Breaking Bharat: আপনার কি হজমের সমস্যা (Digestive problems) ? গ্যাস্ট্রো-এসোফাজিয়াল রিফ্লুক্স ডিজিজে ভুগছেন না তো? সাবধান হোন এখনই! মানুষ মাত্রই এটা ওটা খাওয়া আর হজমের গোলমাল হওয়া – এই স্বাভাবিক ঘটনা নিয়েই জীবন এগিয়ে চলে।
কিন্তু কখনও কিছু কিছু রোগ বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেলে তা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তাই সেক্ষেত্রে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আজ তেমনই এক রোগ নিয়ে আমাদের আলোচনা। অসুখের নাম গ্যাস্ট্রো-এসোফাজিয়াল রিফ্লুক্স ডিজিজ বা সংক্ষেপে GERD.
যে রোগের কথা বললাম সেটা সাধারণত হজমের গোলমাল থেকে হয় (Digestive problems)। পেটের মধ্যে থাকা অম্ল রস যখন খাদ্যনালীতে ফিরে আসে তখন সাংঘাতিক এক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। একজন ব্যক্তি সাধারণত স্বাভাবিকের চেয়ে ঘন ঘন অ্যাসিড রিফ্লাক্স অনুভব করেন।জীবনযাত্রার পরিবর্তন (Lifestyle changes) এবং খাদ্যাভাস উন্নত করেও জিইআরডি প্রতিরোধ করা যায়।
এই রোগ হলে খাবার পর বুকে ব্যথা (chest pain), অস্বস্তি, বদ হজম (bad digestion), ঘুম কমে যাওয়া ইত্যাদি হয়ে থাকে। হাঁপানি রোগীরা সাধারণত জিইআরডি দ্বারা প্রভাবিত হয়।জিইআরডি- এর মৌলিক কারণ অ্যাসিড রিফ্লাক্স। ইসোফ্যাগাসের নিচের অংশে পেশীগুলির একটি ব্যান্ড রয়েছে যা ইসোফাজাল স্ফিন্টার গঠন করে।যদি পেশীগুলিতে কোন দুর্বলতা বা অস্বাভাবিকতা থাকে তবে এটি জিইআরডি হতে পারে।
দিনের পর দিন দেরিতে খাবার খাওয়া বা মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান করা অথবা গর্ভাবস্থার সময় এই সমস্যা হতে পারে। মেডিকেল সাইন্সে এখন ওষুধের মাধ্যমে এই রোগের প্রতিকার হওয়া সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে বিশিষ্ট গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টকে দেখানো দরকার। অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে ডাক্তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন।
আরো পড়ুন- Buy Cycle : আমি সাইকেল কিনতে চাই ! কিন্তু সাইকেলের চাকার হাওয়া নিয়ে যত সমস্যা ?
সেই ক্ষেত্রে এন্ডোস্কোপিক পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয় – এই রিফ্লাক্স প্রতিরোধ স্পিঙ্ক্টার পেশী আঁট করার জন্য ব্যবহৃত হয়।এতে স্নিগ্ধকরণ তৈরির জন্য তাপ ব্যবহার করে স্ফিন্টার পেশী বা রেডিওফ্রেকেন্সি ব্যবহার করা হয়।Fundoplication এবং LINX ডিভাইস মাধ্যমে ও আজকাল অস্ত্রোপচার করা সম্ভব।
আরো পড়ুন- Traveling : ছোট বাচ্চা নিয়ে ভ্রমণ করেন? তাহলে বাচ্চাদের এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন!
আরো পড়ুন- T Shape : বাড়ির ছাদে থাকা, জলের ট্যাংকের পাইপের মাথায় T শেপের পাইপ লাগানো হয় কেন?
তবে কিছু জিনিস নিজের মাথায় রাখা দরকার যেমন, মসলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, অ্যালকোহল সেবন বন্ধ করা, ধূমপান বন্ধ করা। আর সমস্যা হলে সবার আগে দরকার ডাক্তারি পরামর্শ। মাথায় রাখবেন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে রোগ নিয়ে যাওয়ার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন ।