Breaking Bharat: আপনি কি মধ্যবয়স্ক মহিলার প্রেমে পড়েছেন? বয়সে বড় কাকিমার সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুর মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের জড়িয়ে পড়তে চাইছে যুবক: এই অসম ভালবাসা কতটা সিদ্ধ? অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে সামলাবেন কী করে?
আজকের প্রতিবেদনের শুরুতে যে শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে তাতেই বিষয়টা সম্পর্কে আপনার ধারণা আশা রাখি পরিষ্কার হয়ে গেছে। হ্যাঁ আমরা আজকে কথা বলছি অসম ভালোবাসা নিয়ে। ভালোবাসা হয় সমানে সমানে – এই কথাটা সিনেমায় বা গল্পে হয়তো অনেকবার পড়েছেন।
মধ্যবয়স্ক মহিলার প্রতি দুর্বলতা:
কিন্তু তার প্রেক্ষিত টা একেক জায়গায় একেক রকম। কেউ টাকা দিয়ে বিষয়টা বিচার করে অর্থাৎ বড়লোকের সঙ্গে বড়লোকের ভালোবাসা। ৯০ এর দশকে এ নিয়ে অনেক রোমান্টিক ছবি হয়েছে। যেখানে নায়ক বা নায়িকা কেউ বড়লোক ঘরের হতেন অন্যজন গরিব , তা নিয়ে মহাকান্ড।
বয়সের ফারাক অসম ভালোবাসা এক উদাহরণ। সমাজে ছেলের বয়স মেয়ের বয়সের থেকে বেশি হবে, সেটাই আদর্শ ভালবাসার গল্পের নায়ক নায়িকা হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনটাই ধরা হয়। কিন্তু মেয়ের বয়স যদি ছেলে থেকে বেশি হয় অর্থাৎ একজন যুবক যদি একজন মধ্যবয়স্ক মহিলার প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেন কেলেঙ্কারির সেখানেই শুরু। এমনই এক অসম ভালবাসার কথা বলছি আপনাকে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বন্ধুত্ব শব্দটার সঠিক মানে অনেকেই করে উঠতে পারেন না। আজকালকার যুগে মা বাবার ছেলে মেয়ের সঙ্গে অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন। সেই সুবাদে ছেলে মেয়ের বন্ধু বান্ধবের সঙ্গেও মা-বাবার বন্ধুত্ব হয়।
বয়সে বড় কাকিমার সঙ্গে সম্পর্ক:
এইখানে যদি ভাবনাচিন্তার একটু গন্ডগোল হয় তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছোটবেলায় স্কুলের ছাত্র তার শিক্ষিকার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করছে। এটা হতেই পারে সেই শিক্ষিকা বা পরবর্তীতে অধ্যাপিকার জন্য সেই কলেজের ছাত্র যে টান অনুভব করছে সেটার পিছনে একটা শ্রদ্ধা কাজ করছে।
কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি সেটা শরীর সর্বস্ব হয় অর্থাৎ সেই শিক্ষিকা বা অধ্যাপিকা কে শারীরিকভাবে কাছে পাওয়ার কামনা করছে মনে মনে সেই ছেলেটি, তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার।
আরো পড়ুন – Temple marriage : নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে আপনার বিয়ে দিতে সদা প্রস্তুত দেশের ৪ টি মন্দির!
এরকম ঘটনা প্রায় সেই ঘটতে থাকে আর দেখা যায় এই ধরনের মানসিকতার ছেলেটি সাধারণভাবে বাবা মা, বা পরিবারের সঙ্গে খুব একটা একাত্ম হতে পারে না। কোথায় যেন একটা দূরত্ব তৈরি হয়। সেখান থেকেই তার মনের মধ্যে ফাঁকা জায়গা পূর্ণ করার ইচ্ছে বা লোভ থেকেই শিক্ষিকা বা অধ্যাপিকা বা বয়সে বড় কাকিমার সঙ্গে সে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে চায়।
বন্ধুর মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের জড়িয়ে পড়তে চাইছে যুবক:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমনটা হয় যে কোন বন্ধুর মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের জড়িয়ে পড়তে চাইছে যুবক। এক্ষেত্রে বিষয়টা চরম অস্বস্তিকর বুঝতে পারছি। প্রথমে খোলাখুলি ভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করে নিজে একটু বোঝার চেষ্টা করুন। যেহেতু সে আপনার ছেলের বন্ধু তাই সহজেই তাকে কিছু বলা যাবে না।
আরো পড়ুন – Married life : বিবাহিত জীবনে সুখী নন? আপনার স্ত্রী কি অন্য কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন?
আবার ছেলে যদি জানতে পারি তার বন্ধু তার মায়ের প্রতি আলাদা টান অনুভব করছে আর তার সাথে কোথাও গিয়ে একটা শারীরিক সম্পর্কের কামনা তৈরি হচ্ছে। সেটাও কিন্তু আপনার সন্তানের পক্ষে মেনে নেয়া কোনদিনই সম্ভব নয়। প্রথমে পরিস্থিতি বুঝুন তারপর এড়িয়ে চলুন নিজের ছেলের সেই বন্ধুকে।
আরো পড়ুন – Speak only Hindi : ইংরেজি নিয়ে টেনশন করবেন না, হিন্দি দিয়ে সহজে কাজ চালান!
দূরত্ব বাড়ান তার সঙ্গে আর আগের মত ব্যবহার করবেন না। এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে সোজাসুজি তার সঙ্গে কথা বলুন জানতে চান তার সমস্যাটা কি? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই ধরনের মানুষেরা আপনার কথা শুনবেন না । আসলে এটা এক ধরনের মানসিক সমস্যা।
যদি আপনি ব্যাপারটা বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তালে নিজের ছেলের সঙ্গেও খোলাখুলি আলোচনা করে তাকে সবটা বোঝান এবং ছেলের সেই বন্ধুর বাড়িতেও জানান।
আরো পড়ুন – বন্ধুবান্ধব এমনকি বয়সে ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা জুটেছে, আপনার জোটেনি তো?
কোনভাবেই যেন বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায় না চলে যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে তার পরিবারকে বলুন কাউন্সিলিং পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে নিজেদের ছেলেকে নিয়ে যেতে।