Breaking Bharat: চোখে চোখে যায় চেনা! কিন্তু এক সেকেন্ডে কতজনকে চিনতে পারে আপনার চোখ সেটা জানেন কি? কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই যে প্রতি মুহূর্তে চোখের জল পলক ফেলতে না ফেলতেই আমরা এতো কিছু দেখছি তার পরিমাণ বা সংখ্যা কত? (How many people can the eye recognize in one second?)
মানুষের মুখের সব থেকে আকর্ষণীয় অঙ্গ হলো চোখ। এই চোখের এতই জাদু যে বন্ধ থাকলে একজন মানুষকে একরকম দেখা যায়। পরক্ষণে চোখ খুললেই সেই মানুষটাকে অন্যরূপে দেখতে পায় অন্য আরেকটা চোখ। প্রতি মুহূর্তে আমরা একগুচ্ছ ছবিতে চোখের সামনে অনেক কিছুই দেখতে পাই।
আপনার চোখ এক সেকেন্ডে কতজনকে চিনতে পারে?
কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই যে প্রতি মুহূর্তে চোখের জল পলক ফেলতে না ফেলতেই আমরা এতো কিছু দেখছি তার পরিমাণ বা সংখ্যা কত? মানে মস্তিষ্ক প্রতি মাইক্রো সেকেন্ডে কত ডাটা সেভ করছে। ভাগ্যিস আমাদের ব্রেইন কোনও মোবাইল নয়। তাহলে যেভাবে হ্যাং করত তাতে আপনার মস্তিষ্ক ডেড হয়ে যেত। ওরে বাবারে কি ভয়ংকর তাই না?
আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গের বিশেষ বিশেষ গুরুত্ব আছে। তার মধ্যে কোনো একটি যদি বিগড়ে যায় তাহলে শরীরের হাল বেহাল হয়ে যায় বটে। তাই প্রতিটি অঙ্গকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আজকে আমরা কথা বলছি মানুষের চোখ নিয়ে (human eyes)।
দৃষ্টিশক্তির স্থায়ীত্বকাল কাকে বলে?
আপনি প্রত্যেক দিন এত কিছু দেখেন, আপনাকে এত মানুষ দেখেন, কিন্তু এই দেখাদেখির পরিমাণ বা সংখ্যা সম্পর্কে কারোর কোনও আইডিয়া আছে কি? আজকে আপনাকে যে পরিসংখ্যান দেব তাতে অবাক হবেন আপনি। আমাদের চোখে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে যা যা সামনে আসে সঠিক আলো থাকলে তাই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
তাহলে ভাবুন ঘন্টা খানেকের মধ্যে আমরা কতকিছু দেখে ফেলি। কিছু বস্তু বা ঘটনা বা মানুষ, চোখের সামনে থেকে সরে গেলেও তা মস্তিষ্ক নিজের কাছে বেশ কিছু সময় পর্যন্ত সেভ করে রেখে দেয়। আর আপনি যদি কিছু সময়ের ব্যবধানে সেই ছবি মনে করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা কিছুটা সহজে ডিলিট করতে পারে না আপনার ব্রেইন।
তাই অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় বহু পুরনো বহু কথা বা স্মৃতি গড়গড় করে বলে যেতে পারেন অনেকেই। তবে কোনো কিছু দেখার পর মানুষের তা কিছু সময়ের জন্য মনে থেকে যাওয়া অর্থাৎ বোঝাই যায় না যে দৃশ্য আর নেই – এই সময়কালকে একটা বিশেষ নাম দেন চিকিৎসকেরা।
আরো পড়ুন – আপনার জীবনে কি অভাব আছে? অভাব কি শুধু টাকার হয়? তাহলে?
এই ঘটনাটিকে ‘দৃষ্টিশক্তির স্থায়ীত্বকাল‘ বলা হয়৷ এটা উদাহরণ দিলে বোঝা সহজ হবে।ধরুনএকটি লাঠির দুই প্রান্তে আগুন জ্বালিয়ে তা দ্রুত ঘোরালে একটা আগুনের বৃত্ত আমাদের প্রদক্ষিণ করল বলে মনে হবে।আসলে এই দৃষ্টিশক্তির স্থায়ীত্বকাল আছে বলেই এটা সম্ভব।
চোখের ফ্রেমের ফ্রিকোয়েন্সি কি?
বিজ্ঞানের হিসেব বলছে মানুষের দৃষ্টিশক্তির স্থায়ীত্বকালের সময়সীমা মাত্র ০.১ সেকেন্ড৷ অর্থাৎ, কোনো দৃশ্য যদি মানুষের চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে আবার দ্রুত ওই ০.১ সেকেন্ডের মধ্যেই চোখের সামনে আনা যায়, তাহলে মাঝের মিসিং টাইম মানুষ বুঝতে পারে না। কারণ, মস্তিষ্কে তখন ঐ দৃশ্যকে সেভ করে রেখেছে। কিন্তু সময়সীমা বেশি হলে তখন বোঝা যায়।
আরো পড়ুন – বিয়ে করার সঠিক কোনও বয়স হয় কি? বেশি বয়সে পুরুষদের বিবাহে সমস্যা?
এটাকে দৃশ্য বা ধরুন চোখের ফ্রেমের ফ্রিকোয়েন্সি বলতে পারেন৷ এই একই ব্যাপার হয় ফ্যানের ক্ষেত্রেও। তিনটে ব্লেড ঘুরলে মনে হয় পুরোটাই ঘুরছে। এবার যদি বিভিন্ন দৃশ্য বা ফ্রেমে ফ্রিকোয়েন্সি ১০ Hz এর থেকে বেশি হয় তাহলে আপনি আলাদাভাবে বুঝতে পারবেন না ৷
আরো পড়ুন – বিয়ের আগে টেনশন! বিয়ে করার সময় ভেবে করছেন তো? বিয়ে করার সুবিধা ও অসুবিধা কি?
ধরুন, এক সেকেন্ডের ভিতর আপনাকে এগারোটি ছবি বা ফ্রেম দেখানো হল এবং সেটা নির্দিষ্ট বিরতি মেনে তাহলে কী দাঁড়াল হিসেব? ১÷ ১১=০.০৯৯ সেকেন্ড। তাহলে এই সময়ে আপনি আলাদা আলাদা ছবি বুঝবেন না। কানে শোনার ক্ষেত্রেও ঠিক এইভাবেই স্থায়িত্বকাল গণনা করা হয়ে থাকে।