করতে। মজার কথা নয়, সত্যি সত্যিই এটা করা দরকার।
আপনি কি চান আর কতটা আপনি পেতে পারেন এর একটা হিসেব করা দরকার। শুধুমাত্র “আসি যাই আর মাইনে পাই”- এই ধরনের কাজ এখনকার যুগে আর মেলে না। কাজ করতে গেলে কাজের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই তৈরি হয়।
আপনি কোন কাজটা করতে স্বচ্ছন্দ?
কিন্তু যে কাজটি আপনি করছেন সেটা নিয়ে যদি খুশি না হতে পারেন তাহলে ‘দায়িত্ব নিয়ে কাজ‘ করবেন কী করে? এর জন্য দরকার, আপনার চাহিদা কতটা আর আপনার ক্ষমতা কতটা – এই দুটোকে একটা জায়গায় নিয়ে এসে সবটা বিশ্লেষণ করা।
আরো পড়ুন – চাকরির পরীক্ষা? ‘ইন্টারভিউয়ে যাওয়ার আগে’ জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ টিপস!
কারণ আপনি যদি আপনার কাজকে ভালো না বাসতে পারেন কিংবা পছন্দ না করেন তাহলে সেই কাজে ক্যারিয়ার গড়া যথেষ্ট সমস্যার (Building a career is difficult enough)। তাহলে অবশ্যই বোঝা দরকার আপনি কতটা পারবেন। সবার আগে দেখুন আপনি কোন কাজটা করতে স্বচ্ছন্দ? সেইমতো আইডিয়া করে কাজটা নিয়ে এগোতে হবে আপনাকে।
আরো পড়ুন – ‘চটি গল্প’ নিয়ে আসক্তি কি বেড়েই চলেছে? এই ‘চটি বইয়ের গল্প’ আপনার ক্ষতি করছে না তো?
শুরুতেই যে সাফল্য আসবে তা নয়। কিন্তু বুঝে বুঝে প্রতিটা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মনে রাখবেন কাজের প্রতি আপনার ভালোবাসা স্বাচ্ছন্দ আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে (Your love for work)।
প্রথম থেকেই ‘কাজের সাফল্য আসবে’ এমন ভাবনাটা ভুল:
আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন, দেখুন সেটা এ যুগের জন্য কতটা উপযুক্ত। এর জন্য আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। সেই মতো পড়াশোনা করতে হবে, প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে। প্রতিযোগিতা না থাকলে লড়াই করার মজাটা নেই।
আরো পড়ুন – আপনার ‘বাড়ির বাচ্চা’ কি দুষ্টু? কিছুতেই কথা শুনছে না? ‘বাচ্চা সর্বক্ষণ জেদ’ করছে?
কিছু কিছু টাকা জমানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ প্রথম থেকেই ‘কাজের সাফল্য আসবে‘ এমন ভাবনাটা ভুল (The idea that ‘work will bring success’ is wrong)।
আরো পড়ুন – কাজ করতে ভালো লাগছে না? ‘অফিসে যেতে বিরক্তি’ লাগছে? এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়
ভালোবেসে যে কাজটা করছেন সেটাতে সাফল্য আসবেই এমনটা নয়। কিন্তু আপনাকে বুঝতে জানতে শিখতে হবে জীবনে কিসের গুরুত্ব বেশি। যদি মনে করেন পছন্দের কাজটাই করব আর টাকাটা খুব একটা বেশি প্রয়োজনীয় নয় তাহলে অবশ্যই নিজের দর্শন এবং পছন্দকে বাহবা দিয়ে এগিয়ে যান সামনের দিকে।।