Breaking Bharat: চকলেট খেলে রোগ সেরে যায়? কিন্তু এই চকলেটের আবিস্কার কি ভাবে হল? চকলেট (Chocolate) সকলের বড় প্রিয়। বয়স যাই হোক না কেন চকলেট দিয়ে মন ভালো করা যায় সকলের সকলেরই। যে কোন অনুষ্ঠানে এই চকলেট আপনি সহজেই নিয়ে যেতে পারবেন।
যেন আলাদা করে ভাবতে হয় না কাকে দিচ্ছেন বা কখন দিচ্ছেন। এক কথায় মন ভালো করার দারুন মন্ত্র হিসেবে কাজ করে চকলেট। ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে চকলেট দিন পালন করা শুরু হয়। অবশ্য ভ্যালেন্টাইন্স উইকের একটা বিশেষ দিন চকলেট খাওয়ার জন্য নির্ধারিত। ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে চকলেটের জন্ম নিয়ে একটুখানি গবেষণা করা যাক।
চকলেট আবিষ্কার এর মজার কাহিনী (Chocolate) :
আপনার ভাবতে অবাক লাগলেও যীশু খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ২০০০ বছর আগে মানে এখন থেকে যীশু খ্রীষ্টের জন্মের হিসেব করে সেখান থেকে ২০০০ বছর পিছিয়ে যেতে হবে আপনাকে। প্রায় পঞ্চদশ শতকে কোকো বিনসের পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপরে আরও তিন শতক পরে ১৮৪৭ সাল নাগাদ জোসেফ ব্রাইকে চকলেট বার আবিষ্কার করেন (Joseph Brycke invented the chocolate bar)।
আপনাকে একটু জানাই ক্যানসার রোধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে চকলেট। ব্রিটিশরা এই দেশের রাজত্ব করেছে প্রায় ২০০ বছর। তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠলেও এই দেশের কিছু কিছু উন্নতির কাজে ব্রিটিশ সরকারের অবদান ভোলার নয়। তার মধ্যে একটা অবশ্যই চকলেট। সম্রাটদের উপহার হিসেবে কোকো বিনস এর আমদানি শুরু হয় প্রথম ইউরোপের স্পেনে।
প্রথম দিকে কোকো বিনস এর মধ্যে তেতো ভাব বেশি ছিল। এরপর তাতে দুধ মিশিয়ে তৈরি হয় নতুন ধরনের চকলেট যা নাম পায় ডাচ চকলেট হিসেবে। মায়া সভ্যতায় কোকো বিনস এর ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে এমনটাই ইতিহাসবিদরা বলছেন।
চকলেটের উপকারিতা কী? (Benefits of chocolate):
অনেক ক্ষেত্রে চকলেট রোগ প্রতিরোধ করতে বা ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ দারুণ ভূমিকা নেয়। অনেক সময় যদি কোন পেশেন্টের সুগার ফল করে যায় চট করে এক টুকরো চকলেট দেওয়ার কথা ডাক্তাররাই বলে থাকেন। বাচ্চাদের ভালো রাখতে অনেকে চকলেট দিয়ে থাকেন কিন্তু মনে রাখতে হবে বাচ্চাদের জন্য চকলেট একেবারেই ভালো খাবার নয়।
আরো পড়ুন- Sneeze and Cough : যখন তখন হাঁচি কাশি? মুখে মাস্ক পরতে হচ্ছে? ডাস্ট এলার্জির সমস্যা না তো?
বিশেষ করে যাদের দুধের দাঁত রয়েছে তাদের একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত চকলেট খেলে দাঁতের মধ্যে থাকা এনামেল ক্ষয়ে যেতে থাকে। প্রতিবার চকলেট খাওয়ার পর ব্রাশ করে নেওয়া দরকার। তা না হলে কিন্তু দাঁতের ক্ষয় আটকানো যাবে না।
আরো পড়ুন- Quit smoking : ধূমপান ছাড়া জীবন ব্যর্থ মনে হয়? কোনও ফাঁদে পা নয় ! অনায়াসেই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন
চকলেটের জনপ্রিয়তা যেভাবে বেড়ে চলেছে (Chocolate is growing in popularity) তাকে বলতেই হয় অদূর ভবিষ্যতে চকলেট খাবারের উপাদানে প্রত্যেক দিন বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন- Mughlai Paratha : সন্ধ্যেবেলা মুচমুচে মোগলাই পরোটা হলে ব্যাপারটা জমে ক্ষীর! তাই না?
মানে শিশুদের যেমন প্রতিদিন অন্তত একটা করে চকলেট না হলে চলে না এবার সেটা সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। তাই নিয়মিত অভ্যাস না করে মাঝেমধ্যে চলতেই পারে। চকলেট খান আর হ্যাপি হয়ে যান।