Breaking Bharat: একটা দশকে একজনই পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ হতে পারেন। আজ তাঁকে নিয়ে কিছু কথা লেখার চেষ্টা করলাম আমরা।
“খেলা খেলা দিয়ে শুরু , খেলতে খেলতে শেষ
কেউ বলেছিল ছি ছি, কেউ বলেছিল বেশ “
কথাগুলো বলেছিলেন মহান পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ।তাঁকে নিয়ে কিছু লিখতে গেলে অন্তত দশবার ভাবতে হয় যে কোনো সাংবাদিককে।
সাধারণ মানুষ নন, এক মহা জীবনের নাম ঋতুপর্ণ ঘোষ
“উনিশে এপ্রিল” তারিখটা বাংলা সিনেমা প্রেমী মানুষ কখনোই ভুলবেন না। এটা কোন সাধারণ তারিখ নয় এ যেন সিনেমার “উৎসব” এর সূচনা। মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের ঝুলি খুঁজে পান যিনি, তিনি তো আসল “চিত্রাঙ্গদা” (Chitrangada)। এক ডজন জাতীয় পুরস্কার, একাধারে পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা, গীতিকার, লেখক – এককথায় তাঁর অস্তিত্ব “আরেকটা প্রেমের গল্প” তৈরি করে গেছে (Rituparno Ghosh was an Indian film director)।
সিনেমাই ছিল তাঁর “দোসর”। শুধু টলিউড কেন বলিউডেরও অনেকের “চোখের বালি” ছিলেন তিনি । তবুও সিনে দুনিয়াকে দর্শকের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন’ আজীবন। সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) না থাকলে ঋতুপর্ণ, পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ হতে পারতেন না, স্বীকার করেছেন অকপটেই। রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাছে সাজিয়ে রাখা কোনো ছবি নয়, যেন জীবন্ত চরিত্র জনকে নিজের মানুষ করে সিনেমায় মিশিয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের (Director Rituparno Ghosh) সবথেকে বড় কৃতিত্ব যে কোন নায়ক-নায়িকাকে অচিরেই অভিনেতা-অভিনেত্রী বানাতে পারতেন তিনি। যাঁদের নিয়ে কাজ করার কথা তাবড় তাবড় পরিচালকরা ভাবেননি, তাঁদেরকে পুরস্কার পাইয়ে দিয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। একের পর এক ছবিতে তৈরি করেছেন আইকনিক সব চরিত্র। তাঁর ছবির ” শুভ মহরত” মানে তাতে নতুন কোনও বিষয়ের প্রাধান্য।
আরো পড়ুন – আপনার কি খুব রাগ হয় ? অল্পেতে ভীষণ রেগে যান? কিভাবে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
যীশু, রাইমা, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, কঙ্কনা, অনন্যা, সুদীপ্তা – একের পর এক নাম উঠে আসবে যাঁরা শুধুমাত্র ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় হয়ে উঠেছে এক অন্য চরিত্র বা অন্য অভিনেতা অভিনেত্রী। অমিতাভ বচ্চন হোক বা কিরণ খের, ঐশ্বর্য হোক বা অভিষেক, জ্যাকি শ্রফ হোক বা সোহা আলি খান কিংবা মহাগুরু মিঠুন, ঋতুদা এর ছবি মানেই এক কথায় হ্যাঁ। অভিনেতার সেরার সেরা টা খুঁজে নিতে পারতেন হয়তো নিজে অভিনেতা ছিলেন বলেই। তাঁর ছবির বিষয় নিয়ে ছিল আলোচনায় সমালোচনা।
আরো পড়ুন – Surrogacy: সারোগেসি কী? এই পদ্ধতিতে কীভাবে সন্তান ধারণ সম্ভব?
আরো পড়ুন – Finger print : সবার হাতের ছাপ মানে ফিঙ্গার প্রিন্ট এক হয় না কেন?
যৌনতার অহংকে বেড রুম থেকে টেনে এনে সবার সামনে উন্মুক্ত করতে গিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।।কিন্তু পিছিয়ে যাননি মানুষ ঋতুপর্ণ। নারী শরীরকে,তাঁর কষ্ট যন্ত্রণা কে তাঁর মত করে কেউ বোঝেন নি তাই সেলুলয়েডে হয়তো বোঝাতেও পারেন নি। শরীর আর মনের “দহন ” প্রতিমুহূর্তে উপলব্ধি করে গেছেন নিজের জীবন দিয়ে।
আরো পড়ুন – সিঙ্গাপুর হয়ে উঠেছে বিত্তশালী! কিন্তু কীভাবে এই দেশটি এত উন্নত ও ধনী হলো?
অসাধারণ মেধা আর বিরল প্রতিভার অধিকারী ঋতুপর্ণ ঘোষ নিঃসন্দেহে বাংলা ছবির সম্পদ, একেবারে খাঁটি “হীরের আংটি “।