Breaking Bharat: ডাক্তারের ব্যবহার কি রোগীর সুস্থতার কারণ হতে পারে? ডাক্তারের কাজ কি? ডাক্তার আমাদের কিভাবে সাহায্য করে? একজন ভালো ডাক্তার রোগীর সম্পর্ক কি করে তোলে?
পৃথিবীতে নানা ধরনের রোগী দেখা যায়। আসলে রোগ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটায়। এক একজন রোগী একেক রকম ভাবে চিন্তাভাবনা করেন। মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়েন তখন সবার আগে ডাক্তারকে ভগবান বলে ভাবতে শুরু করে। তাই ডাক্তারের ব্যবহার একজন রোগীর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ (importance of doctor-patient relationship)।
রোগীর সাথে ডাক্তারের আচরণ কেমন হওয়া উচিত?
প্রতিটা মানুষ সুস্থভাবে জীবনে বেঁচে থাকতে চায়। কিন্তু সব সময় সেটা সম্ভব হয় এমনটা নয়। মাঝেমধ্যেই নানা রোগ শারীরিক এবং মানসিকভাবে মানুষকে দুর্বল করে তোলে। তখনই প্রয়োজন হয় একজন ভালো বন্ধুর যে আপনাকে সত্যি সত্যি ভেতর থেকে উদ্বুদ্ধ করবে।
আসলে দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগে ভুগে যে মানুষটা অসহায় হয়ে পড়ে, তার বাড়ির লোক আর তার প্রতি সেইভাবে গ্রাহ্য দেয় না। এটা খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। প্রত্যেকদিন একই ঘটনা ঘটতে থাকলে একটা বিতৃষ্ণা জন্মে যায়। সে ক্ষেত্রে বাড়ির লোক রবির সঙ্গে থাকতে থাকতে কোথাও গিয়ে যেন বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করেন। এতে সেভাবে কাউকে দোষ দেয়া হয়তো যায় না।
কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা গেছে ‘রোগী যখন ডাক্তারের কাছে যান‘ তখন তিনি সেই ডাক্তারকে পরম নিকট বলে মনে করেন। সে ডাক্তারের মধ্যে নিজের পরমপ্রিয় মানুষটাকে খুঁজতে চাওয়ার মধ্যে কিন্তু একটা আলাদা তৃপ্ততা লুকিয়ে রয়েছে রোগীর মনে। ডাক্তারের কাছে যখন রোগী যান তখন তার নিজের কথাগুলো সমস্যাগুলো যাতে বলতে পারেন সেরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করার প্রয়োজন হয়।
কিন্তু ডাক্তারের প্রতি যদি একটা ভয় তৈরি হয় বা বিরক্তি তৈরি হয় তাহলে কিন্তু রোগীর সঙ্গে সম্পর্কটা কখনোই সুন্দর হয় না। ঠিক যেমনটা ঘটে শিক্ষক আর ছাত্রের মধ্যে। ভয় একটা সময় পর্যন্ত প্রয়োজন কিন্তু তার সঙ্গে ভক্তি শ্রদ্ধা না থাকলে কিন্তু শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্কের বন্ধন টা তৈরি হয় না।
যার বিরূপ প্রভাব পড়ে শিক্ষকের এবং ছাত্রের মনে। ঠিক সেভাবেই ডাক্তারের উচিত রোগীর মনটাকে বোঝা কারণ সবার আগে মানসিকভাবে সুস্থতার কথা মনে না করতে পারলে অনুভব না করতে পারলে দেহ কখনোই সেই মতো প্রতিক্রিয়া দেবে না।
মেডিকেল সাইজ একটা কথা আছে মনের জোর, আর ডাক্তারদের কাজটা কিন্তু অনেকটাই সহজ হয়ে যায় যদি রোগীর এই জোর অনেকটা বেড়ে থাকে। এরকম অনেক ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলা যায় যেখানে ডাক্তার রোগীর পরম বন্ধু আপনজন হয়ে উঠেছে অচিরেই। অনেক রোগের ক্ষেত্রে আগেই একজন মনস্তাত্ত্বিক দিয়ে রোগীর অবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে বুঝে নেবার চেষ্টা হয়।
আরো পড়ুন – ৫৬ বছরে কেন সন্তান ধারণ করতে হল প্রৌঢ়াকে? আমেরিকার বুকে বিরল ঘটনা! জানুন বিস্তারিত
খুব স্বাভাবিকভাবেই মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল না হলে কোন রকমের অপারেশন বা কোন ওষুধ সেভাবে কাজ করতে পারে না। তাই রোগীর কাছে ডাক্তার ভগবানের মতো বন্ধুর মতো আপন জনের মতো হয়ে ওঠাটাই বাঞ্ছনীয়।
আরো পড়ুন – ভারতীয় রেল আপনাকে দিচ্ছে একগুচ্ছ সুযোগ সুবিধা, জানেন কি?
সবশেষে একটা কথা বলি ধরুন রোগীর সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য গল্প আড্ডা বা খোশ মেজাজে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ডাক্তার। এটা যে একজন রোগীকে মানসিকভাবে কতটা চাঙ্গা করে তুলতে পারে তার পরিভাষা একমাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞান বোঝে। তাই মনে রাখতে হবে এই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ টা যদি বাড়িতেই তৈরি করা যায় তাহলে কিন্তু অনেক সমস্যাকে অনেক রোগ সহজেই দূর করা যায়।
আরো পড়ুন – আপনি কি যখন তখন ভয় পান? গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায় কি?
ডাক্তারের কাছে ডাক্তারিটা তার পেশা বটে কিন্তু মনে রাখতে হবে তিনি যাদের সঙ্গেই তার এই পেশাগত সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তারা প্রত্যেকে জীবন্ত মানুষ। হলে ভালো লাগা খারাপ লাগা সব অনুভূতিগুলো নিয়েই কিন্তু একজন রোগী হয়ে ডাক্তারের কাছে আসে তাই সম্পর্কটা হোক একজন মানুষের আর একজন মানুষের সঙ্গে। সেখানে ডাক্তার বা রোগী, এই চিহ্নগুলো না থাকাই দরকার।