Breaking Bharat: কোথায় কখন কেমন পোশাক পরবেন এই নিয়ে কনফিউজ থাকেন? ঘাবড়াবেন না চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনে
জামা কাপড় পরাটা যেটা নিজস্ব ব্যাপার। মানে আমরা বলতে চাইছি কে কী রকম ধরনের পোশাকে স্বচ্ছন্দ সেটা বাইরে থেকে বলা মুশকিল। তবে এটা ঠিক যে সমাজের সামাজিকতার কারণে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন ধরুন আপনি চাইলেই ‘শ্রাদ্ধ বাড়িতে লাল বেনারসি‘ পরে যেতে পারবেন না। আবার বিয়ে বাড়িতে সাদা বা কালো রঙের পোশাক পরলে কী রকম যেন বাঁকা চোখে দেখা হয়। ঠিক কোন যুক্তি কাজ করে বলুন তো সবাই পেছনে?
মানুষের লজ্জা নিবারনের জন্য পোশাকের বিকল্প কিছু নেই। আদিম যুগের মানুষের গাছের ছাল আঁকড়ে বেঁচে থাকা থেকে আজকের ট্রেন্ডি হ্যাপেনিং পোশাক – পরিবর্তনটা অনেকটাই হয়েছে। নারী এবং পুরুষের মধ্যে একটা সময় পোশাকের বিভেদ করা শুরু হয়েছিল (How to Choose the Right Dress)।
তারপর যত সময় এগিয়েছে, মানুষ শিক্ষিত হয়েছে, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হয়েছে, ফলে তখন স্বাভাবিকভাবেই চিন্তাভাবনা বদলেছে। তবুও কিছু জিনিস সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে রয়ে গেছে। যেমন ধরুন বাঙালির কাছে সরস্বতী পূজার সকাল বা অষ্টমীর অঞ্জলি, পুরুষ মানেই ধুতি-পাঞ্জাবি। আবার বিজয় দশমীর মানেই লাল পাড় সাদা শাড়ি বা বসন্ত পঞ্চমীতে হলুদ পোশাক।
আরো পড়ুন – আপনি কি ফর্সা হতে চান? রাসায়নিক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে আগ্রহী?
এইসব সমাজ নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়েছে যাকে সমর্থন জানিয়েছে মানুষ। ঠিক সেভাবেই কোন ড্রেস কোড তৈরি না হলেও বিভিন্ন জায়গার জন্য বিভিন্ন রকমের পোশাকের একটা অদৃশ্য ফতোয়া রয়েছে। যেমন কোন বিরহ বা শোকের অনুষ্ঠানে আপনি চকচকে ঝলমলে পোশাক পরে যেতে পারেন না। ধরুন কোন ধর্মীয় স্থানে যাচ্ছেন, কোনও মন্দির বা মঠে ,সেখানেও কি আর গ্লামার্স হয়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে?
আরো পড়ুন – বাবা মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে কেন মেনে নিতে পারেন না বেশিরভাগ সন্তান?
ঈশ্বরের কাছে আর সেজেগুজে গিয়ে কী করবেন। ঈশ্বর তো আপনাকে সব অবস্থাতেই চেনেন। আবার ধরুন হাসপাতালে যাচ্ছেন কোনো রোগীকে দেখতে কিংবা শবযাত্রী হিসেবে যাচ্ছেন, তখন স্নিগ্ধ হালকা বা সাদা পোশাক পরাটাই বাঞ্ছনীয়। কারণ এগুলো আপনার সাজ পোশাক দেখাবার উপযুক্ত স্থান নয়।
উৎসবের আবহে বা ধরুন কোনও বিবাহ অনুষ্ঠানে আপনি নিজের মতো করে ঝলমলে পোশাকে সেজে উঠতেই পারেন । তখন দেখবেন দশটা লোক আপনার দিকেই তাকিয়ে দেখছেন। সেটা হবে তাদের চোখে প্রশংসা, কিন্তু এই একই ব্যাপারটা যদি শ্রাদ্ধ বাড়িতে ঘটে? তাহলে সমালোচনার বিদ্ধ হবেন আপনি।
আরো পড়ুন – আপনি কি মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পান? বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে আলাপ জমাতে লজ্জা লাগে?
আর দেখবেন নিজেরও খারাপ লাগবে। আসলে আমরা কোন ধরনের পোশাক পরে আছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা কোন পরিবেশে আছি, সেটার সঙ্গে আমাদের অ্যাপিয়ারেন্স মানানসই হচ্ছে কিনা সেটাই আসল কথা। কেউ যদি খারাপ থাকে তার সামনে আপনি ঝলমলে পোশাক পরে গিয়ে নিজের উজ্জ্বল্যকে তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু তাতে তার অন্ধকার দূর হবে কি?
আরো পড়ুন – আপনার বাড়ির গাছের ফুল চুরি হয়ে যাচ্ছে? কোনও ভাবেই চোর ধরতে পারছেন না?
আমরা মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে এসেছি একে অন্যের সমব্যথী হওয়ার জন্য। তাই প্রতিটা পরিবেশ অনুযায়ী সেটার গুরুত্ব বুঝে পোশাক নির্বাচন করাটাই সঠিক কাজ। যারা বাইরে ঘুরতে বেরোতে পছন্দ করেন তারা সেখানে গিয়ে নিজেদের মতো করে পোশাক পরতেই পারেন। কিন্তু সেখানেও মাথায় রাখবেন অশ্লীল পোশাক জনসমক্ষে পরিধান করা অজান্তেই বড় বিপদের হাতছানি হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন!