Breaking Bharat: IPL 2023 মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স থেকে মুকেশ ও নীতা আম্বানি কত টাকা আয় করলো জানেন? মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফাইনালে ওঠার আগে মুখ থুবড়ে পড়লেও IPL 2023 থেকে মোটা টাকা উপার্জন করলেন আম্বানিরা। কিন্তু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স থেকে কত আয় হল আম্বানি পরিবারের?
খেলা হবে খেলা হবে করতে করতে খেলা শেষ হয়ে গেল। সভাপতি দুমাস ধরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চলার পর কিছুটা খেলা শেষের দুঃখ রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের মধ্যে। সামনে যদিও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, তারপর কিছু সিরিজের খেলা এবং সবশেষে অর্থাৎ বছরের শেষে গিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বিশ্বযুদ্ধ। অনেকেই বলেন আইপিএল মানে টাকার খেলা। তাহলে দেখা যাক ধনকুবের আম্বানি পরিবার এই আইপিএল থেকে ঠিক কত টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকাতে পারল?
আম্বানি মানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স:
বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট নিয়ে একটা উন্মাদনা রয়েছে আর ভারতের ক্রিকেট খেলা নিয়ে উচ্ছ্বসিত থাকে বিদেশের ক্রিকেটাররাও। আপনাকে নতুন করে আর চেন্নাইয়ের পারফরমেন্সের ব্যাপারে কোন কথা বলার নেই। মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) জয়জয়কার গোটা দেশ জুড়ে তাইতো গুজরাটের স্টেডিয়ামে যখন ফাইনাল খেলা হচ্ছে গোটা স্টেডিয়াম হলুদ রঙে ভরে গেছে।
গুজরাট লড়াই করেছে কিন্তু খেতাব জিতেছে চেন্নাই। এবার প্রশ্ন উঠবে যে আম্বানির পরিবারের কথা বলছি তাদের সঙ্গে তো এই টিমের কোন যোগাযোগ নেই। আম্বানি মানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই দল অবশ্য ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারিনি। শুভমনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে গুজরাট মুম্বাইকে হারিয়ে নিজেকে জায়গা ফাইনালে পাকা করেছিল।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স থেকে কত আয় হল আম্বানি পরিবার?
ফলে আইপিএলে এবার ফাইনালের আগের পর্ব থেকেই বাদ পড়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। তা সত্ত্বেও নিজেদের টিম থেকে কত আয় হল আম্বানি পরিবার? সত্যি কথা বলতে গিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফাইনালে ওঠার আগে মুখ থুবড়ে পড়লেও IPL 2023 থেকে মোটা টাকা উপার্জন করলেন আম্বানিরা (income is the Ambani family from Mumbai Indians)।
আরো পড়ুন – Nothing phone 2: সম্প্রতি লঞ্চ হতে চলেছে নাথিং ফোন 2? জেনে নিন ফিচারস সংক্রান্ত আরো আপডেট!
আমরা সকলেই জানি যে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স টিমের ১০০% মালিকানা রয়েছে নীতা আম্বানি ও মুকেশ আম্বানির হাতে। প্রায় কয়েক লক্ষ ডলার খরচ করে ২০০৮ সালে এই টিম কিনেছিলেন স্বয়ং আম্বানি। রিপোর্ট বলছে প্রথম সিজনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালিকানা পেতে ২০০৮ সালে তিনি ৯১৬ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন।
আরো পড়ুন – আগের মত সুবিধা পাবেন না ভোডাফোনে? 99 টাকার রিচার্জে কোন কোন সুবিধা বাতিল?
এখন পর্যন্ত পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিমটি। এখানেও শেষ নয় কারণ ২০২৩ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার খেতাবও রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স -এর। তাই এই দলটি হাই ব্র্যান্ড ভ্যালু বহন করে বটে। আপনি হয়তো জানেন যে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্র্যান্ড ভ্যালু রয়েছে দশ হাজার সত্তর কোটি টাকার বেশি।
আরো পড়ুন – Zee5 নিয়মিত দেখেন? এবার জি ফাইভ প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন পেয়ে যান একদম ফ্রিতে!
গত এক বছরে এই দলের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়েছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। শুধু এইটুকু নয়, নীতা ও মুকেশ আম্বানি নানা জিনিস বিক্রি, টিকিটের দামের পাশাপাশি মিডিয়া স্পনসরশিপ এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আম্বানি পরিবারের আয়ের আরেকটি বড় উৎস ছিল জিও সিনেমা (Jio Cinema)।
আরো পড়ুন – Money on Telegram: টেলিগ্রাম থেকে উপার্জন করার সুযোগ! কী ভাবে টেলিগ্রাম থেকে আয় করবেন?
কারণ আমরা অনেকেই এ বছরে ডিজনি হট স্টার থেকে আইপিএল -এর মোবাইল ভিউয়ার সত্ত্ব পেয়েছে জিও সিনেমা। এবং এই প্লাটফর্মে অনেকের খেলা দেখেছেন। ২০২৩ সালের আইপিএল থেকে জিও সিনেমা তেইশ হাজার কোটি টাকা উপার্জন করেছে। আর জিও কোম্পানির মালিকানা নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার মনে কোন প্রশ্ন নেই। তাহলে ভেবে দেখুন ম্যাচ হেরে সিরিজ হেরেও কত ভাবে লাভবান আম্বানিরা।