Breaking Bharat: ঠিক এভাবেই ‘ড্রোন প্রযুক্তির উৎপত্তি’! ড্রোন চেনেন নিশ্চয়ই? কিন্তু প্রথম যে ড্রোন ব্যবহার কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা আছে কি?
ড্রোন আজকের দিনে খুব চেনা একটা নাম। নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু আমরা এর কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে খুব একটা জানি না। যদি ইতিহাস জানতে চান তাহলে একটু মজা লাগবে আপনার, আবার কিছুটা অদ্ভুতও বলতে পারেন।
আজকে এত ব্যভার হলেও ইতিহাস বলছে অস্ট্রিয়া থেকে যখন ভেনিস স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছিল, সেই সময় অর্থাৎ ১৮৪৯ সালে ইতালির কাছে ড্রোনের ইতিহাস খুঁজে পেয়েছিলেন অনেকে । ইন্টারনেট তথ্য সূত্র ঘেঁটে দেখা যায় প্রথম যে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা ছিল ‘ডি হ্যাভিন্ড DH82B‘, কুইন মৌ বাইপ্লেনের একটি পূর্ণ আকারের পুনঃব্যবহার হিসেবে ১৯৩৫ সালে দেখা যায় (History of drones timeline)!
তবে এবার পেছনের সিটে রেডিও ও সার্ভার-চালিত নিয়ন্ত্রণসহ লাগানো ছিল বলেই মনে করা হয় । এই বিমানটির সামনের সিট থেকে একটি বিমান ওড়াতে অড়াত। এটি চালকবিহীন ভাবে উড়ে যায় মানে বলতে পারেন যে ঠিক এভাবেই ‘ড্রোন প্রযুক্তির উৎপত্তি‘। চালকবিহীন বিমান মানেই যে ড্রোন এমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষ।
এবার আপনাকে বলি ড্রোন কীভাবে কাজ করে?
এর কাজ করার পদ্ধতিকে বলা হয় ইউএভি (UAV), অর্থ হচ্ছে Unmanned aerial vehicle। নাম দেখে নিশ্চয়ই খানিকটা আন্দাজ করতে পারছেন! একটি সাধারণ আর অন্যটি সামরিক অর্থাৎ দুভাবে মেলে এটি। তবে সাধারণ ইউএভি হোক আর সামরিক ইউএভি, রিমোট দ্বারা দিয়েই সবটা কন্ট্রোল করতে হয়।
আবার সামরিক ইউএভি গুলোতে অত্যাধুনিক এবং যুদ্ধকালীন প্রয়োজনীয় অনেক ফিচার থাকে। তাই এতে থাকে ককপিট, স্পাই ক্যামেরা, লেজার, জিপিএস, সেন্সর, লাইটিং সেন্সর ইত্যাদি। আর এইগুলোর জন্য অবশ্যই একটা রানওয়ে দরকার। রাডার পাইলট স্বয়ংক্রিয় ভাবে নিজের অবস্থান নির্ণয় করে। এবার কন্ট্রোলারকে নিজের পজিসন সম্পর্কে জানায় রাডার পাইলট।
আরো পড়ুন – Positive Pregnancy Test: প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ মানেই কি আপনি অন্তঃসত্ত্বা?
ফ্লাই জোন প্রযুক্তি থাকার জন্য বিমান আর ড্রোনের কখনও দুর্ঘটনা হয় না। এটি মুলত কাজ করে দুই ভাবে, এর ভিতরে চারপাশের বিমানবন্দর গুলোর সময় সূচি দেওয়া থাকে। যার কারণে সেটি সেই সময়টাই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা যায়।
আরো পড়ুন – বাজাজ চেতক ই-স্কুটার কিনতে চাইছেন বুঝি? 20 হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে ভাবা যায়!
DJI Phantom 4 এর মাধ্যমে যেকোনো ধরণের সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। অধিকাংশ ড্রোনে যে ক্যামেরা ব্যবহার হয়ে থাকে তাতে ফ্রেম স্কেল হয় ১০৮০/৩০ ও ৭২০/৬০। ড্রোনের মাঝে ৩ গিগাবাইট মাইক্রো এইচডি মেমোরি দেওয়া থাকে।
আরো পড়ুন – Project December AI: মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ! ‘প্রজেক্ট ডিসেম্বরের’ কথা জানলে চমকে উঠবেন
আজকাল ড্রোন কেও স্মার্টফোনের আওতাধীন করা হয়েছে । Phantom 2 Vision+ quadcopter ড্রোন গুলোতে এটি কার্যকরী হবে। সহজেই গুগল প্লেস্টোর থেকে এটি ডাউনলোড করে ড্রোনকে চালনা করা যাবে। এমনকি এতে ফ্লাইট মিশনের সমস্ত ডাটা পরির্বতন করাও সম্ভব। তাই আধুনিক যুগে নিউজ থেকে সিনেমা শুধুই ড্রোন ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে ছোট থেকে বড় সবার।