Breaking Bharat: Bridge Facts: উপার্জনের পাশাপাশি সঞ্চয় গুরুত্বপূর্ন, কিন্তু অপচয় যখন বিপর্যয় তখন কী করা যায়? মানুষ জীবনে উপার্জন করে কিছুটা খরচ কিছুটা সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে। তবে খরচ এক জিনিস আর অকারণ খরচ আরেক জিনিস। একেই বোধহয় বলা হয় অপচয়। যে জিনিসটার পিছনে খরচ করার ফল নেট রেজাল্ট শূন্য, সেটা তো অপচয় বটে। সারা বিশ্বের বুকে প্রতিদিন অপচয় হচ্ছে তা আপনার ধারণার বাইরে। কিন্তু সবেরই সেরা বলে কিছু না কিছু হয়। মানে ভালো যেমন সেরা হয়, তেমন সেরা খারাপও হয় । আজ সেরা অপচয় নিয়ে কথা।
আচ্ছা আপনি কি জানেন মানব ইতিহাসের অর্থের সবচেয়ে বড় অপচয় কী ছিল? তাহলে এই প্রতিবেদনে আপনাকে উত্তর দেব আমরা। সভ্য সমাজ নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে একের পর এক সৃষ্টি করে গেছে। কখনো তা কাজে লেগেছে কখনো বা নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় হয়ে রয়ে গেছে। মনে হয়েছে এত শ্রম আর অধ্যাবসায় সাথে অর্থ দিয়ে এটা না করলেও হত।
হংকং-চুহাই-ম্যাকাও ব্রিজ মানব নির্মাণ ইতিহাসের একটি বড় ঘটনা (hong kong-zhuhai-macau bridge facts)। পৃথিবীর দীর্ঘতম এই সেতুটির নির্মাণ করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১২৭ বিলিয়ন ইউয়ান । মানে ভারতীয় টাকার মূল্যে হিসেব করলে প্রায় ১ লক্ষ ৭১হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। সংখ্যাটা সাধারণ ক্যালকুলেটরে ধরতেও পারা যাবে না। দক্ষিণ চীন সাগরের উপর এই সেতু তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে হংকং ও ম্যাকাও কে যুক্ত করা (hong kong-zhuhai-macau bridge cost)।
কিন্তু আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন যে ব্রিজ চালু হওয়ার তিন বছর পরেও সেতুটিতে গাড়ি প্রায় নেই বললেই চলে। সভাপতি প্রশ্ন উঠবে কেন? কিন্তু ভেজ চালু হওয়ার পর যে প্রশ্ন উঠেছিল তা হল “কে?” অর্থাৎ ব্রিজে কে উঠবে? কারণ, চীন, হংকং বা ম্যাকাও এর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ভিন্ন। তাই চীনের গাড়ি এই সেতুতে উঠতে পারবে না, কারণ চীনের লাইসেন্স প্লেট নিয়ে হংকং বা ম্যাকাও তে ঢোকা যাবে না (the longest sea bridge in the world)।
আরো পড়ুন- Nightfall Problem : আপনি কি পুরুষ? বয়স কি ১৩ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে? স্বপ্নদোষ হচ্ছে? জানেন কেন?
আরো পড়ুন- Regret in life : জীবনে অন্তত আফসোস করে বাঁচবেন না! আপনার প্রাপ্য থেকে কেউ আপনাকে বঞ্চিত করবে না
একইভাবে হংকং এর লাইসেন্স প্লেট নিয়ে চীনে বা ম্যাকাও তে, ম্যাকাও এর লাইসেন্স নিয়ে হংকংয়ে বা চীনে ঢোকা যাবে না। অতএব এই ব্রিজ ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে কসরৎ করতে হবে। আপনার গাড়ির জন্য দু জায়গায় আলাদাভাবে দুটি লাইসেন্সের আবেদন করতে হবে। তবে কি এখানেই শেষ নয়। আবার হংকং আর চীনের মধ্যে যাতায়াতের জন্য আপনাকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। এমন অনুমতি আছে মাত্র ১০,০০০ প্রাইভেট কারের। এছাড়াও আরো নানা আবেদন করতে হয়। (hong kong-zhuhai-macau bridge tunnel)
আরো পড়ুন- Reading books : আপনি কি বই পড়তে ভালোবাসেন? আসলে বই পড়ার মতো ভালো কাজ পৃথিবীতে আর দুটো নেই
তাহলে বুঝতেই পারছেন ব্যক্তিগত ভাবে এই ব্রিজে ওঠা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ। এজন্য সেতুটি সারা বছর প্রায় ফাঁকাই থাকে। অথচ বিশ্ববাজারে যেখানে মন্দা , অর্থাভাব সেখানে এতগুলো টাকা দিয়ে তৈরি করা ব্রিজটির বাস্তবে কোনো কার্যকারিতা নেই। বিশ্বের বড় অপচয় এই সেতু নির্মাণ।