Breaking Bharat: শিশু মন বড় আদরের, কিন্তু শৈশব কোনও সময় আঘাত পেলে সে ট্রমা কাটানো কি সহজ হয় (Child trauma)? কথা বলে শিশু মানেই ঈশ্বর, নিষ্পাপ সরল-পবিত্র। যা করে একেবারে নিজের থেকে করে, নিজের মনের খেয়ালে দুষ্টুমি করা,বোঝা শোনা আর তারপর নিজের মতো করে কোনও কাজ করা।
সেই শিশুমন যদি কোনও মানসিক আঘাত পায় তাহলে কিন্তু তার রেশ থেকে যায় বড় বেলা পর্যন্ত। ঠিকই ধরেছেন,এই ক্ষেত্রে psychological trauma র কথা বলা হয়েছে। একবার তা সৃষ্টি হলে মুক্তির উপায় থাকে না।
শিশুদের জন্য এটা কতটা ক্ষতিকর আপনাদেরকে জানাবো। সবাইকে বুঝতে হবে এমন ঘটনা কেন ঘটে? শৈশবে অতি শাসন, অবহেলা, বাবা মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও রাখা, শারীরিক নিগ্রহ এসব দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে তা শিশুমনে গভীর রেখাপাত করে যা পরে ভীতি বা আতঙ্কের জন্ম দেয়।
এই অবস্থায় শিশুটি আর ৪-৫ জনের মত স্বাভাবিকভাবে বড় হতে পারে না, তার বিকাশ ঘটে না। আর এই শৈশবের ট্রমাই (Childhood trauma) বড় আকার নিয়ে নেয় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। সময়মতো পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে ।
তখন আর ফিরিয়ে আনার কোন রাস্তা থাকে না। শুধু তাই নয় বাকিদের মতো স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলো সেই শিশুর মধ্যে থাকে না। সে ক্রমাগত হিংস্র আর এক বক্কা হয়ে ওঠে। সময়ের সাথে সাথে তার মায়া মমতা বা স্নেহ ভালোবাসার মত কোমল আবেগ গুলো আস্তে আস্তে অবদমিত হতে থাকে।
কারো ক্ষেত্রে একেবারে ভোঁতা হয়ে যায়। বঞ্চনার কারণে জেগে থাকে শুধু রাগ হিংসা বা ভয় এর মত নেতিবাচক আবেগগুলো। এর ফলে বিভিন্ন মানসিক সমস্যার শিকার (Mental Problems) হতে হয় একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে। একটি সরল সুবোধ বালক পরিণত হয় বদরাগী বিষাক্ত মানুষে।
ধরে নিন এই শিশুটি বড় হয়ে আপনার সামনে এলো, তার আচার ব্যবহার ভাবনা চিন্তার মধ্যে অতীতের সেই ট্রমার স্পষ্ট দেখতে পাবেন আপনি। আপনি কি জানেন একজন শিশুর ঠিক কতটা মানসিক চাহিদার জায়গা তৈরি হয়? আমরা অনেকে ভাবি যে সদ্য জন্মানো একটি শিশুর কি আর চাহিদা থাকতে পারে।
আরো পড়ুন- Learn Music: গান শিখতে চান? গায়ক বা গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন আছে? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য
খাবার? ব্যাস? কিন্তু তা নয়। একদিন বয়স থেকে তার মানসিক চাহিদাও তৈরি হয়ে যায়। সে তার কোটা অনুযায়ী মনোযোগ, আদর ভালোবাসা প্রশংসা এগুলো পেতে চায়। আমরা অনেকে ভাবি যে সদ্য জন্মানো একটি শিশুর কি আর চাহিদা থাকতে পারে। খাবার? ব্যাস?
আরো পড়ুন- Patharkuchi plant: হঠাৎ করে পাথরকুচি গাছ হয়ে গেল কেন? আর এই পাথরকুচি গাছ যদি কেউ খায় কী হয়?
কিন্তু তা নয়। একদিন বয়স থেকে তার মানসিক চাহিদাও তৈরি হয়ে যায়। সে তার কোটা অনুযায়ী মনোযোগ, আদর ভালোবাসা প্রশংসা এগুলো পেতে চায়। সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসটি না পেলে যে শূন্যতা তৈরি হয় তা শত চেষ্টাতেও পূরণ হয়না। চেতনায় গভীর ক্ষত নিয়ে সারাজীবন নিরানন্দ জীবন যাপন করতে হয় তাদের। সেই সঙ্গে খুব খুব সুখী মানুষের অভিনয় ।
আরো পড়ুন- Stuttering problem : সবাই তোতলা বলে? কথা বলতে গিয়ে যদি তোতলামির সমস্যা হয় তাহলে কি করবেন?
শৈশবের না পাওয়ার কষ্ট থেকে সারাজীবন কেড়ে নেবার লড়াই লড়ে যেতে হয়।তবু আনন্দ শান্তি বা তৃপ্তি অধরাই থেকে যায় তাদের কাছে । তাই শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য সঠিক পরিবেশ এবং শিক্ষা দিন। সঙ্গে সময়, এই তিন গুণের সাহচর্যে সে সত্যিকারের ভালো মানুষ হয়ে উঠবে।