open a blocked nose: ঘনঘন সর্দিতে নাক বন্ধ? এই ‘সর্দির সমস্যা’ মানে প্রাণ ওষ্ঠাগত। কী করবেন? প্রকৃতির পরিবর্তন মেনে কখনো গরম আসবে কখনও ঠান্ডা। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার নাম অভিযোজন। যখন সেটা সম্ভব হয় না তখনই ঘটে অঘটন (How can I unblock my nose naturally?)।
সাধারণত ঠান্ডা লাগার অন্যতম বড় লক্ষণ হলো নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। আর এর থেকে বিচ্ছিন্ন রোগ বোধহয় কিছু হয় না। সারাক্ষণ একটা অস্বস্তি। একে তো ঠান্ডা গরম তার ওপর ঘুমের দফারফা হয় সর্দিতে নাক বন্ধ হলে। আমরা বলব এমন উপায় যাতে ‘বন্ধ নাক চট করে খুলে যাবে’।
সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করনীয়:
ওয়েদার বদলাচ্ছে, একাধিক রোগ শরীরকে আকড়ে ধরে। টাটকা শাক সবজি আর প্রচুর ফল খাবার সিজন শীতকাল হলেও, একগুচ্ছ রোগ এসে ভিড় করে বটে। শীতকাল মানে শুধু যে ঠান্ডা লাগা তা নয় শীত মানেই বাড়ে দূষণের মাত্রা।
আর দূষণ থেকেই ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের সমস্যা বাড়ে। ঠান্ডা লাগা, কাশি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি রোগে মানুষ বেশি করে জর্জরিত হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে নাক বন্ধ হলে অনেকেই ইনহেলার নিয়ে নেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা আসল সমস্যার সমাধানের উপায় নয়।
অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভোঁতা করে দেওয়ার কোন মানেই হয় না। তাই আমরা বলছি কিছু ঘরোয়া উপায় এর কথা। প্রয়োগ করে দেখুন। প্রাচীন কাল থেকে মুনি ঋষিরা কিন্তু আয়ুর্বেদ বা ভেষজ উপায় এর দিকেই নজর রাখতেন।
নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায়:
আপনাকে বলি এমন এক উপায়য়ের কথা। এক কাপ গরম জলে দুই টেবিল চামচ ভিনিগার ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন, অনেকেই বলেন মিউকাস পরিষ্কার হবে। দিনে দুই থেকে তিন বার খেয়ে দেখুন আশা করি ফল নিজেই বুঝতে পারবেন।
গরম জলের মধ্যে হালকা একটু জোয়ান ফেলে স্টিম দিয়ে দেখুন তো উপকার পাচ্ছেন কিনা? নাকের মিউকাস পরিষ্কার করতে অনেকের পছন্দ হার্বাল চা । এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিশ্বাস করেন চা খেলে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে, শরীর থেকে টক্সিনও দূর হবে।
আরো পড়ুন – ঠোঁটে ফুসকুড়ি! ঠোঁটের কোণে গোটা বেরোচ্ছে? জানুন ‘জ্বর ঠোসার’ কারণ ও প্রতিকার
আমরা যদিও কোন বিজ্ঞাপনে মদত দিচ্ছি না। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা গেছে ইউক্যালিপটাস গাছের তেল বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করে। রুমালির মধ্যে সেই তেল একটু ঘষে নিয়ে তারপর সেই রুমালটি বারবার নাকের সামনে ধরলে বন্ধ নাক খুলে যায় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।
আগেকার দিনের ঠাকুরমা জেঠিমারা বলতেন গরম জলের ভাপ নেওয়ার কথা। অল্প একটু মন আর দু চারটে তুলসী পাতা ওর মধ্যে ফেলে দিন। আদা চা, মেন্থল চা অথবা গরম স্যুপ খেতে পারেন। যার ফলে আপনার গলা এবং নাক পরিষ্কার হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন – Aiburobhat: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আইবুড়ো ভাতের’ স্ট্যাটাস! কেন আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো হয়?
আদা দেওয়া চা খাওয়ার ফলে গলা ব্যথা কমে অনেক সময় গলা ধরা ছেড়ে যায়। গরম যে কোন কিছুই ঠান্ডা লাগার সময়ে আপনার শরীরকে আরাম দিতে পারে। তবে মনে রাখবেন শরীরকে বাইরে থেকে গরম প্রভাব দিন কিন্তু শরীরের ভেতর যেন গরম না হয়ে যায়। খুব বেশি ঠান্ডা জলে স্নান করবেন না ।
আর বাইরে যখন বেরোবেন তখন নাক কান চাপা দিয়ে বেরোবেন। এক গ্লাস জলে দু’চামচ মেথি মিশিয়ে সেই জল ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। দিনে অন্তত দুই থেকে তিন বার এই জল গরম গরম খাবার অভ্যেস করুন। আরেকটা বিশেষ উপায়ের কথা আপনাকে বলা যেতে পারে।
আরো পড়ুন – Menstrual cup: ঋতুস্রাবের সময় ‘মেনস্ট্রুয়াল কাপ’ মেয়েদের কেন পছন্দ ?
যদি দেখেন নাক বন্ধ তাহলে একটা বালিশের উপর নয় বরং দুই বা তিনটে বালিশের উপর মাথা রেখে ঘুমোন। এতে দেখবেন ঘুমের সময় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা কিছুটা হলেও কম হচ্ছে।
- বন্ধ নাক চট করে খুলে যাবে
- নাক বন্ধ হলে ড্রপ নাম
- নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায়
- ঠান্ডায় নাক বন্ধ হলে ঔষধ
- সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করনীয়
- নাক বন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
- বাচ্চার নাক বন্ধ হলে করনীয়
- নাক বন্ধ হওয়ার কারণ
- নাক বন্ধ হলে হোমিওপ্যাথি ঔষধ
সবশেষে বলা দরকার কোন কিছু হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয় বিশেষ করে তা যদি হয় শরীরের সমস্যা জনিত কিছু। তাই চট করে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন । লক্ষ্য রাখুন যাতে বাড়াবাড়ি না হয়।