Breaking Bharat: চারিদিকে এত ভিড় ,কোথায় আছে শান্তির নীড়? চিরশান্তির দেশ কোথায় খুঁজব আমরা, চারিদিকে বড় অশান্তি তাই শান্তির খোঁজে আপামর মানবজাতি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই শান্তি কোথায় পাওয়া যাবে? মনস্তাত্ত্বিকরা বলেন মনের মাঝেই শান্তি আর অশান্তির সহাবস্থান (Iceland)।
তাই মন স্থির রাখা সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয়। কিন্তু পারিপার্শ্বিক বাতাবরণ যদি ঠিক না হয় মন কি ঠিক থাকতে পারে? সহজ উত্তর , না। এই আজ এমন এক স্থানের খোঁজে আমরা যেখানে গেলে শান্তি এমনিতেই আসবে। কারন সেই স্থান বিশ্বের চির শান্তির জায়গা ।
কিন্তু এমন কোন জায়গা আদৌ আছে কি?
আজকে কথা বলা যাক আইসল্যান্ড (Iceland ) নিয়ে। ইউরোপ মহাদেশের একটি প্রজাতান্ত্রিক দ্বীপ রাষ্ট্র। এর রাজধানী রেইকিয়াভিক। যদি ভোগলিক অবস্থান জানতে চান (iceland facts) তাহলে বলতে হয়, ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দ্বীপটি গ্রিনল্যান্ডের পূর্ব ও উত্তর মেরুরেখার ঠিক দক্ষিণে মধ্য আটলান্টিক পর্বতমালার ওপর দিকে অবস্থিত। দ্বীপটির আয়তন যতটা তার ব্যবহারিক প্রয়োগের তা কতটা উঠে আসে এবার সেটা দেখে নেবার পালা।
পরিবেশবিদরা বলেন দ্বীপটির প্রায় ১১% হিমবাহ দ্বারা আবৃত থাকে। এই দ্বীপের ২০% জায়গা ব্যবহার করা হয় পশুপালনের জন্য আর মাত্র ১% এলাকায় কৃষিকাজ হয়। আনুমানিক প্রায় ৯০০ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ মানুষের বসতি স্থাপনের আগে দ্বীপটির প্রায় ৩০-৪০% গাছপালা আর বন জঙ্গলে ঘেরা ছিল। বর্তমানে অবশ্য সেই পরিমাণ বনভূমির অস্তিত্ব আর সেখানে নেই।
আইসল্যান্ড নিয়ে এত কথা কেন? (Iceland)
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় আনুমানিক এক হাজার বছর আগে ভাইকিং অভিযানকারীরা আইসল্যান্ডে বসতি স্থাপন করে। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে শান্তির জায়গা বা দেশ খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ আইসল্যান্ড নিয়ে এত কথা কেন? (iceland destinations)
এখনই আপনাকে জানাই যে একটি দেশ ঠিক কতটা শান্তির তা পর্যালোচনা করার জন্য সেই দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা প্রয়োজন। যেমন- সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় – সবকটি প্রেক্ষাপট নিয়ে বিচার করা উচিত (iceland capital)।
প্রথমেই বলি অশান্তির মূল কারণ সব সময়ই হয় বৈষম্য বা ভেদাভেদ। তা সে শ্রেণী বা ধর্মগত হোক বা অর্থগত। ভেদাভেদ বা বৈষম্য থাকলে অশান্তি আসবেই। টি-টোয়েন্টি আইসল্যান্ড আলাদা।কারণ আইসল্যান্ডের অধিবাসীদের মধ্যে ধনী- গরীবের ভেদাভেদ নেই (iceland people)।
সেখানে সবাই মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করেন। প্রত্যেকেরই খাওয়া-দাওয়া শিক্ষাদীক্ষা আচার-আচরণ সবই এক রকম। কেউ ওপরে বা কেউ নিচে নেই। দেশটির ৮০% নাগরিকই ইভানজেলিকাল “লুথেরান” ধর্মে বিশ্বাসী। প্রায় দশ হাজার মুসলিমও রয়েছে আইসল্যান্ডে। এছাড়া রয়েছেন অন্যান্য ধর্মের মানুষও।
আরো পড়ুন- immortality possible : মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, কিন্তু সারা জীবন বেঁচে থাকা যায় কি?
দ্বিতীয়ত, এদেশে কোন লিঙ্গ বৈষম্য নেই। ‘‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’’ এর তালিকা অনুসারে, আইসল্যান্ড পর পর টানা ৭ বছর লিঙ্গ সমতার দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে। দেশের প্রায় শতকরা ৬৬ ভাগ নারী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ পুরুষদের তুলনায় বেশি।
আরো পড়ুন- Father is happy : বাবা হওয়া কি এতই সোজা ? বাবারা কখন আনন্দ পায় জানেন ?
পার্লামেন্টের ৬২টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসনই নারীদের অধীনে অর্থাৎ শতকরা ৪৮ ভাগ ক্ষমতা নারীদের হাতে। এছাড়াও দেশটির ৮০ ভাগ নারীই বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে জড়িত। পারিবারিক ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যতামূলক পিতৃত্বকালীন ও মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। অর্থাৎ এখানেও নারী-পুরুষ সমান সমান (iceland tourism)।