Breaking Bharat: ব্লুটুথ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস! ব্লুটুথ ডিভাইস কেন প্রয়োজন? ব্লুটুথের নাম এল কোথা থেকে? ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে একে অন্যকে কিছু দিতে চাইলে সবার আগে নীল দাঁতের প্রয়োজন হয় (I install Bluetooth), কিন্তু এমন নাম কেন?
আজকালকার যুগ প্রযুক্তিনির্ভর আর সেই যুগে মোবাইল, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স গেজেট ছাড়া বাঁচা প্রায় অসম্ভব। এগুলো কিন্তু বাহালতা নয় নিতান্তই প্রয়োজন। প্রযুক্তি যত উন্নত হবে ততই একের পর এক অপশন আসবে আমাদের জন্য।
ব্লুটুথ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস!
সেইমতো নিজেকে আর নিজেদের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সিস্টেম (Systems of electronics devices) আপগ্রেট করে নিলেই হল। আজকে নীল দাঁত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এত ভূমিকা কেন ভাবছেন তো? আসলে এই রঙিন দাঁত (Bluetooth) যে আপনার মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সে তো নিশ্চয়ই জানেন। ইংরেজি নামেই বেশি জনপ্রিয় ইনি। ব্লুটুথ। কিন্তু এমন নাম এল কোথা থেকে?
ব্লুটুথের নাম এল কোথা থেকে?
ব্লু টুথ শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিছু শেয়ার করার দরকার হলে সবার আগে ব্লু টুথ এর কথাই মনে পড়ে। এখন তো আবার ওয়ারলেস সাউন্ড সিস্টেমের যুগে সিডি বা পেনড্রাইভ ব্যাকডেটেড, সবটাই ব্লু টুথের কামাল। কিন্তু আমরা কি জানি এই শব্দটা এল কোথা থেকে? আসলে শব্দটি এসেছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এক ভাইকিং রাজার নাম থেকে (bluetooth price)।
হেরাল্ড ব্ল্যাটান্ড গর্মসন বেশ কিছু বছর ধরে ডেনমার্ক ও নরওয়ের দায়িত্বভার সামলেছেন। তাঁর রাজত্বকালে ডেনমার্ক ও নরওয়েকে তিনি এক করেন। এই মহান রাজার সামনের দিকের একটি দাঁতে সমস্যা ছিল, মানে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হত দাঁতটি ছিল মৃত। এটি দেখতে গাঢ নীলচে ধূসর বর্ণের। এ জন্য তাঁর নাম ব্ল্যাটান্ড ড্যানিশ থেকে ব্লু টুথ হয়ে যায় (bluetooth headphones)।
আরো পড়ুন- Bridge Facts : আপনি কি জানেন মানব ইতিহাসের অর্থের সবচেয়ে বড় অপচয় কী ছিল?
এবার আসি টেকনোলজির প্রসঙ্গে। ১৯৯৬ সালে ইন্টেল এর জিম কারড্যাশ একটি নতুন প্রযুক্তির সাথে বিশ্বের পরিচয় করিয়ে দেন যা কম্পিউটার ও সেলুলার ডিভাইস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। মানে যেমনটা গর্মসন, ডেনমার্ক ও নরওয়ের মধ্যে করেছিলেন। তাই তিনি এই প্রযুক্তির নাম দেন গর্মসন এর ডাকনাম এর ইংলিশ রূপ ” ব্লু টুথ”।
আরো পড়ুন- Reading books : আপনি কি বই পড়তে ভালোবাসেন? আসলে বই পড়ার মতো ভালো কাজ পৃথিবীতে আর দুটো নেই
আরো পড়ুন- Dak Bungalow Recipe : রান্না তো পাতে যাবে, কিন্তু খাবারকে কেন ‘ডাকবাংলো’ নামে ডাকতে হবে ?
এই ভাবেই ব্লু টুথ এর জন্ম। বর্তমানে কোন কিছু শেয়ার করতে দুটি আলাদা ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে প্রথম নাম ব্লু টুথ এর। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আরো নতুন নতুন কী কী ভাবে এর প্রয়োগ এবং ব্যবহার বাড়ানো যায় সেই নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।