Breaking Bharat: আপনার বাড়ির গাছের ফুল চুরি হয়ে যাচ্ছে? কোনও ভাবেই চোর ধরতে পারছেন না? কিন্তু গাছের ফুল গাছে থাকলে তো? আমরা বলছি ফুল চুরি হয়ে যাওয়ার কথা।
ফুল সবার খুব পছন্দের। মন খারাপের মরশুমে এই ফুল পুরো ছবিটাই বদলে দিতে পারে। সেই জন্যই তো পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর জিনিসগুলির মধ্যে ফুলকে ধরা হয়। কথায় বলে না শিশু আর ফুলের মত সুন্দর হওয়ার বিষয়ে। ফুলকে আপনি ভীষন ভাগ্যবান বলে ধরতে পারেন কারণ এই ফুল একদিকে ঘর সাজায় অন্য দিকে দেবতার উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়।
ঈশ্বরকে ফুল দেওয়ার কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই তাই না? কিন্তু প্রত্যেকদিন বাজার থেকে ফুল কিনে আনা বেশ ঝক্কির ব্যাপার। আবার চড়া দামের কথাও মাথায় রাখতে হবে আপনাকে। মানে সব মিলিয়ে বলতে গেলে বড় হ্যাপা। কিন্তু নিজের বাড়ির গাছের ফুল হলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। আর ঈশ্বরকে অর্পণের ক্ষেত্রেও মানসিক শান্তি মেলে। কিন্তু গাছের ফুল গাছে থাকলে তো? আমরা বলছি ‘ফুল চুরি হয়ে যাওয়ার কথা‘।
গাছের ফুল গাছেই সুন্দর এটা আমরা মনে করি। কিন্তু ফুল দেবতার পুজো তেও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল। তাই তো ফুলের সজ্জা বা প্রেম নিবেদন সবেতেই সেই সুন্দরের অংশ খোঁজার চেষ্টা চলে। মানে যেখানে যা কিছু শুভ সেই সবেতেই ফুলের দরাজ অধিষ্ঠান (How to stop people from stealing flowers?)।
কিন্তু গাছের ফুল যখন গাছে আর থাকে না আপনার অজান্তেই অন্য বাড়ির ফুলদানিতে শোভা পায়, তখন মেজাজ গরম আর মন খারাপ দুটোই হয়। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে সবার আগে গাছের দিকে নজর যায়। কাল রাত্রিবেলায় স্পষ্ট আন্দাজ মিলেছিল গাছ ভর্তি ফুল ফুটবে সকালে। কিন্তু একি? কিছুই তো নেই। আসলে আপনার ঘুম থেকে ওঠার আগে ‘ফুলচোর‘ এসে সব ফুল নিয়ে ভ্যানিশ।
আরো পড়ুন – Dream of death in sleep: ঘুমের মধ্যে মৃত্যুর স্বপ্ন দেখছেন? এর পেছনে কি কোনো বিশেষ কারণ আছে?
আচ্ছা একদিন দুদিন মানা যায়, তাই বলে রোজ? সমস্যাটা হচ্ছে পাড়ার কোন বৌদি বা কাকিমা কাজটা করছেন তার একটা আন্দাজ হয়তো করতে পারলেও তাকে মুখের উপর কিছু বলতে পারবেন না। এই দৃশ্য প্রায় প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে। এখানেই শেষ নয় অনেক সময় দেখা যায় মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে গাছে ফুল থেকে কিছু মানুষের হাত নিজেকে সামলে রাখতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা স্বভাবে হয় কারণ ফুল কেনার জন্য টাকার অভাব এইটা খুব একটা মানা যায় না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি আটকাবেন কী করে?
এই ধরনের মানুষকে আটকানো সত্যিই খুব কঠিন। সেক্ষেত্রে চক্ষু লজ্জার ব্যাপারটাকেই আপনাকে প্রধান হাতিয়ার করতে হবে। ধরুন যদি আপনি জেনে গিয়ে থাকেন যে কে ফুল চুরি করছে তাহলে যখনই তাকে রাস্তায় দেখবেন পরোক্ষভাবে তার কৃতকর্মের কথা তাকে শুনিয়ে দিন।
আরো পড়ুন – একা একা পড়াশোনা করতে সমস্যা হচ্ছে? আগে মনকে এক জায়গায় একত্রিত করুন, তারপর কেল্লাফতে!
আত্মসম্মান বোধ থাকলে নিশ্চয়ই তিনি এই কাজের পুনরাবৃত্তি করবেন না। এতে কাজ না হলে অন্য রাস্তা ভাবতে হবে। ফুল গাছে বোর্ড লাগিয়ে দিন, আর তাতেই ফুল চুরির পরিনাম সম্পর্কে কিছু কথা লিখে রাখতে পারেন। তবে ওই যে বললাম এটার জন্য চক্ষু লজ্জা ব্যাপারটা থাকতে হবে। CCTV ক্যামেরা বসানোটা একটু বেশি রকমের বাড়াবাড়ি হয়ে যেতে পারে। তবু যদি সামর্থ্য আর ইচ্ছে থাকে তাহলে চেষ্টা করতেই পারেন।
আরো পড়ুন – ট্রেনের শেষ বগির পেছনে x চিহ্নটি দেখেছেন? জানেন কেন রাখা হয় এটি?
আসল ব্যাপারটা হল মানসিকতা । যদি কোন মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন না হয় তাহলে কোনোভাবেই তাকে সৎ বা ভালো পথে আনা সম্ভব নয়। আর কিছুটা শিক্ষার প্রয়োজন আছে কারণ ন্যায় আর অন্যায়ের তফাৎ একমাত্র জ্ঞ্যানের আলোই করে দিতে পারে।