Breaking Bharat: চিন দেশটা ঠিক কতটা বিস্ময়কর বলুন তো? খাদের ধারে ঝুলন্ত দোকান দেখে চমকে গেলেন? সমতল থেকে প্রায় ৩৯৩ ফুট উপরে দোকানটির অবস্থান
খাদের ধারের রেলিং দেখে দার্জিলিং শহরের কথা অনেকেরই মনে পড়ে যায়। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার তার কারণ এই কথাগুলোর সঙ্গে কম বেশি প্রত্যেকেই রিলেট করতে পারেন। আর তাছাড়া বিখ্যাত গায়ক অঞ্জন দত্তের একটি গানের কয়েকটা লাইনের মধ্য এটা পড়ে।
সব মিলিয়ে দৃশ্যটা মনে করলেই একটা আলাদা রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। এবার ভেবে দেখুন যদি খাদে ঝুলন্ত দোকান দেখেন তাহলে আপনার কেমন অবস্থা হবে! এই ঘটনাটাই বাস্তবে যে করিয়ে রেখেছে সেটা হল চিন দেশ।
সমতল থেকে প্রায় ৩৯৩ ফুট উপরে দোকানটির অবস্থান:
অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত কাজকর্মের মাঝে তাদের দেশের বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন দেখে চমকে যেতে হয়। আর আজকে যে দৃশ্যের কথা বলছি মানে যে দোকানের কথা বলছি, তার অবস্থান দেখেই গায়ে শিহরণ জাগে। ভাবতে অবাক লাগে যে সমতল থেকে প্রায় ৩৯৩ ফুট উপরে দোকানটির অবস্থান। মানে একদম দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন পাহাড় আঁকড়ে কোনও মতে টিকে রয়েছে সেটি।
একটু এদিক থেকে ওদিক যদি হয় তাহলেই ঘটে যেতে পারে মারাত্মক বিপদ। অনেকটা দেশলাই বাক্সের মতো দেখতে এই দোকান কিন্তু সিমেন্ট বা ইঁট দিয়ে নয় বরং কাঠের তৈরি এই দোকানটি।
এই প্রতিবেদনে আমরা পাহাড়ের খাদে থাকা এক দোকানের কথা বলছি, যেটা রীতিমতো চালু দোকান।
মানে ভেবে দেখুন প্রায় ৩৯৩ ফুট উঁচুতে একটা দোকান আর সেখানে নিয়মিত আসেন খদ্দের, চলে কেনাকাটাও। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরটা সাধারণ মানুষের কাছে অজানা বা বলতে পারি আম-আদমিদের কাছে বিস্ময়। কারও কারও কাছে আবার আদতে দুর্দান্ত এক অ্যাডভেঞ্চার।
মানে যাকে বলে রোজকার ছকবাঁধা জীবনের ফাঁকে যেন একটু অক্সিজেন। আসলে নিত্যদিন একঘেয়ে জীবনযাত্রার মধ্যে অনেকেই ক্লান্ত উপরে দুঃসাহসিক অভিযানের সন্ধান করতে থাকেন। অবসন্নতা কাটিয়ে ইচ্ছে করে যে দিকে দুচোখ যায় সেদিকে উড়ে বেড়াই। দুঃসাহসের কাজ করার মত স্পর্ধা সকলের থাকে না তাই চিন্তাভাবনা হলেও ভীষণভাবে সীমিত হয়ে যায়।
আরো পড়ুন – প্রতি ৬ মিনিটে একটা করে ফোন চুরি? যেকোনো মুহূর্তে আপনার ফোন চুরি হয়ে যেতে পারে?
কিন্তু জীবন গড়ে তোলার মতো অনেক উপাদান আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।ঝোঁক আছে বলেই তো ঝুঁকি আছে তাই না। এখানে একটা কথা বিশেষভাবে বলা প্রয়োজন যে দোকান, বাজার, কেনাকাটার মধ্যেও যে দুর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পাওয়া যেতে পারে, তা ভাবা কঠিন। কিন্তু চিনের মানুষ নানা অসম্ভব ভাবনাচিন্তা কে অনায়াসেই সম্ভব করে তুলতে দক্ষ।
আরো পড়ুন – আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর পরে কেমন হবে এ বিশ্বের অবস্থা, জানেন?
তাইতো হুনান প্রদেশের শিনুঝাই ন্যাশনাল জিওলজিক্যাল পার্কে রয়েছে এমনই একটি দোকান, যেখানে কেনাকাটা করতে যাওয়া মানে একটা আলাদা অ্যাডভেঞ্চার। এখানে একটু বলে রাখা দরকার শিনুঝাই ন্যাশনাল জিওলজিক্যাল পার্কের এই দোকানের অবস্থানই এত বন্ধুর, যে এই চত্বরের আশপাশে জনবসতি বা ধরুন অন্যান্য সুবিধা পাওয়াই একেবারে মরুভূমির মাঝে ঝরনা খোঁজার মতো।
আরো পড়ুন – ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে মানুষ থেকে কুকুর হয়েছিলেন, কিন্তু এখন পস্তাচ্ছেন কেন?
কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ যেটা প্রায় অসম্ভব সেটাই সম্ভব হয়েছে এখানে। ওটা চীন জুড়ে নানা জায়গায় অদ্ভুত সব জিনিসপত্র পাওয়া যায় কিন্তু এই দোকানে ভিড় কিছুতেই যেন কমেনা। কারণটা, ওই যে বললাম অ্যাডভেঞ্চারের নেশা। এই দোকান সবথেকে অসুবিধাজনক দোকানের শিরোপা পকেটস্থ করেছে।
আরো পড়ুন – আপনি কি কখনো মসজিদ চত্বরে ঘুমিয়ে পড়েছেন? এবার এল বড় নির্দেশিকা!
আসলে পর্বতারোহী মানুষদের সাহায্য নিয়েই এই দোকান খোলা হয়েছিল। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই কারণেই এইরকম জায়গায় দোকান করা হয়েছে।