Breaking Bharat: রিলায়েন্স থেকে এক টাকাও স্যালারি নেন না মুকেশ আম্বানি? কিন্তু কেন জানেন? বিশ্ব জুড়ে যাদের নিয়ে এত চর্চা সেই আম্বানি গোষ্ঠীর অন্যতম মালিক মুকেশ আম্বানির ব্যবসার নীতি আপনাদের অবাক করে দেবে।
রিলায়েন্স সংস্থার নাম শোনা মাত্রই আম্বানিদের প্রচুর সম্পত্তির কথা সবার আগে দেশ বাসীর মাথায় আসে। আর সেটাই স্বাভাবিক তার কারণ ধনকুবের বলতে যা বোঝায় সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে আম্বানি গোষ্ঠী।
রিলায়েন্স থেকে এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি মুকেশ?
আপনি জানেন গত ৩ বছর ধরে কোম্পানি থেকে একটা টাকাও না কি নেন না মুকেশ? আসলে এতা কোন গল্প কথা নয়। সম্প্রতি রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর তরফে তাদের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে আর সেখানে রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে সংস্থা থেকে এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি মুকেশ। কেন? খুব স্বাভাবিক এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল, তিনি একটি বিশেষ পলিসি মেনে কাজ করেন। আজ সেই সম্পরকে জানাবো আপনাদের।
আম্বানি গোষ্ঠী কোনভাবেই লসে কোম্পানি রান করান না। তবে এটাও সত্যি যে তাঁরা সবার আগে কর্মচারীদের কথা চিন্তা ভাবনা করেন। আর ঠিক এই ভাবনা থেকেই লাভের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্বয়ং রিলায়েন্স কর্তা। আমরা এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাতে চাই যে আগস্ট মাসের হিসেব বলছে বর্তমানে রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর মূলধনের পরিমাণ প্রায় ১৬ লক্ষ ৯৮ হাজার কোটি টাকা।
মুকেশ আম্বানি নিজে কত টাকা স্যালারি পান?
এখানে যারা কাজ করেন তাঁরা নানা স্কেলে মাইনে পান। এই যেমন ধরুন উঁচুতলার কর্মীরা মোটা টাকা বেতন পান আবার এদের জীবনবিমা-সহ অন্য বহু সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়ে থাকে বটে। কিন্তু আপনি জানেন কি, রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান নিজে কত টাকা স্যালারি পান?
আরো পড়ুন – চাঁদে পা দেওয়া কনিষ্ঠতম মহাকাশচারী কে চেনেন? তিনি নাকি এক মারাত্মক ভুল করেছিলেন চাঁদে গিয়ে?
২০২২-২৩ অর্থবর্ষেই বা মোট কত টাকা পেয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি? রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সংস্থা থেকে এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি মুকেশ আম্বানি। এবং এই নিয়ে টানা তিন বছর স্যালারি বাবদ কোম্পানির থেকে এক টাকাও নেননি ৬৬ বছর বয়সী মুকেশ। আসলে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে সকলের কথা ভেবে।
আরো পড়ুন – চাঁদে সত্যিই মানুষ গেলে সেখানে টয়লেট মানে বাথরুম থাকবে কি?
আম্বানির ঘনিষ্ঠরা বলছেন কোভিড অতিমারি কালে চাকরি- জীবন- জীবিকা – এই সবকিছু নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তার আঁচ যেন সংস্থার কর্মীদের উপর না পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যা এখনও চলছে। তাই এই তিন বছরে, রিলায়্যান্সের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর থেকে কোনও ভাতা, কমিশন বা অন্য কোনও সুবিধা তিনি নিতে চান নি।
আরো পড়ুন – কী ভাবে কাজ করছে ইসরোর পাঠানো রোভার প্রজ্ঞান? রোভার প্রজ্ঞান এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে?
মুকেশ বলছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত সব স্বাভাবিক হচ্ছে তিনি বেতন নেবেন না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ পর্যন্ত বার্ষিক বেতন হিসাবে কোম্পানির কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা করে স্যালারি নিতেন মুকেশ। এখন সেসব বন্ধ।
কোম্পানির সঙ্গে ১৯৭৭ সাল থেকে এই গোষ্ঠীরে বোর্ড অফ ডিরেক্টরসে রয়েছেন মুকেশ। ২০০২ সালে ধীরুভাই অম্বানীর মৃত্যুর পর তিনিই চেয়ারম্যান পদে আসীন হন। এবমগ আগামী ২০২৯ পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে