Breaking Bharat: আপনি কি অলস? জীবনে পরিশ্রম করার জন্য কি সত্যিই কোনও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়? মানুষ মাত্রই জীবনযাপন করার নানা পদ্ধতি খুঁজতে হয়। দায়িত্ব এমন একটা শব্দ যা মানুষকে খুব তাড়াতাড়ি পরিণত করে তোলে। আবার দায়িত্ব জ্ঞান হীনতা কোন মানুষকে অসম্পূর্ণ করে রাখতে যে কতটা কার্যকরী ভূমিকা নেয় সেটা বলে বোঝানো যাবে না।
এই একটা শব্দ জীবন দর্শনের ফারাক গড়ে দিতে পারে। কেউ হয়ে ওঠেন কর্মঠ কেউ হয়ে ওঠেন অলস বা কুঁড়ে। তুই কেন এমনটা হয় আর এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর উপায়টাই বা কী চলুন এক ঝলক দেখে এবং বুঝে নেওয়া যাক।
পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরির উপায় কী?
মানুষ দুই রকমের হয়। কেউ স্বভাবে কেউ আবার অভাবে পরিবর্তিত হয়। আসলে জীবনের সুখ শান্তি প্রত্যেকই চায় আর সেটা পাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সেই কাজ না করেই যদি সহজে সেটা হাতের কাছে চলে আসে তাহলে আর কাজ করার প্রবণতা তৈরি হয় না (how to work hard to be successful)।
খুব স্বাভাবিকভাবেই ভেবে দেখুন, যদি দুদিন আগামী ট্যাক্সি চড়ে এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় পৌঁছে যান একই গন্তব্যে পরের দিন ভিড় বাসে ঝুলে যেতে ইচ্ছে করবে কি? আসলে মানুষ স্বভাব আর অভ্যাসের দাস, পরিস্থিতি মানুষের চিন্তাভাবনা বদলাতে সাহায্য করে।
একটা বিষয় মাথায় রাখবেন কোন মানুষের যদি পরিশ্রম করার প্রয়োজন না হয় তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তার জীবনে অলসতা জায়গা করে নেবে। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ সভ্যতার সঙ্গে লড়াই করতে করতে আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।
পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি:
পুরুষ জানে তাকে লড়াই করে উপার্জন করতে হবে পরিবারকে প্রতিপালন করতে হবে। নারী জানে যে পরিবারের দায়িত্ব সে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে পরিশ্রম করে সেই পরিবারকে সুস্থ রাখতে হবে এবং তার সব ধরনের খেয়াল রাখা তার পরম কর্তব্য।
প্রয়োজনীয়তা না হয় মানে কোন একজন মানুষ যদি ঘুম থেকে উঠে হাতের সঙ্গে সবকিছু পেয়ে যান সেটা টাকা হোক বা সুযোগ-সুবিধে তাহলে কি আর পরিশ্রম করতে মন চাইবে? অলসতা এমনিতেই মনের মধ্যে জায়গা করে নেবে। আর এখনকার দিনের সহজ একটা পদ্ধতি হচ্ছে মোবাইল ব্যবহার করা, ব্যাস তাহলে তো আর কোন কিছু করার প্রয়োজনই নেই।
ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল দেখে সময় কাটানোর তাদের অভ্যাস, যাদের জীবনে কোন কিছু করার প্রয়োজন তারা নিজেরা অনুভব করেন না। আরেকটা বিষয় কী জানেন, চিরুকটা শীতের মধ্যে লেপ কম্বল ছেড়ে নিজের প্রয়োজনীয় খাবারটুকু খেতে যেতে চান না তিনিই আবার ঘন্টার পর ঘন্টা দরজার পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেয়ে যেতে পারেন।
আরো পড়ুন – সন্দেহবাতিক হওয়া কি দোষের? এটা কি একটা রোগ কী করে পরিত্রাণ পাওয়া যায় জানা আছে?
আমরা অবশ্যই ধূমপানকে সমর্থন করছি না কিন্তু এই স্বভাব বা মানসিকতার কথা বলছি। বাস বা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে যে ছেলেটার বিরক্ত লাগে ,সেই কিন্তু একটা জায়গাতে দাঁড়িয়ে নিজের প্রেমিকার সঙ্গে কতক্ষণ যে একটানা নাগাড়ে বকবক করতে পারে সে সম্পর্কে তার নিজের কোন আইডিয়াই নেই।
আরো পড়ুন – কোন খাবার সত্যিই ভালো আর কোনটা খারাপ! জেনে নিন
ধরুন মন দিয়ে দু আড়াই ঘন্টা পড়াশোনা করতে চাইছে না কেউ। অথচ চুপচাপ সিনেমা হলে গিয়ে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা অনায়াসে সিনেমা দেখা যায়। কখনো ভেবে দেখেছেন এগুলো কীভাবে সম্ভব হয়? তাহলে এই কথাটা বলতেই পারেন দূর করার একটা উপায় হচ্ছে পছন্দ আর অপছন্দের কাজের মাঝের সূক্ষ্ম ব্যবধান কে মুছে ফেলা।
আরো পড়ুন – ডিভোর্স মানে কি জীবন শেষ? কেন বারবার আঙ্গুল ওঠে মেয়েদের দিকে?
মানে যে কাজটা অপছন্দ সে কাজটা করতে অলসতা বোধ জাগবেই কিন্তু যেটা পছন্দের কাজ তার জন্য সবকিছুকে একদিকে সরিয়ে রেখে ঝাপিয়ে সেই কাজে নিজেকে অবতীর্ণ করা যায়। এবার এই থিওরি কে নিজের জীবনে প্রয়োগ করুন।
প্রথমত মোবাইল ফোন, টিভি দেখা এগুলোকে নেশা হিসেবে তৈরি করবেন না। দ্বিতীয়তঃ নিজের দায়িত্বগুলো নিজে নিতে শিখুন আপনি অন্য একজনের বোঝা হয়ে থাকার জন্য পৃথিবীতে আসেনি, এটা নিজেকে বুঝিয়ে দিন।
আরো পড়ুন – দুটি সন্তানের বেশি কখনই পরিবারে আনা উচিত নয়, কেন বলেন চিকিৎসকেরা?
সব সময় পছন্দের কাজ পাওয়া যায় না তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকার মধ্যে কোন বাহাদুরি নেই। চেষ্টা করুন সবকিছুর মধ্যে পজিটিভ দিক আর ভালো লাগাকে খুঁজে বের করতে ।তবে দেখবেন যেটা গতকাল অপছন্দ ছিল আজ একটু একটু করে পছন্দ হতে শুরু করেছে।
আর এর ফলে আপনার অলসতা ধীরে ধীরে কাটবে আর সুন্দর কর্মঠ জীবনের দিকে এগোবেন আপনি যেটা শুধুমাত্র দশটা পাঁচটা চাকরি করা নয় বরং মানুষের মতন মানুষ হয়ে ওঠা।