Breaking Bharat: আগে বাঙালিদের কাছে সম্বোধন মানেই শুরুতেই ছিল “নমস্কার”। এখন সবটাই পুরোপুরি পাশ্চাত্যের অনুকরণে বদলে গেছে। আরো বেশি করে আধুনিক হয়েছি আমরা (hello first in telephone)। পুরোনো সংস্কৃতি প্রায় ভুলতে বসেছেন সবাই। অনেকে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে গর্ব বোধ করেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তাগিদে বিদেশী সংস্কৃতির মুখাপেক্ষী হতে হয়। এত কথা বলা একটা মাত্র শব্দ নিয়ে প্রতিবেদন লেখার জন্য। আর তা হল “হ্যালো”। ইংরেজি বানান “Hello”, আর আজ এই “হ্যালো”র হেলদোল নিয়ে আমাদের কিছু কথা।
Hello শব্দটি আসছে কোথা থেকে?
বয়স চার হোক কিংবা চল্লিশ, আট হোক বা আশি, ফোন তুলেই প্রত্যেকেই সবার আগে বলেন হ্যালো। কিন্তু এর ইতিহাস জানেন কজন? শব্দটি আসছে কোথা থেকে? আজকালকার দিনে কাউকে ডাকতে হলেও আমরা এক্সকিউজ মি বা হ্যালো শব্দ দুটো ব্যবহার করে থাকি। তবে হ্যালো শব্দ থেকে মূলত টেলিফোনিক কথা থেকেই এসেছে। এখন গ্রাহাম বেল-যে সর্বপ্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন এ কথা আমরা সকলেই জানি।
তবে এই হ্যালো শব্দটি আবিষ্কার (Inventing the word hello) নিয়ে রয়েছে অনেক ভ্রান্ত এবং মজার ধারণা। যা জানলে হেসে উঠবেন আপনিও। অনেকেই মনে করেন যে গ্রাহাম বেল-এর প্রেমিকার নাম নাকি ছিল হ্যালো। প্রেমিকার প্রতি নিজের ভালবাসা কতটা তা বোঝাতে নাকি বেল হ্যালো শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন প্রথম। তবে প্রচলিত এই ধারণাগুলো পুরোপুরিই ভ্রান্ত।
তাহলে কীভাবে শুরু হল এই হ্যালো-র যাত্রা?
এ ব্যাপারে আপনাদের জানাতে চাই যে টেলিফোনে ব্যবহার করা (Telephone usage) প্রথম শব্দ “হ্যালো” ছিল না। টেলিফোন আবিষ্কার হয়েছিল ১৮৭৬ সালে। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল সর্বপ্রথম তার সহকারীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু সেই কথায় তিনি হ্যালো বলেন নি। সেই সময় তিনি সম্ভাষণের জন্য ‘আহয়ই’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই শব্দটি বেশকিছু দিন ব্যবহার হয়েছিল টেলিফোনে সম্ভাষণের জন্য। কহলি হ্যালো শব্দটা এল কোথা থেকে? চলুন তাহলে এবার বৈদ্যুতিক আলোর আবিষ্কারক থমাস আলভা এডিসন এর সঙ্গে পরিচয় সেরে নেওয়া যাক।
আপনি কি জানেন টেলিফোন আবিষ্কার (invention of the telephone) হওয়ার শুরুর দিকে কোনও রিং-এর ব্যবস্থাই ছিল না। একপাশের টেলিফোন লাইনের সঙ্গে অপর পাশের লাইন প্রায় সব সময়েই যুক্ত থাকতো। অর্থাৎ কল ডিসকানেক্টেড হওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সব সময়ই একটি লাইন কানেক্ট করা থাকতো, প্রয়োজনের সময় কথা বলা হত দুই পাশ থেকেই। সেই সময় একপাশের ব্যক্তির সঙ্গে অন্য প্রান্তের ব্যক্তির কথা বলার সময় কথোপকথন শুরু করার জন্য সম্ভাষণের প্রয়োজন পড়ল বৈকি।
আরো পড়ুন- Itching is fun: চুলকানিতে সমস্যা, অথচ চুলকাতে বেশ মজা লাগে তাই না? কেন জানেন ?
আরো পড়ুন- Lie Detector Test : আর মিথ্যা কথা বলবেন? লাই ডিটেক্টর যন্ত্র-আপনার মিথ্যা ধরে ফেলবে!
এরপর ১৮৭৭ সালের ১৮ জুলাই থমাস আলভা এডিসন ‘প্রিন্সিপাল অব রেকর্ডেড সাউন্ড’ আবিষ্কারের পরীক্ষানিরীক্ষার কাজে তিনি যে শব্দটি বারবার উচ্চস্বরে ব্যবহার করেছিলেন তা এই হ্যালো। আর এই শব্দটিই তিনি প্রথম তার উদ্ভাবিত ‘পেপার সিলিন্ডার ফনোগ্রাফ’ যন্ত্রে রেকর্ড করেছিলেন। অক্সফোর্ড এর ডিকশনারি অনুযায়ী, সর্বপ্রথম হ্যালো শব্দটির ব্যবহার লিপিবদ্ধ হয় ১৮২৭ সালে মানে প্রায় ধরুন ১৯৫ বছর আগে।
আরো পড়ুন- মেয়েদের মন বোঝা, নয় রে নয় সোজা – একথা কেন বলেন পুরুষেরা?
আরো পড়ুন- স্মার্ট ফোন ছাড়া ঘুমাতে পারেন? বিছানাতে ফোন রেখে ঘুমিয়ে পড়া কি আদৌ নিরাপদ?
ভাবতে অবাক লাগে এত বছরে কত কিছু বদলে গেছে, আধুনিক হয়েছে। কিন্তু সম্ভাষণ আজও সেই অতীতের সৃষ্টিতেই আটকে আছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিউটেশন ঘটেছে ফোনের, কিন্তু স্মার্ট না আনস্মার্ট, আপনি বা আমি যেই হোন না কেন, ফোন তুলেই .. Hello!