Breaking Bharat: ফিরিয়ে দাও আমার সেই ছোটবেলা (My childhood)! ফেলে আসা দিন আর মুহূর্তরা কখনো কি ফের দেবে ধরা? স্মৃতির পাতায় অতীতের রোমন্থন!
দেখতে দেখতে অনেকটা বড় হয়ে গেলাম আমরা। বদলে গেল চারপাশ। আমাদের ছোটবেলায় যা ছিল বর্তমান আজ সেটা পুরোটাই অতীত। আজকের প্রজন্ম অনেক কিছুই পায় কিন্তু তাদের জীবনে কি যে নেই সেটা কল্পনাও করতে পারে না। আসলে এই সময়টা তাদের যারা নব্বইয়ের দশকে বড় হয়ে উঠেছেন।
চারপাশটা অনেক বেশি সরল ছিল অনেক বেশি অগোছালো ছিল। তাই সেগুলোকে গুছিয়ে ঠিক করতে করতেই ছোট থেকে বড় হওয়া। মুঠোর মধ্যে বিশ্ব ছিল না পৃথিবীকে জানতে অনেক পড়াশুনা করতে হতো। হাতের সামনে অনলাইনে খাবার অর্ডার (Order food online) করা অপশন ছিল না,
খিদে পেলে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হতো কখন প্রিয় রান্না আসবে হাতের কাছে। তখন এত সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না, একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ হতো অন্তর থেকে। সে ছেলেবেলাকে একটু খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা আজ এই মুহূর্তে (Give back my childhood)।
স্মৃতির পাতায় চোখ রাখলে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় নস্টালজিক গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থাকলে অনেক ছবি উঠে আসে যেগুলো মনে করায় পুরনো দিনগুলোর কথা। এখন অনলাইনে পড়াশোনা হয়েছে কিন্তু ৯০ এর দশকে তেমনটা ছিল না। মনে পড়ে পিচ বোর্ডের উপর পরীক্ষার খাতা দেখে পরীক্ষা দেওয়ার কথা।
মাথার উপরে আবার ছোট্ট একটা ক্লিপ থাকতো যাতে আপনি যে পাতায় লিখছেন সেটা উড়ে না যায় সেই ক্লিপের সঙ্গে আটকে দিতে হতো। প্লাস্টিক যত বাজার ভর্তি শুরু করে ওই পিচবোর্ড পাল্টে গিয়ে তা প্লাস্টিকের বস্তুতে পরিণত হয়।
সব থেকে বেশি কি আঁকা হতো বলুন তো?
আছে ছোটবেলায় আঁকিবুকি কাটার কথা মনে আছে? খাতায় নয় হাতে, মনে পড়ে পেন দিয়ে হাতের মধ্যে আঁকা? সব থেকে বেশি কি আঁকা হতে বলুন তো? হাতের মধ্যে ঘড়ি আসলে তখন তো সত্যিকারের ঘড়ি পড়ার সুযোগ মিলত না তাই হাতের মধ্যে কব্জির মাঝামাঝি একটা গোল চিহ্ন এঁকে তারপর সেখান থেকে বেল্টের মতো দুটো দাগ দিয়ে সোজা রেখে দেওয়া। যেন মনে হবে হাতে ঘড়ি পড়া আছে। সময়টা নিজের মতো একটা দিয়ে ফেললেই হল।
কিন্তু বাদাম চাকতির কথা মনে পড়ে?
আজকাল নানা রকমের বাদাম শেক খেতে পছন্দ করেন আপনি। আধুনিক কেনাকাটার জায়গা শপিংমলে ভীষণ সহজলভ্য আর বড্ড দামি। কিন্তু বাদাম চাকতির কথা মনে পড়ে? বড় একটা চাকতি আর সেটা কি বেশ গায়ের জোর দিয়ে ভেঙে সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া। সাধারণত গুড়ের বাদাম চাকতি ভীষণ জনপ্রিয় ছিল।
আজকের দিনে স্লাইস কেক টিফিনে নিয়ে যান বাচ্চারা। মা বাবা নানা ফ্লেভারের নানা রকমের কেক পেস্ট্রি তাদেরকে টিফিনে দেন। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার পথে বাবার হাত ধরে বা মায়ের সঙ্গে যেতে যেতে বাপুজী কেকের ভ্যানগাড়ি আজ আর দেখতে পাওয়া যায় না। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। রংবাহারি ক্রিম আর ফ্রুট কেকের জগতে যেন নিজেকে মানিয়ে গুছিয়ে নতুনদের সামনে তুলে ধরতেই পারিনি বেচারা বাপুজী !
স্কুলের সামনে সেই আলু কাবলিওয়ালাটা এখনো বসে?
আচ্ছা, স্কুলের সামনে সেই আলু কাবলিওয়ালাটা এখনো বসে? বাড়ির লোক যতই বলুক পেট খারাপ হবে কিন্তু টিফিনের ফাঁকে একটু বেশি টক দিয়ে শাল পাতায় মোড়া আলু কাবলি সঙ্গে ছোট্ট একটা কাঠি। আলুটার মধ্যে সেই কাঠি গেঁথে খেতে হত। আরেকটা কথা তো বলাই হলো না ছোটবেলার মৌরি লজেন্স। আজকাল বড় বড় দোকানে তাদের ঠাঁই হয় না।
কতদিন বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলা করা হয় না তাই না ?
কতদিন বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলা করা হয় না তাই না ? আচ্ছা মাঠের মাঝে ছোট্ট একটা গর্ত আর সঙ্গে মার্বেলের গুলি। টিপ করে সেই গর্তে ফেলা আজকের প্রজন্ম জানে? ২ হাজার টাকার নোট চেনেন পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, কুড়ি পয়সার কথা মনে আছে? কেমন দেখতে ছিল তাদের? আর সেই ছোট ২৫ পয়সাটা, রাস্তায় পড়ে থাকলে মনে হয় না, এই দেখো আজও বেঁচে আছে সকলের অলক্ষ্যে। আজ আর কদর নেই।
সিলভার কালারের লম্বা লম্বা বড় টর্চ:
সিলভার কালারের লম্বা লম্বা বড় টর্চ যাকে জ্বালাতে হলে মোটা মোটা ব্যাটারি ভরতে হত। পেছনে থাকতে প্যাঁচ, সেই প্যাঁচ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্যাটারি ঢোকানোর জায়গা টাকে খুলতে হতো। হ্যারিকেনের আলোয় সন্ধ্যেবেলা পড়াশোনা করাটা আজ দেখাই যায় না।
আরো পড়ুন- shampoo: রোজ রোজ শ্যাম্পু করেন? অজান্তেই চুলের ক্ষতি করছেন না তো?
আরো পড়ুন- online Shopping : কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইনেই শপিং? কিন্তু রিভিউ ছাড়া জিনিস কিনলে ঘোর বিপদ!
সেই লম্ফ টা, যার শিখাটা বাড়ালেই আলো বাড়ত কমালে একেবারে অন্ধকার। এইসব আজ আর নেই। আধুনিকতার জীবনে এতটাই নিজেদের মানিয়ে নিয়েছি আমরা পুরনোর দিকে আর ফিরে চাইতেও ইচ্ছে করেনা। নস্টালজিয়া এখানেই শেষ নয় আরো আছে। আগামীতে চোখ রাখুন ব্রেকিং ভারত পোর্টালে।